সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি সবসময়। আমিও ভালো আছি। আজ ২৭ অগ্রাহায়ন হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১২ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।
বগি নাম্বারঃগ
যারা আমার পোস্ট ফলো করেন,তারা নিশ্চয়ই জানেন, আমি গ্রামের বাড়ীতে ছিলাম। আজ ঢাকায় এসেছি। ১৫ দিন ছিলাম গ্রামে। গ্রামে এখন আনন্দ আর আনন্দ। নতুন ধানের গন্ধ চারিদিকে। মন মাতোয়ারা হয়ে যায়। এই সময়ে কখনো গ্রামে এতদিন ছিলাম না! এবারেই প্রথম এতদিন থাকা। হেমন্তের গ্রামীণ সকাল আর বিকেল সত্যিই মুগ্ধ করার মত।গ্রামের সহজ সরল মানুষ গুলো এখন ভীষণ ব্যস্ত। দম ফেলানোর ফুসরত নেই তাদের। এবার বেশ কিছুদিন গ্রামে থাকায় অনেক মানুষের সাথে কথা হয়েছে। তাদের অভাব অভিযোগ, ভালো লাগা, আনন্দ-বেদনা, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা কত কথা। এবার একটি বিষয় খেয়াল করেছি গ্রামের মানুষ তাদের সন্তান্দের পড়ালেখার বিষয়ে এখন অনেক সিরিয়াস। অনেক বিষয়ে তাদের অধিকার সচেতনও মনে হয়েছে। আর্থিক ভাবে তারা এখন অনেক স্বচ্ছল।কর্মের জন্য অনেকেই শহর মুখি। একারণে গ্রামে এখন কাজের মানুষেরও বেশ সংকট। বন্ধুরা,গ্রামের ফিরিস্তি নিয়ে আজ কিন্তু আমার ব্লগ নয় আজ আমি পার্বতীপুর থেকে ঢাকায় ফেরার ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
আমাদের ট্রেনে সময় ছিল পার্বতীপুরে সকাল ১০,৪৫ মিনিটে। আমি বরাবরেই ট্রেন ছাড়ার সময়ের ২০/২৫ মিনিট আগে ষ্টেশনে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। সকাল ১০ টায় বাসা থেকে বের হওয়ার প্লা্ন করে রাতে ঘুমাতে যাই। বাড়ী থেকে ষ্টেশনে যেতে চার্জার ভ্যান বা অটোতে ২০/২৫ মিনিট সময় লাগে। সকালে ঘুম থেকে উঠে কাপড় ও অন্যান্য জিনিস পত্র গোছানো কমপ্লিট করে ,নাস্তা খেয়ে রেডি ষ্টেশনে যাওয়ার জন্য। তখন আমার বর বলে, গতকাল রাতে ঢাকা থেকে ৩ ঘন্টা দেরিতে ছেড়েছে ট্রেনটি আজ ট্রেন লেট হবে। আস্তে ধীরে বের হই বলল, ঢিলামো শুরু করে দিয়েছি।আবার বলছে, ব্যাকাপ ট্রেন যদি থাকে তাহলে অবশ্য রাইট টাইমে ট্রেন আসবে। একথা শুনে আমিও নাছোর বান্ধা ! তাগাদা দিলাম যথা সময়ে ষ্টেশনে যাওয়ার জন্য। কিন্তু বিপত্তি বাধলো যার অটোতে যাব সে ট্রেন লেটের কথা শুনে আবার বাইরে চলে গিয়েছে। ফোন করার পর যখন আসলো তখন সকাল ১০,৩০টা বেজে গিয়েছে। সিডিউল টাইমের আর ১৫ মিনিট বাকী। যেতে সময় লাগবে ২০/২৫ মিনিট। দুরু দুরুবুকে রওনা দিলাম পার্বতীপুর ষ্টেশনের উদ্দেশ্যে।
আজকের সকালটা বেশ সুন্দর। ঝলমলে রোদ। গত দু"দিন ছিল কুয়াছাচ্ছন্ন। সূর্য্যি মামা উঁকি মেরেও তাকায়নি। অটো ছুটছে গন্তব্যের দিকে ।মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে। যে সব মাঠে এখনো ধান কাটা হয়নি,রোদের ছটায় সে মাঠে বা জমিতে সোনালী আভা ঠিকরে পড়ছে। আবার জমিতে ধান কাটা ও ধান বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে শহরে প্রবেশ করেছি। একটু পরেই ষ্টেশন। ষ্টেশনে চোখ যেতেই অটো চালক বলে উঠলো, ট্রেনতো চলে এসেছে,ষ্টেশনে চলে এসেছে। ষ্টেশন দেখা গেলেও অটোতে ৫ মিনিট লাগবে। হেঁটে গেলে ২/৩ মিনিট। এত লাগেজ নিয়ে হাঁটাও মুশকিল! আমার বুকের দুরু দুরু অবস্থা বাড়ছে। ট্রেন ফেল করলে আবার টিকেট পেতে সমস্যা। পলিটিক্যাল সমস্যার কারণে {অবরোধ-হরতাল} ট্রেনের টিকেটের চাহিদা এখন অনেক বেশি। ভাবতে ভাবতেই ষ্টেশনে হাজির। এককুলি জিজ্ঞেস না করেই লাগেজ কাঁধে নিয়ে শুধু বলল বগি নম্বর কত? গ বগি বলতেই কুলির দৌড়। আমারাও দৌড়ে ট্রেনে উঠলাম। সিটে যেতে না যেতেই ট্রেনের হুইসেল।এক মিনিট দেরি হলেই ট্রেন ফেল হয়ে যেত। সময় কত মূল্যবান। ভাগ্যিস ট্রেনটি ১০ মিনিট লেট ছিল।নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছেছি। সবাই ভালো থাকবেন। আবার দেখা হবে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আগামিকাল। শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | লাইফ স্টাইল |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন গ্রামে নতুন ধানের গন্ধ। গ্রামের মানুষ এখন বাচ্চাদের লেখাপড়া নিয়ে খুব সিরিয়াস। এটা খুব ভালো কিন্তুু।আসলে ট্রেন যতই লেট হোক না কেন আমাদের উচিত সঠিক সময়ে ষ্টেশনে পৌঁছানো। অটোওয়ালার জন্য আপনি আজ ট্রেন ফেল করতে গিয়েও করেন নি।আসলে আমরা সময়ের মূল্য বুঝি না কিন্তুু এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে সময়ের মূল্য কেমন তা উপলব্ধি করতে পারি।অবশেষে ট্রেনে সুস্থ ভাবে উঠতে পেরেছেন এবং নিরাপদে পৌঁছাতে পেরেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের শেয়ার করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু গ্রামে এখন নতুন ধানের গন্ধে মৌ মৌ করছে।ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit