স্বরচিত -কবিতা-
সকলকে নতুন বছরের অনাবিল শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি। আজ আবারো আমার লেখা আর একটি কবিতা নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, আজকের কবিতাটিও।
পিঠার গন্ধে ভরে উঠল সন্ধ্যা, ঝুড়ি ভরা ভালোবাসা এল দূর থেকে। নোনাস পিঠায় লেগে আছে যত্নের ছোঁয়া,নকশি পিঠার ভাঁজে ভাঁজে বাঁধা সম্পর্কের নীরব আহ্বান।
জামাই পিঠার মিষ্টি কামড়ে মনে হলো—এ কি শুধু খাবার? না, এ এক নকশি বার্তা, যা জুড়ে দেয় হৃদয়ের মঞ্চে নতুন গল্প। পিঠার আকারে শিল্প, স্বাদে স্নেহ, আর ঘ্রাণে জড়িয়ে থাকা আত্মার টান। এ যেন মাটির মধুরতা, যা মিলিয়ে দেয় দূরের মানুষকে এক স্রোতে।
পিঠার প্লেটে জমে ওঠা সন্ধ্যায় গল্প হয়, হাসি হয়,
হয়তো মনে মনে বাঁধা পড়ে অদৃশ্য সেতু। জীবনের এ মধুর মুহূর্ত থেকে যায় অনুভূতির পাতায়, চিরকালের কবিতা হয়ে।
পিঠার গন্ধে ভরে উঠেছিল পুরো সন্ধ্যা।
নতুন হবু বিয়াই বাড়ি থেকে আসা
পিঠার ঝুড়ি ছিল একটি নীরব বার্তা—
সম্পর্কের মিষ্টি সেতু।
জামাই পিঠা, নোনাস পিঠা, পোয়া পিঠা
আর নকশি পিঠা। প্রতিটি পিঠায় ছিল
শিল্পের ছোঁয়া, যত্নের রেখা।
ঘরে বসে আমরা সবাই পিঠার থালা ঘিরে।
প্রথম কামড়টা মনে করিয়ে দিল মাটির স্বাদ।
নকশি পিঠার বুননে যেন ভেসে উঠলো
গ্রামের উঠোন, মায়ের হাতের আদর,
শীতের সকালের কুয়াশা।
পিঠার মধ্যে কোথাও যেন লুকিয়ে ছিল
ভালোবাসার অদৃশ্য সুতো, যা একে
অপরকে আরও কাছে টেনে আনছিল।
পিঠা খেতে খেতেই আমরা গল্পে মশগুল।
হবু আত্মীয়তার প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে এল বারবার।
কে কেমন, কার চোখে কেমন হাসি—সবই যেন প্রতিধ্বনি হচ্ছিল পিঠার মিষ্টতায়।
এই পিঠায় ছিল এক নতুন গল্পের শুরু।
সম্পর্কের মঞ্চে প্রথম আবির্ভাব।
নতুন ভোরের প্রতিশ্রুতি।
আমাদের একসাথে পিঠা খাওয়ার এই সন্ধ্যা
তাই শুধু একদিনের ঘটনা হয়ে থাকল না,
হয়ে উঠল জীবনের কাব্য।
৯ জানুয়ারি ২০২৫
সময় রাত ১১:১১
কবিতা কুটির -নীলফামারী।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
দারুন তো। আপনি তো দেখছি দারুন গুনের অধিকারী। বেশ সুন্দর করে কবিতা লিখেছেন। তাও আবার পিঠা নিয়ে। আপনার লেখা কবিতা কিন্তু বেশ দারুন ছিল আপু। অবশ্য আপনি তো আবার কবিতা আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit