রেসিপিঃ ঘরোয়া মশলা দিয়ে চটপটি তৈরি।

in hive-129948 •  7 months ago 

শুভেচ্ছা সবাইকে।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ১০ই ফাল্গুন,বসন্তকাল ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২২শে ফেব্রুয়ারি,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।

c16.jpg

ঋতু পরিবর্তনের ফলে মানুষ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।গরমের তেজ বাড়ছে দিন দিন।তার উপর আজ বিকেলে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল ঢাকায়। দেশের অন্যান্য স্থানেও বৃষ্টি হয়েছে কি না জানা নেই! আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে আমাদের সবাই সতর্ক থাকতে হবে শারীরিক সুস্থতার জন্য।বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে প্রতিদিনের মত আজও একটি নতুন পোস্ট শেয়ার করবো। আজকের ব্লগটি একটি রান্না বিষয়ক রেসিপি ব্লগ। আর আজকের রেসিপি ব্লগটি ঘরোয়া মশলা দিয়ে চটপটি তৈরি। চটপটি একটি শহর কেন্দ্রিক জনপ্রিয় খাবার। ঘুরতে বের হয়ে চটপটি খাওয়া হয় না, তেমনটি খুব কম হয়। পার্ক,জনবহুল এলাকার রাস্তার পাশে বা মাঠের কোনায় খোলা আকাশের নীচে এই চটপটির দোকান গুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়। চটপটি ঘরের চেয়ে বাইরেই খাওয়া হয় বেশি। ঘরে খুব কম তৈরি করা হয়। অনেকদিন পর ঘরে চটপটি তৈরি করেছি। সেই রেসিপিটিই আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। ঘরে তৈরি এই রেসিপিটিতে বাজারি কোন মশলা ব্যবহার করিনি। সম্পূর্ণ ঘরোয়া মশলা দিয়ে আজকের উপস্থাপিত চটপটি তৈরি করেছি। খেতে কিন্তু অনেক মজার হয়েছিল। যারা খেয়েছে তারা সবাই প্রশংসা করেছে। রেসিপিটি তৈরিতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি মটর ডালসহ বিভিন্ন উপকরণ। আশাকরি আজকের রেসিপি ব্লগটি ভালো লাগবে আপনাদের। অনেক কথা হলো বন্ধুরা, আর কথা নয় ,চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের ঘরোয়া মশলা দিয়ে চটপটি তৈরির রেসিপিটি। আসুন তা ধাপে ধাপে দেখে নেই।

উপকরণ

c1.jpg

c1.jpg

উপকরণপরিমাণ
মটর ডাল১কাপ
রসুন বাটা১/২ চাঃ চামচ
আদা বাটা১/২ চাঃ চামচ
হলুদ গুড়া১/২ চাঃ চামচ
গোটা ধনে৩ টেঃ চামচ
গোটা জিরা৩ টেঃ চামচ
শুকনা মরিচ৮-১০টি
লবনপরিমাণ মতো
বিট লবনপরিমাণ মতো
ডিম১টি
টমেটো১টি
শশা বা খিরা১টি
ধনেপাতাপরিমাণ মতো
পদিনা পাতাপরিমাণ মতো
তেতুলপরিমাণ মতো
পিয়াজ২টি
কাঁচা মরিচ৪-৫টি
আলু১টি
লেবুর রস১ টেঃ চামচ

রন্ধণ প্রনালী

ধাপ-১

c8.jpg

প্রথমে মটর ডাল গুলো ৬-৭ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।

ধাপ-২

c7.jpg

c6.jpg

c5.jpg

c4.jpg

c2.jpg

তারপর ভালোভাবে ধুয়ে একটি প্রেসার কুকারে নিয়ে নিয়েছি। তাতে আদা ও রসুন বাটা,হলুদ গুড়া,লবন ,একটি আলু ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। এবং ৩-৪ টি সিটি দিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৩

c2.jpg

c3.jpg

c4.jpg

c6.jpg

এবার চটপটির মশলা তৈরি করার জন্য গোটা ধনিয়া, জিরা ও শুকনা মরিচ একটি তাওয়ায় নিয়ে চুলায় আগুনে ভেজে নিয়েছি। এবং তা পাটায় পিসে গুড়া করে নিয়েছি মশলা গুলো।

ধাপ-৪

c5.jpg

এবার খিরা,পিয়াজ,টমেটো,কাঁচা মরিচ, সিদ্ধ ডিম, আলু,ধনেপাতা,পুদিনা পাতা কেটে নিয়েছি।

ধাপ-৫

c8.jpg

তেতুল কিছুক্ষন ভিজিয়ে রেখে কাদ তৈরি করে নিয়েছি।

ধাপ-৬

c7.jpg

c10.jpg

c12.jpg

c14.jpg

এবার একটি বাটিতে সিদ্ধ মটর নিয়ে নিয়েছি। এবং একে একে সব মশলা দিয়ে দিয়েছি।এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।

পরিবেষণ

c17.jpg

c16.jpg

c9.jpg

এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি,আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আশাকরি আজকের ঘরোয়া মশলা দিয়ে চটপটি তৈরির রেসিপিটি, আপনাদের ভালো লেগেছে। বিকালের নাস্তায় মজাদার একটি খাবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টরেসিপি
পোস্ট তৈরিselina 75
ডিভাইসRedmi Note 5A
তারিখ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

