রেসিপিঃগোটা আমড়ার টক-ঝাল-মিস্টি আচার।

বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। নতুন নতুন রেসিপি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝেই নতুন রেসিপি তৈরি করি। আজ আমি একটি আচারের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।এখন বাজারে প্রচুর আমRa পাওয়া যাচ্ছে। আমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সি ভিটামিন যা আমদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমরা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।শরীরে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরনে সহায়তা করে। আমড়া কাঁচা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই আমড়ার আচার খেতেও বেশ মজা। আজ আমি সেই আমড়ার আচার তৈরি করেছি। সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। টক,ঝাল,মিষ্টি স্বাদের আমড়ার এই আচারটি খেতে বেশ মজা ।আমার কাছেতো বেশ মজা লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। আমড়ার এই সিজনে একদিন বানিয়ে দেখতে পারেন এই আচারটি। এই রেসিপিটি তৈরি করতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি আমড়া ও বিভিন্ন ধরনের মশলা সহ আরও কিছু উপকরণ। যা নিম্নে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে। বন্ধুরা, আশাকরি গোটা আমড়ার টক-ঝাল-মিষ্টি আচার এর রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।

এবার আমড়ার আচার বানানোর জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পাঁচ ফোড়ন ও শুকনা মরিচ চিরে দিয়ে দিয়েছি।

এরপর তাতে দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি। এবং রসুন কোয়াগুলো দিয়ে দিয়েছি। কিছুটা ভেজে নিয়ে লবন ও মরিচ মাখা আমড়া গুলো দিয়ে দিয়েছি।

আমড়াগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সকল কিছু আবারও ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এবন কড়াই এ ঢাকনা দিয়ে ১০ -১২ মিনিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।

আমড়াগুলো কিছুটা সিদ্ধ হয়ে এলে পরিমান মতো চিনি ওসিরকা দিয়ে আরও ৫-৬ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি। যখন আমড়াগুলো পানি শুকিয়ে আঠালো ভাব চলে আসবে তখন সব কিছু ঠিক আছে কিনা দেখে নামিয়ে নিয়েছি। আর এভাবেই বানিয়ে নিলাম গোটা আমড়ার টক-ঝাল-মিস্টি আচার।

এবার একটি বাটিয়ে তুলে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।আমড়ার এই আচারটি ফ্রিজ ছাড়াও বাহিরে অনেক দিন রেখে খাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে এয়ার টাইড বোয়ামে রাখতে হবে।

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।