SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 04]

in hive-129948 •  8 months ago  (edited)

This post is made for recovering lost SBD : 1470

Recovered so far : 0.00 SBD


গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ০৩


vampire-2115396_1280.jpg
Copyright Free Image Source : PixaBay


-"হা হা ! বাবু ওটা ভূতের বাচ্চার কান্না নয় গো, ওটা হলো বকের বাচ্চার ডাক । আপনি বাবু শহুরে মানুষ, পাড়াগাঁয়ে কোনোদিন থাকেননি তাই জানেন না । বকের বাচ্চার ডাক হুবহু মানুষের খোকার কান্নার মতো শোনায় । রাত বিরেতে শুনলে মনে হয় বুঝি ভূতের বাচ্চা কাঁদছে । হে হে ।"

রমেশবাবু একটু লজ্জিত হলেন । তবে সেই সঙ্গে বেশ একটু স্বস্তিও অনুভব করলেন । যাক ! ভয়ের কিছু নেই তাহলে ।

মিনিট কুড়ি চলার পরে রাস্তা ছেড়ে একটা বাগানের শুঁড়িপথ ধরলো বুড়ো । এখানটা মারাত্মক অন্ধকার । পথের দু'ধারে গাছপালা, লতা-গুল্ম জড়াজড়ি করে রয়েছে । যেদিকে তাকানো যায় শুধু জমাটবাঁধা আঁধার ।

তবে এবার আর খুব বেশিক্ষণ কিন্তু হাঁটতে হলো না । মাত্র মিনিট পাঁচেক হাঁটার পরেই একটা ভগ্ন বাড়ির আবছা অবয়ব ফুটে উঠলো সামনে । আরেকটু কাছে গেলে রমেশবাবু দেখতে পেলেন একটা অতি জীর্ণ ভগ্ন অট্টালিকা । বাড়িটা দো'তলা । সামনে বিশাল একটা উঁচু রাজকীয় সিঁড়ি উঠে গিয়েছে একতলায় । একতলাটা এখনকার প্রায় দোতলা বাড়ির সমান উঁচু । বিশাল বিশাল থাম দেখা যাচ্ছে বাড়িটার সামনের দিকের বারান্দায় । সবই অবশ্য ভেঙেচুরে পড়ছে । ছাদের কিছুটা অংশ ধ্বসে পড়েছে সেটা এই আবছায়া অন্ধকারেও টের পাওয়া যাচ্ছে ।

বাড়ির সামনেটা একসময় বাগান ছিল সেটা পরিষ্কারই বোঝা যাচ্ছে । কারণ প্রায় বুকসমান জংলী ঘাস-লতাপাতা ভেদ করে এখানে ওখানে একটা দু'টো পাথরের পরীর মূর্তি মাথা উঁচু করে এখনো জেগে রয়েছে। একটা ভাঙাচোরা আর ঝোপেঝাড়ে ভরা বহু পুরোনো ফোয়ারার পাশ দিয়ে বাড়ির একতলায় ওঠার সিঁড়িতে পা দিলেন রমেশবাবু ।

সিঁড়িটার অবস্থা একদম যাচ্ছেতাই । এখানে ওখানে পাথর উঠে গিয়ে বিশাল বিশাল ফোঁকরের সৃষ্টি হয়েছে । টেমির আবছায়া আলোয় সাবধানে পা ফেলে বুড়ো পিছুপিছু একতলার বৈঠকখানায় উঠে এলেন ।

[চলবে]

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বিঃ দ্রঃ এই আইডিতে যেসব গল্প প্রকাশিত হবে তার শিরোনামে যদি beneficiary rme লেখা থাকে তবে বুঝবেন সেগুলো শতভাগ আমার লেখা এবং সম্পূর্ণ মৌলিক রচনা ।

কোথাও থেকে কপি করা নয়, বা অন্য কেউ লিখে দেয়নি, অথবা অন্য কারো লেখা অবলম্বনে লেখা হয়নি । গল্পের প্লট থেকে চরিত্র নির্মাণ সবটুকুই আমার মস্তিক প্রসূত ।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক (Upvote), কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন । এছাড়া গল্পটি আপনার ওয়ালে রাখতে চাইলে অবশ্যই Resteem করুন ।

এই বুড়ো যে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে কে জানে। বাড়ির বর্ণনা শুনে তো পুরোনো কোনো জমিদার বাড়ি মনে হচ্ছে। এসব বাড়িতেই তো যত ভুতের ঘটনা ঘটে। সামনে কি হবে কে জানে। অপেক্ষায় রইলাম।

দাদা পাঠিকা হিসেবে একটা অভিযোগ হলো,যদি লেখা আরেকটু বেশি করে পেতাম তাহলে খুব ভালো লাগতো।যদিও জানি আপনি অনেক ব্যস্ত।কিন্তু এই গল্প পড়ার লোভ সামলানোই খুব কঠিন।

ধীরে ধীরে সাসপেন্স তৈরী হচ্ছে। অল্প অল্প করেই আসুক, আরো সাসপেন্স হবে। জমে যাবে পুরো। 😁

গল্পের প্রতি আবার আলাদা লোভ।অল্প অল্প দিলে অশান্তিই লাগে।🫢

এটা দেখছি ভূতের গল্প। অনেকদিন পর আপনার লেখা গল্প পড়ে বেশ ভালো লাগলো দাদা। গল্পটি পড়ার প্রতি আরো বেশি আগ্রহ তৈরি হলো। আশা করছি পরবর্তী পর্ব আবারো খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব।

মনে হচ্ছে ভুতের গল্প। আমি সাধারনত ভুতের গল্প পড়ি না।সিনেমাও দেখি না ।খুব ভয় লাগে।তবে এই গল্পটি পড়তে বেশ ভালো লাগলো ।দেখি পরবর্তি পর্বগুলোতে কি দেখা যায়।অপেক্ষায় রইলাম

অনেকদিন পরে একটা গা ছমছমে ভূতের গল্প পড়লাম। গল্পের রমেশ বাবুর সাহস আছে বলতে হবে যে রকম পুরাতন ভুতুড়ে বাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন এটা পড়েই তো ভয় লাগছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো মজা পাবো।

Posted using SteemPro Mobile

বকের বাচ্চার ডাক তাহলে মানুষের বাচ্চার মতোই। রমেশ বাবুর সাথে সাথে তো আমিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম😂। যাইহোক বুড়োটা তাহলে রমেশ বাবুকে বাড়িতে নিয়ে গেলেন। কিন্তু বাড়ির যে বর্ণনা শুনলাম, এই বাড়িতে নিশ্চিত ভূত আছে। রমেশ বাবুর এবার খবর আছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। যাইহোক এই গল্পটি পড়ে আসলেই খুব ভালো লাগছে দাদা। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

এই গভীর রাতে, এমন পুরনো বাড়িতে যাওয়া খুব একটা সুবিধার ঠেকছে না। পড়ার আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছে, অপেক্ষায় থাকলাম ভাই পরের পর্বের জন্য।