প্রবাসী বান্ধবীর মেয়েকে গয়না উপহার।

in hive-129948 •  last year 

সবাইকে শুভেচ্ছা।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি আষাঢ়ে গরম-রোদ-বৃষ্টি সবকিছু নিয়ে ভালই আছেন!আমিও আছি মোটামুটি।আজ ৩০ আষাঢ়, বর্ষাকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৪ জুলাই,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। ভ্যাপসা গরম-রোদ এর মাঝেই বিকেল বেলা ঝুম বৃষ্টি। বর্ষার লীলাখেলা বেশ চললেও যেহারে বৃষ্টি হওয়া দরকার তার কিন্তু দেখা নেই এখনো। আষাঢ় মাস শেষ হতে চলল কিন্তু বৃষ্টির পানিতে বন্যার দেখা এখনো পাওয়া গেলনা। যদিও বন্যা অনেকের জন্য অভিশাপ। বিজ্ঞানীদের মতে শীত- বর্ষা এখন আর আগের মত হবেনা।কারণ দিন দিন প্রাণ- প্রকৃতি ধবংস হওয়ার ফলে গরম বৃদ্ধি পাচ্ছে পৃথিবীতে। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধ এখন বৈশ্বিক সমস্যা। আসুন প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা করি। আমাদের পৃথিবীকে আমরাই বাচাই। বন্ধুরা, পরিবেশ-প্রতিবেশ নিয়ে অনেক কথা হলো। আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি একটি ভাল লাগার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। আর তা হচ্ছে প্রবাসী প্রিয় বান্ধবীর মেয়েকে আমার নিজ হাতে তৈরি গয়না সেট উপহার। আশা করি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন।

gg-2.jpg

আপনারা যারা আমার ব্লগ নিয়মিত ফলো করেন,তারা জানেন,আমি হাতে তৈরি গয়না তৈরি করতে পছন্দ করি।ইতোমধ্যেই বেশ কিছু গয়না তৈরির পোস্ট শেয়ার করেছি এবং আপনাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। নিজে পড়ার জন্য তৈরি করি। এবং বন্ধু-স্বজন-পরিচিত জনদের উপহার হিসেবে গয়না দিয়ে থাকি। আবার কখনও কখনও তাদের চাহিদা মত গয়না বানিয়ে দেই। এজন্য আমার বন্ধু-সার্কেল সবাই কমবেশি জানে আমি হাতের তৈরি গয়না করি। আর তার রেস ধরেই আমার হংকং প্রবাসী বান্ধবীর কন্যার জন্য এগুলো তৈরি করা। এই গয়না গুলো সব দেশীয় লোকজ মোটিভ ফুটিয়ে করা হয়েছে। প্রবাসে বাঙ্গালীয়ানা ফুটিয়ে তুলতে কাপড় ও সুতা দিয়ে সেটটি তৈরি করিছি। কিছু মেটাল ও মোটা কাগজও ব্যবহার করেছি। আর একটি মেটাল ও সুতা দিয়ে।

