জেনারেল রাইটিংঃ ডেঙ্গু।

in hive-129948 •  5 days ago 

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। প্রত্যাশা করি সবাই ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ৩রা আশ্বিন, শরৎকাল, ১৪৩১বঙ্গাব্দ.। ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ ।আজ একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বর্তমানে ঢাকা সহ সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। এবারই ঢাকার বাহিরের জেলেগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা বেশি কার্যকর।

d1.jpg

source

ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে এখন কম বেশি সবাই অবগত। ডেঙ্গু জ্বর হয় ডেঙ্গু ভাইরাসে। এই ভাইরাসবাহিত এডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে। প্রতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। সাধারনত ডেঙ্গু গ্রীষ্মকালীন রোগ। এই রোগ সাধারনত জুলাই মাসেই দেখা দেয়। কিন্তু এখন এর ব্যাপ্তি সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাস পর্যন্ত দেখা যায়। জনগনের সচেতনার অভাবে এবং সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন এই ডেঙ্গু রোগের প্রকট দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গু রোগ মশার কামড়ে হয়ে থাকে।ডেঙ্গু মশার বাসস্থান ধবংস করার মাধ্যমেই এই রোগের প্রকোট কমানো সম্ভব। আর এ জন্য চাই জন সচেতনতা। আমরা সবাই যদি নিজ নিজ বাসস্থানের আশেপাশে পরিস্কার রাখি এবং যেখানে সেখানে পানি জমতে না দেই তবে এডিশ মশার বংশ বিস্তার করতে পারবে না। এবং ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে।

প্রতিবছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটে। এবারও বিভিন্ন খবরের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে হাসপাতাল গুলোতে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এবার কেবল ঢাকা শহরে নয় ঢাকার বাহিরের জেলাগুলোতে রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি তথ্যমতে এবার হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির ৫৫% ই ঢাকার বাহিরের রুগী। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ঢাকা শহরের দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনে। তা প্রায় ৫৭ %।

কীট তত্ত্ববিদদের মতে ২০০০ সালের পর থেকে ঢাকায় প্রায় অর্ধেক মানুষ কোন না কোন ভাবে ডেঙ্গতে আক্রান্ত হয়েছে। তাই ঢাকায় চান্স অফ ইনফেকশন ঢাকায় কমে গেছে ,কিন্তু বাহিরের জেলাগুলোতে ডেঙ্গু রগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য ঢাকার বাহিরের জেলাগুলোতে যেনো ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি না পায় সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া বিশেষ জরুরী। সেই সাথে জনগনকে সচেতন করতে হবে।

সেই সাথে কেউ যদি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় আতংকিত না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা দরকার। সেই সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দিনের বেলা ঘুমানোর সময় মশারী টাঙ্গিয়ে ঘুমানো। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজে সচেতন হই ও অন্যকে সচেতন করি। কেবল সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@selina75
তারিখ১৮ ই সেপ্টেম্বর,২০২৪ইং\
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে আপু বর্তমানে ডেঙ্গুতে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। আসলে এই ডেঙ্গুতে যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হচ্ছে। কেন নাই ডেঙ্গু জ্বর আসলে খুব সহজেই ছাড়ছে না। যাইহোক পোস্টটা পড়ে কিছুটা সতর্ক অবলম্বন করতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর বেশ ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। তাই সকলকে সাবধানে থাকতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপনি। ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করছে বছর কে বছর। প্রতিরোধ যোগ্য একটা রোগ হওয়া সত্ত্বেও আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। প্রপার অথোরিটিই এ জন্যে বেশী দায়ী। এজন্যে আমাদেরকে ব্যক্তিগত পর্যায়েই সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরী।

ধন্যবাদ আপনাকে আবার।


ক্ষুদে স্বাস্থ্যবার্তা

প্রতিবছর প্রতি ১০০ জনে ১১ জন মহিলা প্রশ্রাবের ইনফেকশানে ভোগেন। তাদের মধ্যে আবার ২৫% রুগী পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে আবার একই রোগে আক্রান্ত হন (প্রশ্রাবের ইনফেকশান)। মুলকথা হচ্ছে, বারবার প্রশ্রাবের ইনফেকশান এর বিষয়টা মহিলাদের জন্যে খুবই সচারচর ঘটে থাকে। সাধারণত, এটা ঠেকানো জন্যে ডাক্তাররা লম্বা সময়ের জন্যে এন্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। এই লম্বা সময় এন্টিবায়োটিক খাওয়ার জন্যে ঐ ওষুধের কিছু জটিলতা দেখা যেতে পারে। তাহলে উপায়?

স্পেনের Inmunotek S.L. কোম্পানি একটা ভ্যাক্সিন তৈরী করছে। তারা এটার নাম দিয়েছে Uromune । মজার ব্যাপার হচ্ছে এটা কোন ইনজেকশান না (সুইয়ের ভয় নাই)। এটা একটা স্প্রে। স্প্রে নিতে হবে জিহ্ববার নিচে দিন দুই বার করে মোট ৩ মাস। এটার কার্যকারিতা নিয়ে করা স্ট্যাডিগুলো খুবই আশাব্যঞ্জক রেজাল্ট দিচ্ছে। এটা অলরেডি ২৬ টা দেশে পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরো জানতে এই স্ট্যাডিটা পড়তে পারেন।

ঠিক বলেছেন। প্রপার অথোরিটি ঠিকভাবে কাজ করছে না বলে প্রতি বছর ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারন করছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আসলে কয়েকদিন আগে আমারও খুব জ্বর হয়েছিল। বিশেষ করে ডাক্তার আমাকে এই ডেঙ্গু টেস্ট করার জন্য বলেছিল। যদিও আমি টেস্ট করেছিলাম এবং টেস্টের নেগেটিভ এসেছিল। আর আমরা যদি যেখানে সেখানে আবর্জনা না ফেলে একটা নির্দিষ্ট জায়গা আবর্জনা ফেলি তাহলে কিন্তু ডেঙ্গুর মতো এমন ব্যাধি আর কখনো হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে একটা সচেতন মূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এখন জ্বর হলেই ডাক্তার ডেঙ্গু টেস্ট দেয়। তবে এটা জেনে ভালো লাগলো যে আপনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার পোস্ট টা বেশ তথ‍্যবহুল ছিল। এইতো আর কিছুদিন পরেই ঢাকা সহ সারাদেশে শুরু হবে ডেঙ্গু মহামারি। অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটবে। কিন্তু তারপরও আমরা সচেতন হয় না। এই সমস‍্যার নির্মূল করার চেষ্টা করি না। বেশ ভালো লিখেছেন আপনি।

আমরা জনগন যদি একটু সচেতন হই, তবে অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার সচেতন মূলক পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলেই বর্তমানে ডেঙ্গু আমাদের জন্য অনেক বড় একটি আতঙ্কের নাম। তাই আতঙ্কিত না হয়ে, যদি আমরা সবাই সচেতন থাকি তাহলে অবশ্যই এর হাত থেকে রক্ষা পাবো ইন-সা-আল্লাহ।

আমাদের সচেতনতাই পারি এই ডেঙ্গু থেকে মুক্তির উপায়। মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।

অনেক ধন্যবাদ এরকম সচেতনতা মূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷ আসলে ডেঙ্গু এখন অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে এবং এই ডেঙ্গুতে আমরা অনেকে আতঙ্কিত হয়ে যাই৷ তবে আমরা আতঙ্কিত না হয়ে যদি আমরা এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সচেতন হতে পারি তাহলে আমরা ভালোভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