বন্ধুরা সকলকে কাব্যিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।

বর্ষসেরা উপহার পাওয়ার অনুভূতি:-

---

আমার বাংলা ব্লগের ৩য় বর্ষপূর্তিতে উপহার পাওয়ার অনুভূতি অবর্ণনীয়। তিন বছর ধরে লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার পাঠকদের সাথে একটি গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছি। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন আমাকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করেছে। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে , যখন আমি উপহারটি হাতে পেলাম, তখন সত্যিই এক অসাধারণ অনুভূতি কাজ করছিল।

---

উপহারটি খোলার মুহূর্তটি ছিল আনন্দ ও কৌতূহলে ভরা। সেটি ছিল আমার বংলা ব্লগের সম্মানিত ফাউন্ডার, সম্মানিত এডমিন, মডারেটর এবং পাঠকদের ভালোবাসার প্রতীক। যা আমার লেখার প্রতি তাদের আস্থা ও ভালোবাসা প্রকাশ করে। এই অনুভূতি শুধু আনন্দের নয়, এটি একটি বড় দায়িত্বেরও প্রতীক। কারণ, এই উপহার আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে আমার লেখার প্রতি পাঠকদের প্রত্যাশা কতটা গভীর।

বর্ষপূর্তির এই উপহারটি আমাকে আরও ভালো লেখার এবং নতুন বিষয়বস্তু নিয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে। এটি ছিল আমার পরিশ্রমের স্বীকৃতি, যা আমাকে ভবিষ্যতে আরও পরিশ্রমী ও সৃজনশীল হতে অনুপ্রাণিত করেছে।

সর্বোপরি, উপহার পাওয়ার অনুভূতি শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্ববোধ ও কৃতজ্ঞতার অনুভূতি। আমার বাংলা ব্লগের প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা আরও বেড়ে গেছে। এবং আমি প্রতিজ্ঞা করেছি যে, আমি সর্বদা তাদের জন্য সেরা লেখাটি উপহার দেবার চেষ্টা করবো।

কবিতা আবৃত্তির জন্য উপহার পাওয়ার অনুভূতি সত্যিই এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। এটি ছিল আবেগ, আনন্দ, এবং কৃতজ্ঞতার মিশেল। যখন প্রতি হ্যাংআউটে আমার কবিতা আবৃত্তি শেষ হয়, তখন সবার গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে উজ্জীবিত করে।এবং করতালি দেয়া হয়, তখন আমি অনুভব করি যে, আমার পরিশ্রম ও ভালোবাসা স্বীকৃতি পাচ্ছে।

উপহারটি হাতে পাওয়ার মুহূর্তটি ছিল আনন্দময় এবং গর্বিত হওয়ার একটি মুহূর্ত। এটি কেবলমাত্র একটি বস্তু নয়, বরং এটি ছিল আমার কাজের প্রতি শ্রোতাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের প্রতীক। উপহারটি আমাকে প্রমাণ করে যে, আমি তাদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করতে পেরেছি এবং তাদের অনুভূতিতে সাড়া জাগাতে পেরেছি।

এই অনুভূতি আমাকে অনুপ্রাণিত করে আরও ভালোভাবে আমার আবৃত্তি চর্চা করতে এবং শ্রোতাদের জন্য আরও আবেগময় ও হৃদয়স্পর্শী কবিতা আবৃত্তি করতে। উপহারটি আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে আমার কণ্ঠ, আমার আবৃত্তি কতটা মূল্যবান এবং এটি মানুষের মনে কতটা গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়াও, এই অভিজ্ঞতা আমাকে কৃতজ্ঞ করে তোলে। যারা আমাকে এই উপহার দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। তাদের সমর্থন এবং ভালোবাসা আমার কাজকে আরও সার্থক ও মূল্যবান করে তুলেছে।

আমার বাংলা ব্লগ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি, কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ও স্মরণীয় একটি উপহার হলো আমার কবিতা আবৃত্তির জন্য পাওয়া সেরা উপহার। এই অভিজ্ঞতা আমার হৃদয়ে চিরকালীন স্থান করে নিয়েছে এবং আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে।

প্রেক্ষাপট

আমার লেখালেখির যাত্রা অনেক আগে শুরু হলেও, আমার বাংলা ব্লগটি আমার সৃষ্টির একটি বিশেষ অংশ হয়ে উঠেছে। এখানে আমি আমার কবিতা, গল্প, এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, যা অনেক পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে। ব্লগটি আমাকে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের সাথে সংযুক্ত করেছে, যারা আমার কাজকে ভালবাসে এবং আমাকে উৎসাহিত করে।

সবশেষে, কবিতা আবৃত্তির জন্য উপহার পাওয়ার অনুভূতি ব্যাপক ও বিশদ। পরিশেষে আমি আবারও আমার বাংলা ব্লগের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা@rme দাদা সহ আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল এডমিন মডারেটর এবং সম্মানিত ইউজারবৃন্দের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিশেষ করে আরিফ ভাইয়ের প্রতি অনেক অনেক বেশি কৃতজ্ঞতা কারণ এই উপহারটি উনি খুব যত্ন সহকারে প্যাকেট করে আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন এতে করে ওনার পরিশ্রম অনেক বেশি হয়েছে।
সেই সাথে গভীর ভালবাসাও নিহিত ছিল।

বর্ষসেরা এই উপহারটি পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত।

কারণ কবিতা আমাকে এনে দিয়েছে কিছু অসাধারণ প্রাপ্তি। এত ছোট বয়সে,এত ছোট সময়ে,এত বেশি অর্জন। যা সত্যিই অভাবনীয়।💞

---

---

আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।

---

---

বিষয়:

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......