☆꧁নন্দন রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গণ꧂☆
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা - গতকাল সারারাত জার্নি করে আমরা বেনাপোল বর্ডার গার্ডে উপস্থিত হই ভোর ৪:৩০ টা মিনিটে। ততক্ষণে বিশাল লাইন ধরে ছিল। যাইহোক বর্ডার প্রসেসিং করতে করতে আমাদের প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা লেগে গিয়েছিল। বর্ডার ক্রস করার পর আমরা
আমরা ট্রেনে করে শিয়ালদা স্টেশনে এসে পৌঁছাই প্রায় দুপুর ১টা বাজে। ততক্ষণে স্টেশনে দিদি এবং দাদাকে উপস্থিত। গাড়ি নিয়ে আমাদেরকে রিসিভ করার জন্য। সত্যি বলতে দাদা এবং দিদির আত্মীয়তায় আমরা এতটাই মুগ্ধ। যা বলে বোঝানো যাবে না। দিদি প্রথমেই আমাদের কে কলকাতার বিখ্যাত একটি দোকানে ঠান্ডা ঠান্ডা মেঘ শরবত খাইয়েছেন। এরপর আমাদেরকে রুমে নিয়ে আসলেন এবং ফ্রেশ হওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন।আমরা গোসল করে ফ্রেশ হওয়ার সাথে সাথে খাবার রুমে নিয়ে আসলো। সবাই মিলে গল্প করতে করতে অনেক মজা করে খেলাম।
এরপরে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আমরা রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গণ ঘুরতে যাই। সত্যি কথা বলতে সেখানে গিয়ে আমার মনটা বেশ প্রফুল্ল হয়েছিল। সারারাত নিদ্রাহীন
জার্নির পর যে ক্লান্তিটা ছিল সেটা বিলীন হয়ে গেল।
চারিদিকে যতই ঘোরাঘুরি করতে ছিলাম। ততই যেন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিল।
চারিদিকে ঘোরাঘুরি করতে করতে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। যা আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। তবে কলকাতার কবি বন্ধুরা যে আন্তরিকতা আমাদেরকে দেখিয়েছেন তা আসলে বিরল।৷
আপনাদের সাথে একটা প্রাণবন্ত আড্ডা হয়ে গিয়েছিল।প্রাণ খুলে হেসেছিলাম আজ অনেকদিন পর। আগামীকাল আমাদের কবিতার প্রোগ্রাম আছে।
টানা তিন দিন প্রোগ্রাম বিভিন্ন জায়গায়। আর তাই ভীষণ ছোটাছুটির মধ্য দিয়ে খুব ব্যস্তপূর্ণ সময় কাটবে। তবে কলকাতা ভ্রমণ আমি পর্ব আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজ অনেক ক্লান্তি নিয়ে এখন রুমে ফিরে পোস্ট লিখছি। তবে পোস্ট লেখার সময় চোখে প্রচন্ড ঘুম ঘুম ভাব। তাই আজকের লেখাটি খুব বেশি দীর্ঘ করতে পারলাম না। আশা করি আপনারা আমার বিষয়টি বুঝবেন।
তবে রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গণ ঘুরে আসার তীব্র অনুভূতি আরেকদিন শেয়ার করব বিশদভাবে।
সকলের সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। টা টা,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: জেনারেল
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ! দারুন বর্ণনা দিয়েছেন তো! 🥰
কলকাতায় আতিথেয়তা আর ভ্রমণের মধ্যে এক ধরনের মুগ্ধতা থাকে সবসময়, বিশেষ করে দুই বাংলা সবসময়ই একই মাটি ও মানুষকে ধারণ করে তাই।
ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো 💐
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত হলাম, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit