আত্মসংযম : জীবনের সঠিক দিশা।

in hive-129948 •  6 months ago 

সবাইকে শুভেচ্ছা।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন? আমিও ভালো আছি । প্রত্যাশা করি সব সময় ভালো থাকেন সবাই। আজ ১০ই চৈত্র্য, বসন্তকাল, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২৪শে মার্চ,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।

c1.jpg

source

গত দুই,তিনদিন ধরে প্রকৃতি আষাঢ়ী রুপ নিয়েছে।আকাশের তর্জন-গর্জনে মনে হচ্ছে চৈত্র মাস আর বৃষ্টি বলছে আষাঢ় মাস।তার মাপমাত্রা মাসখানেক আগে ফেলা আসা শীতের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কি এক হযবরল আবহাওয়া।আবহাওয়ার যে ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে এরকম আবহাওয়াই তার বড় প্রমাণ।

বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ শেয়ার করবো একটি জেনারেল রাইটিং। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। চেষ্টা করি জেনারেল রাইটিং এর বিষয়ে ভিন্নতা দিতে। আজকেও তেমনি একটি ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করবো। আজকের বিষয় আত্মসংযম।
<br<
আত্মসংযম শব্দটি সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত।৷সহজ কথায় নিয়ন্ত্রণ করা। আত্মসংযম সম্পর্কে, আমাদের অনেকেরই পরিস্কার ধারণা আছে।আমরা সবাই আত্মসংযমী হওয়ার চেষ্টা করি।কেউ পারি কেউ পারি না। মানুষের জীবন মানেই সুখ-দুঃখের হাত ধরাধরি করে চলা।জীবনের নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যদিয়ে মানুষকে চলতে হয়।আছে সুখ,আনন্দ-বেদনা। আনন্দ-বেদনা বা সুখ-দুঃখ প্রকাশে অনেকেই আমরা হিতাহিতজ্ঞান শূণ্য হয়ে পড়ি। যাদের আত্মসংযম নেই তারাই এই হিতাহিতজ্ঞান শূণ্য প্রকাশ দেখিয়ে থাকেন।আনন্দ-বেদনা বা সুখ-দুঃখ অনুভূতি প্রকাশে মাঝামাঝি অবস্থানেই হচ্ছে আত্মসংযম।৷অর্থাৎ অধিক আনন্দ বা খুশিতে অন্য কেউ যেন কষ্ট না পায় এবং নিজের মধ্যে অহংকার চলে না আসে। আবার অধিক দু:খে কাতর হয়ে না পড়ে,পাথর হয়ে না যায়। বরং সংযত আচরণ বা প্রকাশেই হচ্ছে আত্মসংযম।আর যারা আত্মসংযম করতে পারেন,তারা সঠিক জীবনের দিশা খুঁজে পান।

হিংসা, বিদ্বেষ, লোভ,রাগ,নিজেকে জাহির করা,অসম প্রতিযোগিতা, মানুষের অনিষ্ট করা,মিথ্যে বলা মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।আত্মসংযমের চর্চা মানুষকে পরিনত করে। আত্মসংযম মানুষকে শেখায় মানুষকে মানুষ ভাবতে।নিজের পা মাটিতেই আছে মনে হয়। যেকোন হিংসা,বিদ্বেষ,অন্যায়মূলক কাজ থেকে বিরত রাখে। সবচেয়ে বড় বিষয় জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখে ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে।আর যারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে,তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে।তাদের জয় অবশ্যম্ভাবী।

মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের আত্মসংযমের মাস পবিত্র রমজান মাস।শুধু পানাহার থেকে বিরত নয়, এমাসে একজন মানুষ আত্মসংযমের অনেক শিক্ষা পেতে পারেন। রমজানের যে ফজিলত ও শিক্ষা তা একজন মানুষকে আত্মসংযমী হতে উৎসাহিত করে।সবার উচিত আত্মসংযম রক্ষা করে চলা। তাহলেই বদলে যাবে জীবন।আর যাদের আত্মসংযম আছে নিজেকে অসহায় ভাবে না,নিজে স্বাবলম্বী হয়, অন্যকে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে। সর্বোপরি যে কোন নেতিবাচকতা মুক্ত থেকে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকে। তাই আত্মসংযম সবার দরকার। আত্মসংযম জীবনের সঠিক দিশা দেখায়।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টবিবরণ
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@selina75
তারিখ২৪ শে মার্চ ২০২৪
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকের জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আত্মসংযমী হয়ে ওঠা প্রতিটি মানুষের ই উচিত।এই পবিত্র রমজান মাস আমাদেরকে এই শিক্ষাই দেয়।তবে এই শিক্ষা আমাদের সব সময় কাজে লাগাতে হবে।মনে রাখতে হবে একজন সংযমী মানুষের জীবন বদলে যেতে বাধ্য। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

ঠিক বলেছেন আপু সংযম ্মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। ধন্যবাদ আপু।

রমজানের যে ফজিলত ও শিক্ষা তা একজন মানুষকে আত্মসংযমী হতে উৎসাহিত করে।সবার উচিত আত্মসংযম রক্ষা করে চলা। তাহলেই বদলে যাবে জীবন।

কথাগুলো বেশ ভালো লাগলো তবে কয়জন মানুষ এরকম ভাবে বিষয়গুলোকে চিন্তা করে জীবন পরিচালনা করে??

Posted using SteemPro Mobile

এই কথাগুলো যদি আমরা মেনে চলি তবে সমাজ তথা দেশ সুন্দর হতে বাধ্য। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আসলে এই আত্মসংযমের মাসে আমাদেরকে অবশ্যই সংযমী হতে হবে৷ যদি আমরা আমাদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারি তাহলে প্রতিনিয়তই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো৷ এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে আমরা আমাদের জীবনের সকল কাজ খুব সহজে করে নিতে পারবে৷ আমাদের যেই জীবনের পথ চলা রয়েছে তাও খুব ভালোভাবে আমরা করে নিতে পারব৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।