একদম ঠিক বলেছেন আপু। আবহাওয়া পরিবর্তন অপরদিকে রাতে ঠান্ডা এবং দিনে গরম। যার ফলে বৈরী আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং আমিও বেশ অসুস্থ।

আপনার ঘরোয়া মসলা দিয়ে চটপটি তৈরীর রেসিপিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এখানে আপনি চমৎকার চমৎকার মসলা তৈরি করেছেন এবং সেগুলো ব্যবহার করেছেন।

তার থেকে বেশি ভালো ছিল পুরো উপস্থাপনা। ফটোগ্রাফি গুলো পজিশন সহ সবকিছুই বেশ চমৎকার। অনেক টেস্টি এবং স্বাস্থ্যসম্মত ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি চটপটি অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবো।

ধন্যবাদ আপনার পরিশ্রমই কাজের জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

আসলে আপনি ঘরোয়া ভাবে মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই চটপটি রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে, এভাবে রেসিপি তৈরি করার মধ্যে অনেক আনন্দ রয়েছে। তেমনি স্বাস্থ্যকর রয়েছে। তাই আপনার রেসিপি দেখে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

চটপটি আমার ঘরে বানানোটাই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপু আজকের এই বৃষ্টির জন্য আবারও ঘরে ঘরে অসুস্থতার পরিমাণ বেড়ে যাবে। যাই হোক আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। চটপটি খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। তবে কখনো বাসায় তৈরি করা হয়নি। মাঠের কোণায় খোলা আকাশের নিচে বসে চটপটি খেতে দারুণ লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আমার বাসায় বানানো চটপটি খেতে বেশি ভালো লাগে। বাহিরেরটাও ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।

আপনার চটপটি দেখে লোভ লেগে গেল। আপনার রেসিপি সত্যি অনেক মজার হয়েছে। আসলে আপু এগুলো তৈরি করতে একটু সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ঘরে চটপটির মশলা বানালে সময় লাগে। চটপটির মশলা কেনাও পাওয়া যায়। তবে বাসারটা বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমাদের এখানেও সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলো। এই ওয়েদারেই মানুষের শরীর বেশি অসুস্থ হয়। সবার ঘরেই সর্দি কাশি লেগে রয়েছে। যাই হোক আমার কিন্তু ঘরে বানানো চটপটি খেতেই বেশি ভালো লাগে। আমাকে দাওয়াত দিলেইতো গিয়ে খেয়ে আসতে পারতাম। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।

আমারও ঘরে বানানো চটপটি বেশি ভালো লাগে। অবার যখন বানাবো দাওয়াত দিবো। ধন্যবাদ আপু।

আমাদের এখানেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল। চটপটি খুবই মুখরোচক খাবার।এই খাবার গুলো বাইরে গিয়ে না খেয়ে ঘরে রান্না করে খাওয়াই ভীষণ ভালো। আপনি বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে দারুন মজার চটপটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপিটি খুব লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজার এই চটপটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Posted using SteemPro Mobile

জি আপু ঘরে বানানো খা্বারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।

এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে ঘরোয়া মসলা দিয়ে চটপটি তৈরি করেছেন। দোকানে চটপটি খেতে গেলে সেখানকার মসলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর আপনি নিজে মসলা তৈরি করে চটপটি তৈরি করেছেন এবং সেটা আমাদের মধ্যে চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বোঝাই যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

ঘরে বানানো যে কোন খাবার স্বাস্থ্যসম্মত। তবে ঘরে বানাতে একটু সময় লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে এই রেসিপিটা তৈরী করা হয়ে থাকে। চটপটি এমনিতেও আমার পছন্দ। আমি ফুচকার পরিবর্তে চটপটি খেয়ে থাকি। বাহির থেকে ঘরে বানালে স্বাস্থসম্মত হয়। সবার উচিত নিজের ঘরে বানিয়ে এই খাবার গুলো খাওয়া। ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন বাহিরের খাবারের চেয়ে ঘরে বানান খাবার স্বাস্থ্য সম্মত।যদিও বানাতে সময় লাগে। তবুও সবার চেস্টা করা দরকার। ধন্যবাদ ভাইয়া।

খুবই মজাদার আর সুস্বাদু চটপটি রেসিপি আপনি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। চটপটি করে খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। তবে রাস্তার ধারে বিক্রি করা চটপটি খেতে অনেক বেশি মজাদার হলেও অনেক অস্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। বাড়িতে নিজের হাতে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো হয়। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমাদের দেশে এই চটপটি রেসিপিটা পাওয়া যায় না আপু। তবে আমি এইবার বাংলাদেশ ভ্রমণে গিয়ে এই চটপটি খেয়েছিলাম। অত্যন্ত সুস্বাদু লেগেছিল আমার কাছে। রাস্তার পাশে, পার্কে এবং অন্যান্য অনেক জায়গায় দেখেছিলাম এই চটপটির দোকানগুলো। যাইহোক, ঘরোয়া মসলা দিয়েই আপনি খুব সুন্দর করে এই রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এই রেসিপিটি শেখার অনেক শখ ছিল আমার। আপনার মাধ্যমে এই রেসিপিটি শিখে নিতে পারলাম আজ। এবার থেকে মাঝে মাঝে বাড়িতে এই রেসিপিটি করে খেতে পারবো।