gg-3.jpg

আমার প্রবাসী বান্ধবী ব্যবসার সূত্রে স্বামী-সন্তানসহ দীর্ঘদিন ধরেই হংকং এ থাকেন। বান্ধবীর মেয়ের পড়ালেখা-বেড়ে উঠা হংকংয়েই। সদ্য পোস্ট গ্রাজুয়েট শেষ করে বাবা-মার ব্যবসায় যুক্ত না হয়ে আলাদা প্রতিষ্টানে চাকুরিতে জয়েন করেছে। বান্ধবীর মেয়ে বিদেশী সংস্কৃতিতে বড় হলেও দেশীয় ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ভুলে যায়নি। বরং হংকংয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় পার্টিতে আমাদের ঐতিহ্য তুলে ধরে তার পরিধেয় পোশাক-গয়নার মাধ্যমে।বছরে কমপক্ষে একবার দেশে এসে আড়ং থেকে পোশাক-গয়না সংগ্রহ করে থাকে। গত কোরবানির ঈদে আমার বান্ধবী একা আসে দেশে। বাবা-মা ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন্দের সাথে ঈদ করতে। আসার আগেই মেয়ের চাহিদার কথা বলে আমাকে কয়েকটি গয়না বানাতে বলে। সে অনুযায়ী গয়না গুলো তৈরি করে হংকং যাওয়ার আগে বান্ধবীর হাতে তুলে দেই তার মেয়েকে দেয়ার জন্য। বান্ধবী এখন হংকংয়ে। হংকংয়ে যাওয়ার পরেই বান্ধবীর ফোন। তার মেয়ে আমার দেয়া গয়না ভিষণ পছন্দ করেছে। শুনে আমারও ভালো লাগলো যে, বান্ধরীর মেয়ের জন্য গয়না তৈরির যে শ্রম তা বৃথা যায়নি। আমি শখের বসে গয়না তৈরি করি। বন্ধু-আত্নীয় পরিজনদের আমার হাতে তৈরি গয়না গিফট করে থাকি। তাদের অনুরোধেও মাঝে মাঝে গয়না তৈরি করে থাকি। আর অনেকদিন ধরেই নিজের পরিধেয় গয়না নিজেই তৈরি করে ব্যবহার করি। এবার প্রবাসী বান্ধবীর মেয়েকে গয়না গিফট করতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। আরো ভালো লেগেছে আমার তৈরি গয়না তার পছন্দ হয়েছে জেনে।

gg-1.jpg

বন্ধুরা, কেমন হয়েছে গয়না গুলো? আশাকরি আজকের প্রবাসী বান্ধবীর মেয়েকে গয়না উপহার পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মোবাইল ফটোগ্রাফিঃ স্যামসং এ১০

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

আপু আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সত্যি আপু আপনি নিজে সুন্দর করে গয়না তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।তবে শুধু বান্ধবীর মেয়েদের দিলেই হবে আমাদের জন্য কিছু পাঠিয়ে দিন। সত্যি গয়না গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

ঠিকানা পঠিয়ে দেন গয়না দেয়ার জন্য।অনেক ধন্যবাদ আপু।

এখন বৃষ্টির পানিতে বন্যা ওঠা তো দূরের কথা, রাস্তাঘাটে যে কিছুটা হলেও পানি জমে থাকতো সেরকম ও দেখা যায় না। সবকিছু অনেক বেশি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে আগের থেকে। যাইহোক আপনার প্রবাসী বান্ধবীর মেয়েকে দেখছি অনেক সুন্দর গহনা উপহার দিয়েছেন। এত সুন্দর গহনা দেখে তার পছন্দ হওয়ারই কথা। আপনি অনেক সুন্দর হাতের কাজ করতে পারেন।

আবহাওয়া পরিবর্তনই এর কারন।অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপনার তৈরি কৃত এরকম কাজগুলো বেশ কয়েকবার দেখেছি আমি। আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর সুন্দর কাজ করতে পারেন নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে। আপনার তৈরি করা গহনা দেখে আমার কাছে ও ভীষণ ভালো লেগেছে। এই গহনা গুলো কিন্তু আমারও খুব পছন্দ হয়েছে। আপনার বান্ধবীর মেয়ে এগুলো পছন্দ করেছে এটা জেনে খুশি হয়েছি।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনি হংকং প্রতিবেশীর বান্ধবীর কন্যার জন্য এইগুলো তৈরি করেছেন। তবে গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। তার মেয়েকে আপনি এটা দিয়েছেন এবং সে তার ভীষণ পছন্দ হয়েছে এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। কারো জন্য কোন জিনিস তৈরি করলে যদি সে তার ভালো লাগে তাহলে পরিশ্রমটা স্বার্থ হয়। অনেক ভালো হয়েছে আপু ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপু, আপনি যে গয়না তৈরিতে খুবই পারদর্শী তা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছিলাম। আর আজ আপনি যে গয়না গুলো আপনার হংকং প্রবাসী বান্ধবীর মেয়ের জন্য পাঠিয়েছেন সেই গয়নাগুলো খুবই সুন্দর। আর এত সুন্দর গয়না পেলে খুশি তো হবারই কথা। আপু আপনার তৈরি গয়না গুলোর প্রশংসা না করলেই নয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, প্রবাসী বান্ধবীর মেয়েকে গয়না উপহার দেয়ার সুন্দর অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।