ফটোগ্রাফিঃহাতের তৈরি গহনার ফটোগ্রাফি।

in hive-129948 •  last year 

সবাইকে শরৎশুভেচ্ছা।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,কেমন আছেন? সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভাল আছি।আজ ১ ভাদ্র, শরৎকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৬ আগস্ট,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।মন ভোলানো রুপের ঋতু শরৎকাল শুরু হয়ে গেছে। শরৎকাল আসলেই অপরুপ।ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু,কাশফুলের দোলা,মেঘের ভেসে বেড়ানো এক মনমাতানো প্রকৃতির পরশ। আবার এই শরৎকালে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি আছে অসহনীয় তালপাকা গরম। আশাকরি সবার ভালো কাটবে এবারের শরৎকাল।বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। আর আজকের ফটোগ্রাফি গুলো হচ্ছে আমার নিজ হাতে তৈরি গয়নার ফটোগ্রাফি। গয়না গুলো বিভিন্ন সময়ে তৈরি করেছিলাম নিজে ব্যবহারের জন্য ও কারো কারো অনুরোধে। সেই সব গয়না থেকে বাছাই করে কিছু গয়নার ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

প্রথম ফটোগ্রাফি

or2.jpg

এ গহনাটি তৈরি করেছিলাম নিজের জন্য। শাড়ীর সাথে ম্যাচ করে একটি অনুষ্ঠানে পারার জন্য।গহনা তৈরির উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি সাদা মুক্ত আর গোলাপী রং এর আর্টিফিশিয়াল পাথর। শাড়ীর সাথে পরার জন্য একটি পারফেক্ট গহনা।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

or 1.jpg

এই গহনাটি বানিয়েছি আমার বোনের অনুরোধে। একটি অনুষ্ঠানে পরার জন্য বানিয়ে দিয়েছিলাম। উপকরণ হল ক্রিস্টাল বিডস আর মেটালের বল। এবং টারসেল ব্যবহার করেছি বড় ছোট করার জন্য।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

or5.jpg

এ গহনার গ্লাস বিডসগুলো দেখতে ভালো লাগার কারনে কিনে এনেছিলাম। এ গহনা তৈরিতে ব্যবহার করেছি গ্লাস বিডস ও রুপালী রং এর মেটালের পুথি।

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

or6.jpg

এ গহনাটি বানিয়েছিলাম পরিচিত একজনের অনুরোধে। এখানে ব্যবহার করেছি সাদা মুক্তা ও এ্যাশ রং এর কাঁচের পুথি । এ গহনাতেও টারসেল ব্যবহার করেছি বড় ছোট করার জন্য।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

or3.jpg

এ গহনাটি ২৬ শে মার্চ উপলক্ষ্যে বানানো। নকশী ডিজাইনের হাতের কাজ দিয়ে বানানো। এবং ব্যবহার করেছি কটন বল লাল ও সবুজ রং এর ঝুনঝুনি। ।

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

or10.jpg

চুড়ীগুলোও বানিয়েছি ২৬শে মার্চ উপলক্ষ্যে। বিভিন্ন নকশী ডিজাইনের হাতের কাজ ব্যবহার করা হয়েছে।

সপ্তম ফটোগ্রাফি

oe8.jpg

এ চুড়িগুল বানিয়েছি নিজের ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে। কাপড় টাই ডাই করে এ চুড়িগুলো তৈরি করা হয়েছি।

আশাকরি বিভিন্ন সময় ও উপলক্ষ্যে আমার নিজের হাতে তৈরি করা গহনার ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীফটোগ্রাফি
পোস্ট তৈরি@selina75
ডিভাইসRedmi Note5A
তারিখ১৬ আগস্ট, ২০২৩
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথেথাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার সবগুলো গহনা না দেখা হলেও এগুলো দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু গহনা তৈরি করেছেন। এগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কয়েকটা আমার জন্য পাঠিয়ে দেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

ঠিক আছে পাঠিয়ে দেবো ঠিকানাটা দেনতো আগে। অনেক ধন্যবাদ আপু।

বাহ আপনি তো খুব সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করতে পারেন। আপনার প্রশংসা না করে পারলাম না।আপনার হাতের তৈরি প্রত্যেকটা জিনিস খুবই সুন্দর ছিল এবং ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার তৈরি এত সুন্দর সুন্দর কিছু অলংকার আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন হাতের তৈরি গহনার ফটোগ্রাফি। আসলে আপনার গহনা তৈরি গুলো দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল আপু। আপনি তো বেশ হাতের কাছে অনেক দক্ষ আপু। আপনি ২৬শে মার্চ উপলক্ষ্যে যে চুরিগুলো বানিয়েছিলেন দেখতে আমার কাছে সেগুলো বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার হাতের কাজগুলো আমার খুবই পছন্দের আপু। সব সময় নিজের হাতে অনেক সুন্দর কাজ করে থাকেন। আপনি অনেক সুন্দর করে গহনার সেট তৈরি করেছেন এবং সেগুলোর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। নিজের হাতে যে কোন কিছু তৈরি করে লাগানোর আনন্দ অন্যরকম হয়। আসলে প্রত্যেকটা মানুষ যদি যেকোন কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে সে অবশ্যই সেই কাজগুলো করতে পারবে। এভাবেই নিজের কাজগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন আশা করছি।

হাতের কাজ করা আমার পছন্দের একটি বিষয় ।আমি ভালোবাসি বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ করতে। অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

আপনি তো দেখছি আপু নিজ হাতে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু তৈরি করতে পারেন। আজকের এই পোস্ট না দেখলে হয়তো এত কিছু জানতাম না। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই সুন্দর কারু কাজ দেখে। আসলে এই জাতীয় জিনিস তৈরি করতে বেশ ভালো লাগে এবং অনেক ধৈর্য শক্তি থাকা প্রয়োজন।

ঠিক তাই ভাইয়া হাতের কাজ করার জন্য ধৈর্য্য থাকা দরকার। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।