SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 14]

in hive-129948 •  8 months ago 

This post is made for recovering lost SBD : 1470

Recovered so far : 233.205 SBD


গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ১৩


vampire-2115396_1280.jpg
Copyright Free Image Source : PixaBay


মহুয়ার হাতের মোমবাতির আলো ঘরের ভেতর জমাটবাঁধা দুঃসহ আঁধার কিছুতেই যেনো দূর করতে পারছে না । রমেশবাবুর মনে হচ্ছে তিনি যেনো সমগ্র পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো একটি স্থানে বন্দী হয়ে আছেন ।

সিঁড়ি দিয়ে নেমে উত্তরদিকে ঘুরলো মহুয়া, এরপর একটা ভেতরদিকের খোলা দরজা দিয়ে বৈঠকখানা লাগোয়া একটা মাঝারি আকারের ঘরে প্রবেশ করলো । পেছন পেছন রমেশবাবু আর বুড়োটাও ঘরে ঢুকলো । ঘরটা যে একসময় ডাইনিং রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো সেটা বুঝতে পারলেন রমেশবাবু ।

মাঝারি আকারের ঘরটার ঠিক মধ্যখানে সেগুন কাঠের একটা প্রকান্ড ডাইনিং টেবিল পাতা রয়েছে দেখা গেলো । বহু পুরোনো আসবাবটা এখনো একদম নিখুঁত অবস্থায় রয়েছে । ডাইনিং টেবিলের উপরে একটা মোমবাতিদানে বেশ বড় একটা মোমবাতি জ্বলছে । আর টেবিলটার উল্টো দিকে আর একটা খোলা দরজা দেখা যাচ্ছে । ওই দরজা দিয়েই যে রান্নাঘরে যেতে হয় এটা বুঝতে পারলেন রমেশবাবু ।

আগেকার দিনে অভিজাত বাড়িগুলোতে রান্নাঘর নিচে থাকতো এবং মূল বাড়িটা থেকে একটু ডিটাচ্ড থাকতো । তার কারণ হলো কয়লা বা কাঠের আগুনে রান্না হলে প্রচুর ধোঁয়া কালি উৎপন্ন হতো । একারণে এই ব্যবস্থা । রমেশবাবু বুঝলেন এটাও পালাবার একটা পথ ছিল । কিন্ত, পিশাচিনী যদি তার মায়াজাল বিস্তার এ পথটাও অদৃশ্য বলয় দিয়ে ঘিরে রাখে তবে দরজা খোলা থেকেও কোনো লাভ নেই ।

-"বসুন বাবু, বসুন ।"

মহুয়ার কোমল কণ্ঠস্বর শুনে চমকে ভাবনার জগৎ থেকে বাস্তব জগতে ফিরে এলেন রমেশবাবু । কণ্ঠ বটে মেয়েটার ! যেন ঝর্ণার কলধ্বনি । এত সুমধুর কণ্ঠ কোনো মানুষের হতে পারে ? রমেশবাবু মুগ্ধ নয়নে ক্ষণিকের জন্য পূর্ণদৃষ্টিতে তাকালেন মহুয়ার দিকে ।

চেয়ার টেনে যন্ত্রচালিতের মতো খাওয়ার টেবিলে বসে পড়লেন রমেশবাবু । বুড়োটা একটা পা টেনে টেনে খোলা দরজা দিয়ে রান্নাঘরের দিকে চলে গেলো । আর মহুয়া একখন্ড ধোয়া কলাপাতা ভাঁজ করে এনে রমেশবাবুর সামনে রেখে দিলো । একটা রংচটা বিবর্ণ চীনে মাটির তৈরী মগ এনে রাখলো কলাপাতার পাশে । মগে জল ।

কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা বড় চীনামাটির বৌলে গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত এসে গেলো । সেই সাথে ছোট ছোট ছোট কয়েকটা বাটিতে সাজানো কলাইয়ের ডাল, বেগুনভাজা, আলু সেদ্ধ আর আলু-ফুলকপির নিরামিষ ঝোল । বুড়োটা বয়ে এনেছে এসব রান্নাঘর থেকে ।

খাবারের এত সুন্দর আয়োজন দেখে রমেশবাবু সব ভুলে হঠাৎ করে টের পেলেন খিদেতে তাঁর পেটে আগুন জ্বলছে ।

[চলবে]

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বেশ ভালো লাগছে আর মনে মনে চিন্তা হচ্ছে কখন জানি রমেশবাবুর জীবন প্রদীপ নিভে যায়। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

মনে হচ্ছে রমেশ বাবুকে খাই দাইয়ে তারপর তার জানটা নিবে। তবে খাবার আয়োজন কিন্তু বেশ ছিল।দেখা যাক কি আছে রমেশ বাবুর ভাগ্যে। অপেক্ষায় রইলাম।

I have been seeing your profile for a while, you created your account this month and getting good response from the audience.
i just want to know how it possible for a new comer to gain this much publicity, i am also new and joined after you i think so.

i want to talk to you, but private messages was not available in steemit.
any suggestions would be highly appreciated.

এত আদর যত্ন করে খাইয়ে তারপর রমেশ বাবুকে খাবে? আমার কেন যেনো মনে হচ্ছে মহুয়া রমেশ বাবুকে ছেড়ে দিবে। কিন্তু বুড়ো যেভাবে অপেক্ষা করছে তাতে কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না।

বাহ্! কতো চমৎকার আয়োজন করেছে রমেশ বাবুর জন্য। মনে হচ্ছে একেবারে জামাই আদর করে খাওয়াবে রমেশ বাবুকে। তবে বুড়োটার তো আর সহ্য হচ্ছে রমেশ বাবুকে খাওয়ার জন্য। রমেশ বাবুকে খাবার খাইয়ে, তারপর মহুয়া আর বুড়োটা মিলে খাবে নাকি রমেশ বাবুকে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

I wish it was written in English. The picture is dope

মেরে ফেলার আগে হয়তো রমেশ কে একটু আদর যত্ন করছে। অপেক্ষায় থাকলাম ভাই পরের পর্বের।