বাবার সহযোগী যোদ্ধা হন:-
আজকের পোস্ট এর টাইটেল দেখে হয়তো আপনারা একটু অবাক হতে পারেন। বাবার সহযোগী যোদ্ধা হওয়ার বিষয়টি কিভাবে সম্ভব? এটা অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে। অথবা কিভাবে কেউ বাবার সহযোগী যোদ্ধা হতে পারে? এরকম নানা প্রশ্ন জাগতে পারে। বাবা নামক সংগ্রামী মানুষটির সাথে কিভাবে সহযোগী যোদ্ধা হওয়া যায় সেই বিষয়টি নিয়ে আজকের ব্লগটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব। যথা সম্ভব সাবলীল ভাষায় ব্যক্ত করব। চলুন নিচের লেখাগুলো পড়ে নেওয়া যাক।
গরম আমাদের জনজীবনকে কতটা অতিষ্ঠ করে তুলেছে তা আর আপনাদের নতুন করে বলার বা বোঝানোর কোন দরকার নেই। কেননা আমরা সবাই যে যার স্থান হতে এখন গরমের কবলে সিদ্ধ হচ্ছি। একটি ধারণা থেকে জানা যায় যে এই বছরই হচ্ছে ইতিহাসের সব থেকে বেশি তাপদাহ চলছে। আরো জানা যায় আগামীতে এই গরমের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। যেখানে এই গরমেই রাস্তার পিস গলে যাচ্ছে তাহলে ভাবুন আরো কিছুদিন পর গরমের মাত্রা বেড়ে গেলে জনজীবন কতটা অস্বস্তিতে পড়তে পারে।
গরম তো চলবে গরমের মতই কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রা আদৌ কি থেমে থাকবে? না বন্ধুরা এটা কখনোই সম্ভব নয়। জলবায়ু যেমনই হোক জীবন জীবনের মতই চলবে । সব থেকে কঠিন অবস্থায় দিন পার করবেন আমাদের পরিবারের কর্তাগণ।একটু গরম বেশি লাগলেই আমরা হয় এসি বা ফ্যান ছেড়ে দিয়ে আরাম করি।ভাবুনতো! যদি পরিবারের কর্তারাও এমন করে তাহলে ইনকাম হবে কোত্থেকে?আর জীবন টাই বা চলবে কিভাবে?
জলবায়ু যেমন এ হোক বাবা নামক সাংসারিক যুদ্ধক্ষেত্রের সেই যোদ্ধাটি বসে থাকেন না কোনো পরিস্থিতিতে।সর্বদা নিমজ্জিত থাকেন পরিবার কে ভালো রাখতে। আহা! কি তাপদাহ চলছে বাইরে তাও একটি দিনও বসে থাকেন না বাবা।বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, আর নিম্নবিত্ত পরিবারের বাবারা,কি যে কষ্টে উপার্জন করেন তারাই জানেন।এদিকে দেখেন সেই বাবার ছেলে 20/22 বছর হওয়া সত্ত্বেও ঘুরে ফিরে খাচ্ছে।এদিকে বাবার উপার্জন করতে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
একটু ভাবুনতো! যখন আপনি নিজেই একদিন বাবা হবেন সব দায়িত্ব আপনার কাঁধে থাকবে তখন আপনি কি করবেন এই প্রচণ্ড গরমে?অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে দিনে দু ' টাকা হলেও উপার্জন করার।তাহলে এখন থেকেই শুরু করুন না,নিজের কর্ম।ছোট একটা ইনকাম সোর্স বের করুন,লোক লজ্জা ছাড়ুন,বন্ধু বান্ধব কি বলবে টা ভাববেন না।নিজে থেকেই ভাবুন আপনি আপনার বাবার পাশে দাঁড়াচ্ছেন।বিশ্বাস করুন স্বল্প আয় দিয়ে একটা সংসার চলা ইমপসিবল।বর্তমান দ্রব্যমূল্যের যে দাম বেড়েছে।
আপনার বাবার হতে মাস শেষে মাত্র 5 হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে দেখুন না,তিনি কতটা খুশি হন।আপনার বাবার এই ক্লান্তিময়,কঠিন,আর বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে যদি আপনি ছেলে হয়ে বাবার পাশে দাঁড়াতে না পারেন তবে আপনি অপদার্থ ছাড়া আর কিছুই না।
বিঃদ্রঃ :- বাবার হোটেলে খাই,মায়ের কোলে ঘুমাই এমন আলালের ঘরের দুলাল না সেজে, এরকম অকর্মণ্য বন্ধুদের সাথে না মিশে, দয়াকরে ছোট কিছু করে হলেও বন্ধুরা বাবার পাশে দাঁড়ান।লোক লজ্জা ছারুন।বাবার সহযোগী যোদ্ধা হন।মনে রাখবেন আজকে আপনি আপনার বাবার পাশে দাঁড়াবেন কালকে আপনার ছেলেও আপনার পাশে দাঁড়াবে।এটাই বাস্তব।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
এটা সত্য বলেছেন যে বর্তমানে যে পরিমাণ গরম পড়ছে এতে আসলে রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। আর সামনে আরো বেশি গরম পড়বে। মূলত মিডেলিস্টে যে গরম দেখতাম সেটি এখন দেশে পড়ছে। যাইহোক আসলে বাবা হচ্ছে সকল ছেলে সন্তানের জন্য সুপার হিরো। বাবা মানে এমন এক যোদ্ধার নাম যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছেলে সন্তানদেরকে বড় করেন। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছেলে সন্তানদেরকে মানুষের মত মানুষ করেন। আমিও মনে করি আসলে বাবাকে সহযোগিতা করার মনোভাব নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলা উচিত। ধন্যবাদ ভালো একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ভালো থাকুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।আসলেই আমাদের উচিত বাবাকে সহযোগিতার মনোভাব মনে লালন করা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit