জেনারেল রাইটিংঃ শব্দদূষণ।

in hive-129948 •  last year 

সবাইকে শুভেচ্ছা।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন সবাই। আমিও ভালো আছি। ঋতু বৈচিত্র্য অনুযায়ী শুরু হয়েছে প্রকৃতির পালাবদল। শীতের আগমনী বার্তা জানান দিতে শুরু হয়েছে হেমন্ত ঋতুর।আজ হেমন্তের শুরু। পহেলা কার্তিক। এবার হেমন্র ছুয়ে যাক সবার মন-প্রাণ! প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, আজ হাজির হয়েছি একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে।আজ শব্দদূষণ নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।আশাকরি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন।

noise1.jpg

source

শব্দদূষণ আমরা সবাই জানি। শব্দদূষণে বিড়াম্বনার শিকার হয়ে কান চেপে ধরে থাকেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।কোন না কোন সময় আমরা শব্দদূষণের শিকার হয়েছি।এবং শব্দদূষণ এলাকা থেকে বের হয়ে আমরা হাফ ছেড়ে বেঁচেছি। তারমানে দাড়াচ্ছে শব্দদূষণ মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর। শুধু মানবজাতি না অন্যান্য প্রাণীকুলের জন্যও ক্ষতিকর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর আমাদের পরিবেশের জন্য। আর পরিবেশের ক্ষতি মানেই প্রাণীকুলের ক্ষতি।

শব্দদূষণের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি বা মানুষের ক্ষতি বা প্রাণীকুলের ক্ষতি করছি আমরা মানুষেরাই।প্রকৃতিগত ভাবে কিছু শব্দদূষণ হয়ে থাকে যেমন,মেঘের গর্জন, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নি উৎপাত ইত্যাদির মাধ্যমে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি করে থাকে মানুষ। কলকারখানা, যানবাহন, নির্মাণ কাজ,বিভিন্ন জনসমাগম, যু দ্ধ বিমান, বোমাবাজি,আতশবাজি,মাইক,সাউন্ডবক্স,উচ্চস্বরে চিৎকার-চেচামেচি প্রভৃতির কারণে।আবার পশুপাখিরও চেঁচামেচিতেও শব্দদূষণ হয়ে থাকে।পশুপাখি বা প্রকৃতির মাধ্যমে যে শব্দদূষণ হয়ে থাকে তা রোধ করার ক্ষমতা আমাদের নেই কিন্তু সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ মানুষের মাধ্যমে হয়ে থাকে তা সচেতনতার মধ্যদিয়ে রোধ করা সম্ভব।

শব্দদূষণ কেন রোধ করা জরুরি তা কমবেশি আমরা সবাই উপলব্ধি করি। একজন মানুষের শব্দের মাত্রা ১-৭৫ ডেসিবল স্বাস্থ্যসম্মত। তার বেশি হলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কখনো কখনো স্বাস্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। মঞ্চ ইন্দ্রিয়র একটি হচ্ছে আমাদের কান। আর কানকে রক্ষার জন্য শব্দদূষণ জরুরি। শুধু কান নয় হার্টের রোগী, মাথার সমস্যা বা যে কোন রোগীর জন্য শব্দদূষণ রোধ জরুরি। শিশুর বিকাশে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া পশুপাখির প্রজননের ক্ষেত্রে শব্দদূষণ বড় বাধা। একারণেই হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের চেনা-পরিচিত অনেক পশুপাখি।

শব্দদূষণের ফলে দিন দিন বধির মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে মানুষের নানা শারীরিক জটিলতা। তাহলে রোধ করবে কে এই শব্দদূষণ? এক্ষেত্রে সরকারের রোল সবচেয়ে বড়। শব্দদূষণ রোধে আইন আছে সে আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং মানুষকে সচেতন করার নানা উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। নাগরিক হিসেবে আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে পারি। পরিশেষে একটি কথা বলে আজকের লেখা শেষ করবো। কাজের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় গেলে শব্দদূষণের ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হই আমরা। গাড়ীর আওয়াজ আর হর্ণের বিকট শব্দে ঠিকে থাকা দায়। অসুস্থ্য ফিল হয়। কেউ দায়িত্ববানের পরিচয় দিচ্ছে না। তারপরেও আশাবাদী সরকার ও নাগরিকের যৌথ প্রয়াসই পারে শব্দদূষণ মুক্ত বাড়ী-পাড়া-মহল্লা-দেশ গড়তে। আসুন নিজে সচেতন হই,অপরকে সচেতন করি। শব্দদূষণ মুক্ত দেশ গড়ি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@selina75
তারিখ১৭ অক্টোবর,২০২৩
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক তুলে ধরেছেন আজকে, হ্যাঁ শব্দ দূষণের জন্যই মানুষের শারীরিক জটিলতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সবারই উচিত এই শব্দ দূষণ সম্পর্কে নিজেদেরকে সচেতন হওয়া কেননা নিজেরা সচেতন হলেই পরিবেশটাকে আবার কিছুটা হলেও শুধরে নেওয়া সম্ভব।

