আর্টঃ গ্লাস পেইন্টিং।

in hive-129948 •  last year 

শুভেচ্ছা সবাইকে।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভাল আছি। আজ ৪ঠা অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৯ নভেম্বর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।

g9.jpg

n5.jpg

বন্ধুরা, নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি উপস্থাপন করবো একটি আর্ট। আর সেই আর্টটি করবো পুরাতন গ্লাসে। বাসায় গ্লাসটি ছিল ব্যবহার করা হয় না ।তাই ভাবলাম গ্লাসটি কিভাবে ব্যবহার উপযোগী করা যায়। আর তাইতো এ কাজটি করলাম। গ্লাসটিতে আর্ট করার পর বেশ সুন্দর লাগছিল। গ্লাসটি এখন ফুলদানী,পেন হোল্ডার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। আমি পেন হোল্ডার হিসাবে ব্যবহার করবো। এমন সুন্দর একটি পেন হোল্ডার কিন্তু টেবিলের সৌন্দর্য বহুগুন বাড়িয়ে দেবে। আমার বেশ পছন্দ হয়েছে কাজটি। আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানালে আরও নতুন নতু কাজ করার উৎসাহ পাবো।এই গ্লাস আর্টটি করতে প্রথান উপকরণ হিসাবে বেছে নিয়েছি পুরাতন গ্লাস। আর বিভিন্ন কালারের পোস্টার রং ও তুলি । তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক আঁকার বিভিন্ন ধাপ সমূহ।

তৈরির উপকরণ সমূহ

g8.jpg

g23.jpg

১।বিভিন্ন কালারের পোস্টার রং
২।বিভিন্ন সাইজ এর তুলি
৩।পুরাতন গ্লাস

আঁকার পদ্ধতি

ধাপ-১

g24.jpg

প্রথমে গ্লাসটি ধুয়ে মুছে নিয়েছি।

ধাপ-২

g22.jpg

গ্লাসের এক পাশে কমলা রং দিয়ে কিছু ফুল এঁকে নিয়েছি।

ধাপ-৩

g20.jpg

এবং গ্লাসের অপর পাশে সাদা ও লাল রং দিয়ে আরও কিছু ফুল এঁকে নিয়েছি।

ধাপ-৪

g3.jpg

g19.jpg

সবুজ রং দিয়ে পাতা ও ডাল এঁকে নিয়েছি।

ধাপ-৫

g6.jpg

g14.jpg

এবার কাল রং দিয়ে গ্লাসের ভিতরে রং করে নিয়েছি। এবং ফুলের মাঝখানে সাদা রং দিয়ে ডট ডট দিয়ে নিয়েছি। যাতে ফুল গুলো দেখতে সুন্দর লাগে।

উপস্থাপন

g6.jpg

n1.jpg

g13.jpg

আশাকরি আজকে গ্লাস পেইন্টিংটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার আর্ট ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীআর্ট
ক্যামেরাRedmi Note 5A
পোস্ট তৈরি@selina75
তারিখ১৯ নভেম্বর, ২০২৩
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গ্লাস এর উপর খুবই সুন্দরভাবে পেইন্টিং তৈরি ধরে করে ফেলেছেন আপনি। খাতার মধ্যে পেইন্টিং করার চেয়ে আপনার গ্লাসের মধ্যে যেন এই আর্ট খুবই ভালো দেখা যাচ্ছে৷ আর এটি তৈরি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে যা আপনার এই আর্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে এরকম একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য৷

গ্লাসে পেইন্টিং করা একটুতো কস্টকর। ধন্যবাদ ভাইয়া।

image.png

আপু পুরাতন গ্লাসকে পোস্টার রং দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে নতুন করে তুলেছেন। আপনার এই আইডিয়া আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। পুরানো জিনিসকে নতুন করে তুলতে পারলে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। গ্লাসের ভিতরে কালো করার জন্য আরও বেশি ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর পেইন্টিং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

পুরাতন জিনিস ফেলে না দিয়ে নতুন কিছু বানাতে আমার ও বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।

