জেনারেল রাইটিংঃ মানষিক স্বাস্থ্য।

in hive-129948 •  7 months ago 

শুভেচ্ছা সবাইকে।

বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন।সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি সবসময়। আমিও ভালো আছি।আজ ২৭শে ফাল্গুন। বসন্তকাল ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১১ই মার্চ,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।

pexels-cottonbro-studio-4101188.jpg

source

আজ আকাশে চাঁদ দেখা গিয়েছে।জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা মতে,আগামীকাল থেকে পবিত্র রমজান মাসের শুরু।ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রাতে তারাবির নামাজ ও সেহরি খাওয়ার মধ্যদিয়ে আগামীকাল সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু করতে যাচ্ছে।সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় যথাযথ নিয়ম মেনে মাসব্যাপী রোজা পালন করবেন।রমজানে শিক্ষা হোক আমাদের চলার পাথেয়।সবাইকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা।

বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে সমসাময়িক বিষয় বা কোন জনসচেতনতা মূলক বিষয় নিয়ে লিখতে চেষ্টা করি জেনারেল রাইটিং। আজকের পোস্টটিও সচেতনতা মূলক একটি পোস্ট। বিষয় মানসিক স্বাস্থ্য।যা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আশাকরি ভালো লাগবে পোস্টটি।

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।সবাই জানি এবং মানি।স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আমরা ডাক্তার -বৈদ্য থেকে শুরু করে কত কিছুই না করি।আদতে সুস্থ্য সবল অনেকেই আমরা জিজ্ঞেস করি উদাস লাগছে কেন? মন খারাপ? মন খারাপ করিস না, সব ঠিক হয়ে যাবে! আধুনিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের ভাষায় সুস্থ্য থাকা মানে শারীরিক ভাবে সুস্থ্য থাকা নয়। শারীরিক স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক স্বাস্থ্য এই তিনের সমন্বয় ভালো থাকা।ভালো স্বাস্থের অধিকারী হওয়া। একটি ছাড়া আর একটি অসম্পূর্ণ। এক্ষেত্রে সুস্থ্য ও সবল ভাবে থাকতে হলে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।

মানসিক স্বাস্থ্য হচ্ছে হতাশা,বিষাদগ্রস্ত,ভয়ভীতি ও চাপ মুক্ত থাকা। আমার চলার পথে প্রায় এ ধরণের সমস্যায় পড়তে হয়।অল্পতেই ভেঙ্গে পরে। হতাশায় নিমজ্জিত হয়।নিজের প্রতি আস্থা থাকে না। নিজেকে তখন বড্ড একা ভাবে। যা মানুষকে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা থেকে পিছিয়ে দেয়। চিন্তা করার মানসিকতা লোপ পায়, আবেগ তাড়িত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে,পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি করে। এর ফলে ক্রমাগত আচরণের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। তখন চেনা মানুষটি অচেনা হয়ে যায়। আস্তে আস্তে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যা ভয়াবহ।

উন্নত বিশ্বের দেশ গুলো ছাড়া আমাদের মত দেশ গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে তেমন চর্চা বা সচেতনতা তেমন নেই।তবে আস্তে আস্তে সচেতনতা বাড়ছে।আমাদের মত দেশে তরুণ প্রজন্ম ও নারীরা বেশি মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। আমাদের পারিবারিক কাঠামো, সামাজিক প্রথা,কুসংস্কার ও অসচেতনতা মুলত দায়ী।তাই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে বিদ্যমান কাঠামো ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা দরকার।তা না হলে দিন দিন যে ভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তাতে অবসাদ গ্রস্থ মানুষের সংখ্যা বাড়বে বৈকি।

