ফজরের আযান কখন দিবে এটা ভেবে রাত ১ অতিক্রম করতেছি,কখন আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষন।মোবাইল অন করে ঘুমিয়ে পরলাম যাতে ফজরের সময় উঠতে পারি, ভাবতে ভাবতে চোখে ঘুম এসে গেল,, মসজিদে আযান দিচ্ছে, হটাৎ ঘুম ভেঙে গেল, চোখ মেলে দেখি মোবাইলে কয়টা বাজে, সময় ঠিক ভোর ৫টা ৪মিনিট।সকাল সারে ৫টায় জামাত, মসজিদে আযান দিচ্ছে কানে আসতেছে, আমি দিরে দিরে রেডি হচ্ছি কারণ নামাজ পড়ে রওনা দিবো আলম 'স রেস্তোরাঁর উদেশ্যে।
ও বলা বাহুল্য এই নলি/পায়া খেতে হলে সকাল ৮টার আগে সেখানে পৌঁছাতে হবে তা না হলে শেষ হয়ে যায়, দেরিতে গেলে আর পাওয়া যায় না।
তো বাসায় নামাজ শেষ করে আল্লাহর নাম নিয়ে বের হচ্ছি,একটু হেটেই অটো পাই আর তাতে চরেই সিদ্ধিরগঞ্জ পুলে নামি,ঐ খানে প্রতিদিন সকালে কামলারা হাট বসে তাই অনেক লোকজনের ভিড়।আমি একটু ভিড় ঠেলে সামনের দিকে হেঁটে চললাম।
তার পর আবার অটো দিয়ে দিয়ে চিটাগাং রোডে যেতে হবে, আমি তাই ই করলাম,,, অটো থেকে নেমে ওভার ব্রিজ পার হয়ে ঐ পারে গিয়ে এখন ডেমরা 'আলম'স রেস্তোরাঁ'র উদ্দেশ্য অটোতো উঠবো,
বলা বাহুল্য এই আলম'স রেস্তোরাঁয় আমার এলাকা থেকে আসতে হলে অটোতেই আসতে হবে, এটাই সহজ মাধ্যম। এখন অটো চরে ২০মিনিটের মধ্যে ই ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এসে হাজির হলাম,,রাস্তা পার হলেই **আলম'স রেস্তোরাঁ **।
তো রাস্তার দুই সাইট দেখে রাস্তা পার হয়ে সেই ঐতিহ্য বাহি বিখ্যাত আলম'স রেস্তোরাঁর সামনে হাজির। এযেন বিশ্বাস হচ্ছে না কারণ এতো দিন শুধু মানুষের মুখে শুনেছি আজ চোখের সামনে।
রেস্তোরাঁয় ডুকে দেখি বিশাল বড়, কয়েক হাজার লোক এখানে বসতে পারবে,দোতালায় ও বসার ব্যবস্তা আছে।
ভিতরে গিয়ে আগে হাত মুখ ধুয়ে টেবিল বসলাম আর চার পাশ দেখতেছি,দেখালাম চার পাশ পরিপাটি ।কত লোকজন আসছে,যাচ্ছে,,, ইতিমধ্যে আমার টেবিলে মেছিয়ার এসে হাজির, জিজ্ঞেস করছে স্যার কি লাগবে? আমি বললাম নলি আর তটি পরটা।
এর পর খাচ্ছি আর স্বাদ নিচ্ছি, এই সেই নলি এতো নাম শুনেছি, যার জন্য আজ এসেই পরলাম। মুখে নিয়ে দেখলাম না মান আর স্বাদ সব ঠিক আছে যা শুনেছি,, মেছিয়ারদের ব্যবহার ও অনেক ভালো। আমি দূর থেকে এসেছি শুনে খুব যত্ন শীল ছিল আমার যে দায়িত্বে ছিল,ওদের সালাদ টি ছিল সেই।
আমি আবার বেশি খেতে পারি না।
খাওয়া শেষ করে হাত ধুয়ে ধুয়ে মুখ পরিস্কার করে আবারও টেবিল এসে বসলাম, এখন একটি চানা হলে কি হয়,একটি চায়ের ওয়াডার করলাম,বলতেই হাজির।
তো চা খেয়ে, মেছিয়ারদের বকশিস দিয়ে এবার বাসার উদ্দেশ্য রওনা দেবার পালা,,ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে **আলম'স রেস্তোরাঁ **থেকে রওনা দিলাম,যথারীতি আগের মতো আসা হচ্ছে এলাকায়।
তো বন্ধু কেমন হলো জানি না আমার এই ইচ্ছে টি আপনাদের সাথে শেয়ার করালাম, এতোক্ষণ যারা সময় নিয়ে ধর্য্য ধরে সময় ব্যায় করেছেন তাদের প্রতি রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা ও হাজারো ভালবাসা।
আমার লিখায় যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে আবারও লিখতে উৎসাহ যোগাবেন, আর এভাবেই একটু একটু করে এগিয়ে যাবো সামনের দিকে,,,
**খোদা হাফেজ **
আপনার ইচ্ছা পূরণের গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো জীবনের ছোটখাট সব ইচ্ছা পূরণ করতে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে, আমাদের এলাকার লোকজন অনেক গুন-গান করে এই রেস্তোরাঁ টির, মানও খুব ভালো,, তাই আগ্রহ একটু বেশি ছিল ভাই,,
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার নলি খাওয়ার আগ্রহ দেখে আমি মুগ্ধ।নলি খাওয়ার জন্য এমনি অনেকটা চেষ্টা করেছেন।অবশেষে আপনার ইচ্ছা পূরণ ও হয়েছে।
রেস্টুরেন্ট টি দেখতে বেশ পরিচ্ছন্ন লাগছে।ভেতরে রাজপ্রাসাদ কিন্ত বাহিরের অবস্থা একটু নরমাল লাগছে।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে,রেস্তোরাঁর বর্দিত অংশ ভেঙে ফেলায় এ রকম দেখা যাচ্ছে তবে মানুষ বহুদূর থেকে এখানে আসে এই নলি খাওয়ার জন্য,, কারণ মান ভালো তাই,,
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit