লাইফস্টাইলঃ নাতিকে নিয়ে বিমান বাহিনী জাদুঘরে একদিন।

in hive-129948 •  last month 

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ৬ই কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল। ২২শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

h9.jpg

বন্ধুরা আজ আবারও নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজ একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। দৈনন্দিন জীবন ঘটে যাওয়া ঘটনা আপনাদের শেয়ার করতে বেশ ভালো লাগে। আর লাগবেই না কেন ? কারন আপনারা যে আমার আর একটি পরিবার। তাই সুখ,দুঃখ, আনন্দ বেদনার অনুভুতিগুলো শেয়ার করি আপনাদের সাথে। তেমনই আনন্দের কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আজ। কিছুদিন আগে নাতিকে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়ে ছিলাম। হ্যা ঠিকই শুনেছেন নাতি। তবে বড়বোনের মেয়ের ছেলে । মানে আমারওতো নাতি তাই না? নাতির নাম ইজিয়ান। সাড়ে তিন বছর বয়স। তবে বয়েসের তুলনায় একটু বেশি ম্যাচিওর। তাইতো স্কুলেও পরে সে। দুর্গা পুজায় স্কুল বেশ কিছুদিন বন্ধ। বাসায় সময় কাটছে না নাতির। সে বাহিরে বেড়াতে যাবে ভাগ্নি ফোন দিয়ে জানালো। তখন আমি ভাবলাম তবে তাকে নিয়ে বিমান বাহিনী জাদুঘরেই নিয়ে যাওয়া যাক। সে পড়েও বিমানবাহিনী স্কুলে। অনেক বড় মাঠ ও বিভিন্ন ধরনের বিমান দেখে বেশ মজা পাবে। তাই ভাগ্নিকে বললাম তবে সেখানেই নিয়ে যাওয়া যায়। ভাগ্নিও রাজি হলো। যেহেতু ভাগ্নির বাসা আমার বাসার কাছাকাছি। এবং বিমান বাহিনী জাদুঘর আমাদের বাসা থেকে বেশি দূরে নয়। তাই রিক্সা করেই রওনা দিলাম বিকাল ৪টায়।

h10.jpg

বিমান বাহিনী জাদুঘর আগারগাও মেট্রো রেল স্টেশনের সাথেই অবস্থিত। ২০১৪ সালে বিমান বাহিনীর গৌরবময় ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। জদুঘরের ভিতরে রয়েছে প্রশস্ত মাঠ,বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত বিমান ,রাডার ও বোমা সহ আরো কিছু বিমান। সেই সাথে রয়েছে শিশু পার্ক। যেখানে বিভিন্ন ধরনের রাইডে উঠার ব্যবস্থা আছে নির্দিস্ট ফির মাধ্যমে। আছে বিভিন্ন পশু,পাখির প্রতিকৃতি। আছে ছোট একটি জলাধার যেখানে টিকেট কেটে নৌকা ভ্রমনের সুযোগ আছে।

h8.jpg

h11.jpg

h12.jpg

h5.jfif

সেইদিন ছিল শনিবার তাই বেশ ভীড় চোখে পড়ে।জাদুঘরে পৌঁছে প্রথমে টিকেট কেটে নেই। জনপতি টিকেট ৫০ টাকা। তবে দু' বছরের নিচের বাচ্চাদের জন্য কোন টিকেট লাগে না। কিন্তু সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য সেই টিকেট ২৫ টাকা। এই জাদুঘর রবিবার বাদে সব দিন খোলা থাকে। সোমবার থেকে -বৃহস্পতিবার জাদুঘরটি দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা আর শুক্র ,শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

h3.jfif

h7.jpg

h13.jfif

জাদুঘরে প্রবেশ করেই প্রশস্ত মাঠ ও বিভিন্ন ধরনের বিমান দেখেতো নাতি আমার ভীষন খুশি। সেই সাথে বিভিন্ন পশুপাখির প্রতিকৃতি ও বিভিন্ন ধরনের রাইড। আমি প্রতিটি পশু পাখির প্রতিকৃতির নাম জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথে সে সেগুলোর নাম বলতে পারছে দেখে বেশ ভাল লাগলো। এরপর আমরা টিকেট কেটে ট্রেনে উঠলাম। জনপতি টিকেট ৭০ টাকা। যা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে।কিছুক্ষন সময় এর জন্য টিকেট মূল্য অনেক বেশি। এরপর নাতি বিভিন্ন রাইডে উঠেছে। বেশ মজা করেছে। আমরা প্রায় ৩ ঘন্টা জাদুঘরে ঘুরে দেখেছি।নাতিও বেশ মজা পেয়েছে। তবে জাদুঘরের ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হলে আরও বেশি ভালো লাগত। দেখলাম একটি ফোয়াড়া পানি জমে আছে। পানির রং দেখে মনে হলো অনেকদিন যাবত পরিস্কার করা হয় না। এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। আমরা একটি শেডের মধ্যে কিছুক্ষন অপেক্ষা করেছি বৃষ্টি থামার জন্য । বৃষ্টি থামলে আমরা একটি রিক্সা নিয়ে বাসার কাছেই ফ্রাইড বাকেট এ চলে এলাম নাতিকে চিকেন ফ্রাই খাওয়ানোর জন্য। চিকেন ফ্রাই যে তার প্রিয়। সেই গল্প না হয় আর একদিন করবো। আজ এ পর্যন্ত।আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীলাইফস্টাইল
ক্যামেরাSamsung A-10
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

মাঝেমধ্যে এমন বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করা মজা আলাদা। অনেক ভালো লাগলো নাতিকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন দেখে। আশা করি খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল আপনাদের সকলের জন্য।

বাচ্চাদের নিয়ে এমন খোলা পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো বেশ দরকার তার বিকাশের জন্য।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।