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কোন অবহেলা না করে সচেতন হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরণাপন্ন হওয়া দরকার। এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে, মোটাদাগে কিছু বিষয় মেনে চলা অত্যাবশ্যক।যেমন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য শারীরিক ভাবে ফিট বা সুস্থ্য থাকা,যে কোন সমস্যা চেপে না যেয়ে অন্যের সাথে শেয়ার করা,বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান ও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, চুপচাপ একা না থেকে পরিবারের বা সামাজিক যে কোন কাজে অংশগ্রহণ,নিয়ম মেন ঘুমানো,খাওয়া দাওয়া করা,হাটাহাটি বা ব্যায়াম করা,প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডিভাইস বেশি ব্যবহার না করা।এবং ক্ষমা করতে শেখা জরুরি। শুধু স্বাস্থ্য নয় মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নও জরুরি। মন ঠিক তো সব ঠিক। আসুন মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে নিজে সচেতন হই অপরকে সচেতন করি।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরিselina 75
ডিভাইসRedmi Note A5
তারিখ১১ মার্চ,২০২৪
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আমরা সুস্থ জীবন বলতে বুঝি শারীরিক মানসিক এবং সামগ্রিক দিক দিয়ে সুস্থতা। যেটা সবাই চায় আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিক ভাবে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যেটা একটি মানুষকে ধ্বংস হওয়ার পথে নিয়ে যায় । আপনি খুবই সুন্দর আলোচনা করেছেন । ঠিকই বলেছেন মানসিক স্বাস্থ্য চর্চার বিষয়টি আমাদের দেশে নেই।

Posted using SteemPro Mobile

দিন দিন মানষিক অসুস্থ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনি আজকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখেছেন। আসলে শারীরিক স্বাস্থ্যের চেয়ে মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন একটি মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ কিন্তু মানসিকভাবে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে, দেখা যাবে তিনি একটা সময়ে জটিল থেকে জটিলতর শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যাবে। এমনকি তার মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখনি উপস্থাপন করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

একজন ব্যক্তি সুস্থ্যতা তার শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানষিক স্বাস্থ্যও জ্রুরী। ধন্যবাদ ভাইয়া।

মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার ব্যাপারে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমরা শারীরিকভাবে যতটাই সুস্থ হই না কেন যদি আমরা মানসিকভাবে সুস্থ না হই তাহলে আমাদের শারীরিক সুস্থতার কোন মূল্য থাকে না৷ যদি আমরা মানসিকভাবে কোন ধরনের অসুস্থতা বোধ করি তাহলে আমাদের অনেকটাই খারাপ অনুভূতি হয়৷ মানসিক অসুস্থতার কারণে অনেক সময় মৃত্যুরও ঘটনা ঘটে থাকে৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷

মানষিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সকলের সচেতন হতে হবে। মানষিকভাবে অসুস্থ্য ব্যক্তি যে কোন সময় যে কোন দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে ।যা নিজের ও সমাজের ক্ষতি করতে পারবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

মানষিক সুস্থতার মধ্যে মানুষের অনেক কিছু সম্পর্কিত থাকে। যা কখনো বলে বুঝানো যাবে না৷

Posted using SteemPro Mobile

আজকে আপনি চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন। জি আপু মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কোন অবহেলা না করে সচেতন হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আমরা কতো কিছুই না করি। কিন্তু আমাদের উচিত মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা। কেননা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লে সকল কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হব।মন ভালো না থাকলে স্বাস্থ্য দিয়ে কি হবে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। গুছিয়ে সবকিছু উপস্থাপনা করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আজ থেকেই শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। আপনাকে এজন্য শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি। যাইহোক আপনি তো দেখছি আজকে অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। প্রত্যেকটা মানুষেরই ভালো থাকার জন্য শারীরিক মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্য সুস্থ থাকা অনেক বেশি জরুরী। আর সেই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সব সময় চেষ্টা করতে হবে। আমাদের এই স্বাস্থ্য গুলোই যদি ভালো না থাকে, তাহলে আমরা কিভাবেই বা ভালো থাকবো। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে পুরোটা পড়তে।

জি ভাই একজন ব্যক্তি তখনই সুস্থ্য থাকবে যখন শারীরিক,মানষিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে। ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানসিক সাস্থ্য ঠিক রাখলে আমাদের কাছে একটু ভালো লাগবে। আর শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখাও খুবই জরুরী। এর ফলে আমরা ভালো থাকতে পারবো। আপনি আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে লিখেছেন যেটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই টপিকটা নিয়ে লিখে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। ভালো লাগলো পুরো টা।

ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।