ফটোগ্রাফিঃবিভিন্ন ফলের ফটোগ্রাফি।

in hive-129948 •  4 months ago  (edited)

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন।আজ ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই আগস্ট ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।


গত জুন ৫ই জুন হতে ১৩ ই জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় বৃক্ষ মেলা।প্রতি বছর বিভিন্ন জেলায় বৃক্ষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।আর ঢাকায় বেশ বড় পরিসরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় চলে মাস জুড়ে।আমি প্রতি বছর বৃক্ষ মেলায় যাওয়ার চেস্টা করি। এবারও গিয়েছিলাম।অনেক নতুন নতুন গাছ ও ফল দেখেছি। আর এ জন্যই আমার বৃক্ষ মেলায় যেতে বেশি ভালো লাগে। বেশ ভালো কিছু সময় কাটিয়েছি বৃক্ষ মেলায়। বৃক্ষ মেলায় করা কিছু ফটোগ্রাফি আগে একটি পোস্ট এ শেয়ার করেছিলাম। আজ নতুন আর একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজ আমি কিছু দেশী বিদেশী ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের ।

প্রথম ফটোগ্রাফি

ph6.jfif

এই প্রথম আমি এমন লাল রং এর আম দেখলাম। আমের খোসার রংটি লাল ও বেগুনি মিশ্রিত। দেখতে বেশ সুন্দর। বিক্রেতার কাছ থেকে জানতে পারলাম এই আম থাইল্যান্ডের । আজকাল আমাদের দেশে থাইল্যান্ড এর আমের চাষ বেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে এই আমের চাহিদাও বেশ। এর কারন এই আম বেশ মিস্টি। যদিও বিক্রেতা এই আমের নাম বলেছিল,কিন্তু আমার মনে না থাকায় শেয়ার করতে পারলাম না দুঃখিত। কেউ যদি জানেন কমেন্ট করে জানালে খুশি হবো।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

ph8.jfif

এই ফলটি সবার চেনা। এটি হলো পাকা ডালিম ফলের ফটোগ্রাফি। ছোট বড় সবারই পছন্দ এই ডালিম ফল। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ ভরপুর এই ফলটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকর এই ফল।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

ph5.jfif

এই ফলটিও আমাদের সবারই পরিচিত। এই ফল জাম্বুরা নামে বেশ পরিচিত হলেও বাতাবী লেবু নামেও বেশ পরিচিত। এই ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা । এই ফল দেহের কোষের ক্ষয় কমিয়ে ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।আর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এই জাম্বুরা বেশ উপকারী। রক্তের ইন্সুলিনের মাত্রা কমাতে এই ফল বেশ কার্যকরী।

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

pho1.jpg

এটি ত্বীন ফলের ফটোগ্রাফি। আমি প্রথম বৃক্ষ মেলায় ত্বীন গাছ দেখেছি ত্বীন ফল সহ। বেশ উপকারী ফল হল ত্বীন ফল। ত্বীনফল বাংলাদেশে ডুমুর নামে বেশি পরিচিত।ত্বীন ফল কোলেস্টরেল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। সেই সাথে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ত্বীন ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন,হাড়ের ক্ষয় রোধ,হজম শক্তি বৃদ্ধি,ক্যান্সার প্রতিরোধ ও রক্ত স্বল্পতা নিয়ন্ত্রনে বেশ কার্যকর।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

ph9.jfif

এই ফলটি প্রথমে দেখে আমি ভেবেছিলাম নতুন কোন ফল বাহিরের ডিপ বেগুনী রং এর। বিক্রেতাকে জিজ্ঞাস করায় জানালো,এটি হল পেয়ারা। আজকাল নাকি এ ধরনের পেয়ারাও চাষ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। খেতে নাকি বেশ মিস্টি এই পেয়ারাটি, বলল বিক্রেতা।

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

ph7.jfif

লটকন গাছের ফটোগ্রাফি এটি। দেখতে বেশ সুন্দর থোকায় থোকায় ডালে ঝুলে থাকে বলে দেখতে বেশি সুন্দর লাগে। খেতেও বেশ সুস্বাদু। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় এই ফলের চাষ হয়। তবে নরসিংদী,মানিকগঞ্জ,গাজীপুর,নেত্রকোনা ও সিলেটে লটকন চাষ বেশি হয়।