আপু চমৎকার একটি আর্ট পোস্ট শেয়ার করলেন। পুরনো গ্লাসটিকে কি দারুন রঙের ডিজাইন করে নতুন করে তুললেন।দেখতে এখন চমৎকার লাগছে।আপনি সব সময় এ ধরনের ইউনিক কাজগুলো করেন।ভীষণ ভালো লাগে আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।

অনেক ধন্যবাদ আপু উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য।

পুরাতন গ্লাসটির গাঁয়ে আপনি অনেক সুন্দর পেইন্টিং করেছেন।আসলে পুরাতন জিনিসকে এভাবে নতুন রূপ দিলে ঘরের সুন্দরতা বাড়ে।তাছাড়া চতুর্থ ধাপটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে, যদিও ছবিগুলো একটু অস্পষ্ট ছিল।ধন্যবাদ আপু।

গ্লাসে ছবি রিফ্লেক্ট করায় ঝাপসা হয়েছে ছবিগুলো। আর রাতে তোলায় ছায়া আসছে। ধন্যবাদ আপু।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

সাদা গ্লাসের উপরে পেইন্টিং করে একদম পুরোপুরি সৌন্দর্যটা পরিবর্তন করে ফেলেছেন। দারুন আর্ট করেছেন সত্যি দেখতে আগের চেয়ে ভালো লাগছে।

Posted using SteemPro Mobile

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

এরকম পুরাতন গ্লাস গুলোর মধ্যে নতুন করে পেইন্টিং করলে দেখতে বেশ ভালো লাগে। পুরাতন গ্লাস এর মধ্যে অনেক সুন্দর করে পেইন্টিং করেছেন। এবং এই গ্লাস এখন সাজিয়ে রাখলে ঘরের মধ্যে দেখতে বেশ ভালো লাগবে। তবে গ্লাস এরমধ্যে পেইন্টিং করতে আপনার অনেক সময় লেগেছে। সত্যি বলতে আপনার পুরাতন গ্লাস এর মধ্যে পেইন্টিং দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জি ভাইয়া পুরাতন জিনিস ব্যবহার উপযোগি করার চেস্টা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

যেহেতু এই গ্লাসটা আর ব্যবহার করেন না আপনি, তাই গ্লাসটাতে একটা নতুন রূপ দিয়ে ভিন্নভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এটা কিন্তু পেন হোল্ডার হিসেবে ব্যবহার করলে আসলেই ভালো লাগবে দেখতে। অনেক সুন্দর ফুলের ডিজাইন অংকন করেছেন যেটা অনেক দারুন লাগছে। পুরোটা কালো রং করে নেওয়ার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছে আমার কাছে। আপনারা এত সুন্দর দক্ষতা মূলক কাজ দেখে সত্যি প্রশংসা করতে হচ্ছে।

জি আমি পেন হোল্ডার হিসাবেই ব্যবহার করবো। ধন্যবাদ আপু।

যদিও গ্লাসটি আপনার বাসায় ছিল কিন্তু অনেকদিন ব্যবহার করা হয় না তারপরে আপনি এটাতে পেইন্টিং করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এটা এখন টেবিলের উপর রেখে দিলে কলমদানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে সেই সাথে টেবিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। চমৎকারভাবে আপনি এই পেইন্টিংটি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে, শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

জি ভাইয়া পুরাতন জিনিস ফেলে না দিয়ে ব্যবহার উপযোগি করা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

ফেলে রাখা একটি জিনিস আপনি কতটা সুন্দর করে তুললেন রং তুলির মাধ্যমে । আসলে এটি পেনহোল্ডার হিসেবে টেবিলে রাখলে ভালই লাগবে । আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম কালো রং কিভাবে হয়ে গেল পরে দেখলাম যে আপনি ভিতর থেকে কালো রং করে দিয়েছেন । খুব সুন্দর লাগছে কিন্তু আপু গ্লাসটি রং করার পরে ।

আমি পেন হোল্ডার হিসাবেই ব্যবহার করবো।ধন্যবাদ আপু।