ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন, ফাজিল মাদ্রাসা ভর্তির অভিজ্ঞতা।।

হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি বিষয় নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।

কিছুদিন আগেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আমার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অভিজ্ঞতা।আর প্রথমদিন ক্লাস করার অনুভূতি।আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে।আমার আজকের ব্লগের বিষয় হচ্ছে আরবী ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ফাজিল মাদ্রাসায় ভর্তির অভিজ্ঞতা। ভর্তি হওয়ার জন্য গিয়েছিলাম আমি গত বৃহস্পতিবার। ফজরের নামাজ আদায় করার পর রাস্তায় একটু ঘোরাফেরা করে বাসায় ফিরে এসে নাস্তা করলাম। নাস্তা করে একটু রেস্ট নিয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য তৈরি হতে শুরু করি। ভর্তি হতে যাওয়ার জন্য বের হতে কাগজ পাতি সব রেডি করতে প্রায় নয়টা বেজে যায়। বেরিয়ে পড়লাম বাসা থেকে সাড়ে নয়টার দিকে। আমার বাসা থেকে এই মাদ্রাসার দূরত্ব প্রায় ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটারের দূরত্ব হবে। যদিও বা সকাল-সকাল বের হতে চেয়েছিলাম কিন্তু ব্যস্ততার কারণে পারিনি।

রাস্তায় অনেক জ্যাম থাকার কারণে মাদ্রাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় এগারোটা বেজে গিয়েছিল। তারপর পুরো মাদ্রাসা ক্যাম্পাসটিকে ভালোভাবে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। পরিবেশ বেশ ভালই লাগলো আমার কাছে। তারপর বেশ কয়েকজন ছাত্রর সাথে কথা বলে নিলাম, তারাও বেশ সাবলীল ভাবে সুন্দর করে কথা বলছিলেন। তারপর বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে নিলাম এবং মাদ্রাসা সম্বন্ধে কিছু ধারণা নিলাম বেশ ভাল রকমের কিছু অভিজ্ঞতা পেলাম। আমি সহ আমার আরো এক বন্ধু গিয়েছিলাম সেই দিন ভর্তি হতে। আর দেরি না করে চলে গেলাম সোজা অধ্যক্ষের অফিসে। সেখানে ওনার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ফরম নিয়ে নিলাম। এবং সেটা পূরণ করে জমা দিয়ে দিলাম।

বের হয়ে আসার সময় দেখতে পেলাম ক্যাম্পাসের অন্য একটি সাইটে বেশ কিছু আম গাছ এবং অন্যান্য গাছ রয়েছে। এই পরিবেশটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। প্রচন্ড তাপদাহ চললেও ক্যাম্পাসের এই সাইটটায় মনোরম পরিবেশ ছিল। আসলেই গাছ আমাদের পরিবেশকে শীতল রাখে এবং ঠান্ডা রাখে। বলে রাখি আম গাছ থেকে বেশ কয়েকটি আম আমরা দুই বন্ধু মিলে পেড়ে খেয়ে ছিলাম। আমগুলোতেও ভীষণ স্বাদ ছিল। এখানে কিছুক্ষণ সময় বিশ্রাম নিয়ে দুই বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আর বেশিক্ষণ না থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। যাওয়ার সময় আমাদের ক্লাস রুম থেকে ঘুরে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর চলে গেলাম আমাদের ক্লাসরুমে। গিয়ে দেখি সেখানে ক্লাস চলছিল তাই আমরা আর ভিতরে না ঢুকে চলে এসেছিলাম।

অবশেষে মাদ্রাসা ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে। মাদ্রাসা যাওয়ার রাস্তাটা ছিল ভীষণ সুন্দর। দু সাইটে গাছপালা দিয়ে আবৃত। আর এই গাছগুলোর ছায়া রাস্তায় পড়াতে তেমন একটা তাপ লাগেনি রাস্তায়। কিন্তু বাসা যখন আসছিলাম দুপুরের দিক তখন রাস্তায় যেন কোন গাছের ছায়া ছিল না কেননা সে সময় দুপুর টাইম ছিল সূর্যমামা তখন একদম মাথার ওপরে ছিল যার কারণে গাছের ছায়া গুলি ও স্ব স্ব স্থানে ছিল। যাই হোক তারপরে আমরা ভালো একটি রেস্টুরেন্ট দেখে দুই বন্ধু মিলে একটু খাওয়া দাওয়া করে পুনরায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসায় পৌঁছাতে প্রায় চারটা বেজে গিয়েছিল। এই ছিল আমার আরবি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির অভিজ্ঞতা। আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।

বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।