সপ্তম ফটোগ্রাফি

ph4.jfif

বিদেশী ফল ড্রাগনের ফটোগ্রাফি এটি। আজকাল বাংলাদেশেও এ ফলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আদি নিবাস মেক্সিকো। মিস্টি স্বাদ যুক্ত এই ফল বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন রং এর ড্রাগন ফল বাংলাদেশে চাষ হয়ে থাকে।ড্রাগন ফল শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
আশাকরি আজকের ফটোগ্রাফি ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীফটোগ্রাফি
ক্যামেরাRedmi Note A5
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ১৩ই আগস্ট,২০২৪ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার করার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এক একটি ফটোর মধ্যে একটি ফলের সৌন্দর্য যেন ফুটে উঠেছে। আপনার তোলা সবগুলা ফল আমার পছন্দের তালিকায় আছে। আর আমাদের নিজেদের অনেক বড় ড্রাগন বাগান আছে। ড্রাগনের পরিচর্যা করতে আমার খুবই ভালো লাগে।

আমার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

বৃক্ষ মেলায় গিয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন যা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম।আপনার শেয়ার করা কিছু ফলের ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু।এ ধরনের রঙের পেয়ারা গাছ আমাদের বাড়িতে ও ছিল।আর লটকন তো আমার খুব পছন্দের।খুব ই ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

আমি আগে কখনও এই পেয়ারা দেখিনি।বৃক্ষ মেলায় প্রথম দেখলাম।জি আপু বেশ ভালো কিছু সময় কাটালামবৃক্ষ মেলায়।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

image.png

প্রত্যেকটি ফলের ফটোগ্রাফি খুব ভালো হয়েছে। সুন্দর করে ব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রতিটি ছবি উপস্থাপনা করেছেন। সবকটি ফল আমাদের বাংলার হৃদয়ের সঙ্গে যুক্ত। ফুলে ফলে ভরা এই দুই বাংলার প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে আছে এই সকল ফলগুলি। খুব ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ দাদা মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

লটকন আর ত্বীন ফল কোনদিন দেখিনি। কেমন খেতে? বাকিগুলো খেয়েছি। ভালো হয়েছে বেশ ছবিগুলো।

লটকন টক মিস্টি। আমার বেশ পছন্দ।আর ত্বীন ফল সাধারনত খেজুরের মতো শুকিয়ে খাওয়া হয়।আর স্বাদও খেজুরের মতো।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমাদের এদিকে বৃক্ষ মেলা হলেও এত রকমের গাছ পালা দেখা যায় না। আপনি বৃক্ষ মেলায় গিয়ে অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন আপু। চমৎকার সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আপু, আপনার শেয়ার করা এই পোস্টটিতে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ ফটোগ্রাফির লেখাটা উল্টে পাল্টে গেছে, এটা একটু চেক করে ঠিক করে নেবেন। যাইহোক, আপনার এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফল দেখার সুযোগ হলো। বৃক্ষ মেলায় গেলে আসলে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফল এবং ফলের গাছ দেখার সুযোগ হয়।

ঠিক করে দিয়েছি ভাইয়া।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

চমৎকার কিছু ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। বিভিন্ন ধরনের ফলের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। লাল রং এর আম আমিও আগে কখনো দেখিনি। ড্রাগন ফলের ফটোগ্রাফি টা দেখেও বেশ ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

লাল রং এর আমিও আগে দেখেনি
বৃক্ষ মেলায় প্রথম দেখলাম।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আজকে আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে আমের ফটোগ্রাফি এবং ড্রাগন ফলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। তবে এটিই ঠিক থাইল্যান্ডের এই আমগুলো এখন অনেক জায়গাতে চাষ করা হয়। চমৎকার কিছু ফলের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। এবং সুন্দর সুন্দর ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি৷ একের পর এক ফলের ফটোগ্রাফিগুলো দেখে একেবারেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম৷ সবগুলো ফল আমাদের সকলের পরিচিত৷ আপনি আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের সকলের পরিচিত ফলগুলো যেভাবে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷

অনেক রকমের ফলের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফুলগুলো খুবই ফ্রেশ দেখতে লাগছে। গাছের মধ্যে এভাবে ফল ঝুলে থাকার দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।