Posted using SteemPro Mobile

শব্দ দূষনের জন্য দিন দিন মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাহ! আপু খুবই সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন পড়ে বেশ ভালই লাগলো। আসলে আমাদের সরকারের একার পক্ষে এই শব্দ দূষণ রোধ করা কোনভাবেই সম্ভব নয় যদি না আমরা জনগণ সবাই যার যার অবস্থান থেকে যার যার দায়িত্ব নিয়ে কাজগুলো না করি তাহলে এই শব্দ দূষণ কমানো সম্ভব না। তবে এক্ষেত্রে সরকারকে তার যে আইন সেটা কঠিন ভাবে প্রয়োগ করতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ঠিক তাই আপু সরকার ও জনগনের যৌথ প্রচেস্টাই পারে শব্দ দূষন রোধ করতে।ধন্যবাদ আপু

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের শব্দ দূষণ বিষয়টি সবচেয়ে বেশি। যেটা প্রতিকার থেকে প্রতিনিয়ত তা বৃদ্ধি পাচ্ছে যেটা মানবজাতির জন্য অনেক খারাপ একটা দিক। সেই বিষয়ে দারুন আলোচনা করেছেন আমাদের সচেতনতা বোধ থাকা উচিত এই বিষয়টি সবারই জানা উচিত।

Posted using SteemPro Mobile

আমাদের সবারই কর্তব্য শব্দ দূষন রোধে কাজ করা।ধন্যবাদ ভাইয়া।

দারুন একটি টপিক্স নিয়ে তো দেখছি আপনি আজ আমাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা গুলো সব বাস্তব সম্মত। প্রতিদিন এমন সব শব্দ দূষণ হচ্ছে যে আর বলার নয়। রাস্তায় যখন বের হই তখন দেখি কিছু মানুষ অযথায় রাস্তার মাঝে গাড়ীতে হয়রান বাজায়। আবার আশে পাশে এমন জোড়ে গান ছাড়ে যে কানের পর্দাও ফেটে যাওয়ার উপায় হয়। সব মিলিয়ে কিন্তু আমাদের অবস্থা বেশ শোচনীয়।

শব্দ দূষনের জন্য বাহিরে বের হ ওয়াই কষ্টকর ।ধন্যবাদ আপু।

শব্দ দূষণ সত্যি আমাদের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক। তবে বর্তমান অনেক বেশি শব্দ দূষণ হচ্ছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু বর্তমান মানুষের মাধ্যমেই বেশি শব্দ দূষণ হচ্ছে। এই শব্দ দূষণের কারণে বধির মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার আজকের টপিকটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।

আমরা মানুষরাই শব্দ দূষনের প্রধান কারন।ধন্যবাদ আপু।

খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন আপু।এটা সত্যি শব্দ দূষন হলে কান চেপে ধরেনি এমন মানুষ একজনও নেই।আমাদের সকলের শব্দদূষনের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।নিজের আনন্দ যেনো অন্যের কষ্টের কারন হয়ে না দাঁড়ায়,সেদিকেও নজর রাখতে হবে।।ধন্যবাদ আপু।

আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গায় সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ আপু।

শব্দদূষণকে আমি অনেক ঘৃণা করি। এর ফলে সবাই ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে। অনেক সময় যখন আমি পড়াশোনা করি তখন অতিরিক্ত শব্দ হলে আমি খুব বিরক্ত হই। আপনি একটি সময়োপযোগী পোস্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

বর্তমানে শব্দ দূষণ আমাদের জন্য বড় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আপু। শহরের এই চরম শব্দ দূষণ মানুষকে দিন দিন অসুস্থ করে তুলছে। শব্দ দূষণের ফলে দিন দিন বধির মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে এটা ঠিক কথা। শব্দ দূষণের ফলে মানসিক অনেক জটিলতাও দেখা যায় যা অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে। এই শব্দ দূষণ কমানোর জন্য সরকারি আইনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।

জনগন ও সরকারের যৌথ চেস্টাই পারে শব্দ দূষণ কমাতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।