কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।আজকে আবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক।
জীবন মানে আসলে কি?আমরা আসলে অনেকেই রোবটের মত জীবন যাপন করি।তথা দিনের শুরুতে একদম প্রভাতে ই উঠি তারপর থেকে যতক্ষণ রাত 10 বা 11 টা বাজেনি।ঠিক তেমনি ভাবে পরেরদিন বা পর্যাক্রমে চলছেই।কিন্তু একটু ভেবে দেখুনতো,আমাদের জীবনটা কি আগে থেকেই এরকম ছিল?উত্তর হবে,অবশ্যই না।কেনো এরকম হলো?সেরকম কিছু বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আমার জীবনে বাস্তবিক কিছু কথা শেয়ার করবো বন্ধুরা।চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
আমরা যখন শৈশবে ছিলাম তখন জীবনের রং টা ছিল একদম রঙিন। মানে যেখানে যেভাবে চাইতাম সেভাবেই থাকতে পারতাম।কোনো রকমের টেনশন জিনিসটা থাকতো না।টেনশন জিনিসটা এমন একটা বিষয় যেটাকে না চাইলেও ,মন থেকেবার বার অপমান করলেও মাথায় ঘুর ঘুর করে।আর এটার জন্যেই মানুষ অধিকাংশ সময় মৃত্যুর শরণাপন্ন হয়।আমরা আমাদের জীবনটাকে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন করে ফেলি। মানে পরিবর্তন করি বললে ভুল হবে,পরিবর্তনটা অটোমেটিক্যালি হয়ে যায়।পরিবারের চাপ,মানুষিক চাপ,লেখাপড়ার চাপ আর সব থেকে কঠিন যেই চাপটা আমাদের কাবু করে ফেলে সেটি হচ্ছে আমাদের নিজের ক্যারিয়ারের চাপ।যখন আমরা প্রাপ্ত বয়সে চলে আসি তখন থেকেই আমাদের ওপর কিছু দায়িত্ব চলে আসে।এই দায়িত্ব গুলোকে সঠিকভাবে সমাধান করতে গেলে সর্ব প্রথম আমাদের প্রয়োজন হয় একটি সুস্থ মস্তিষ্ক,ধৈর্য,সুন্দর পরিকল্পনা,আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি সচ্ছল ক্যারিয়ার।
আমরা মানুষ,আমাদের ট্যালেন্ট এর অভাব নেই।পৃথিবী সৃষ্টি লগ্ন থেকে শুরু করে এখন অব্দি মানুষ নিত্য নতুন জিনিস আবিষ্কার করেই চলেছে।আর আধুনিকায়নের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলছে।
এখন আমার কথা হচ্ছে মানুষ যেহেতু এত কিছুই অসম্ভব কে সম্ভব করতে সক্ষম ,অভাবনীয় বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করেই চলেছে,এত কিছু উদাহরণ দিয়ে এটুকুই বুঝাতে চাইলাম যে মানুষ চাইলেই অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলতে পারে।তাই নয় কি?অবশ্যই হ্যা। যেহেতু অসম্ভব কে সম্ভব করা মানুষের কাজ ঠিক সেখান থেকে দায়িত্ববান মানুষরা ,নিজের কাছে নিজেই হেরে যায়।এখন প্রশ্ন হতে পারে কিভাবে মানুষ নিজের কাছে হেরে যায়?দেখুন যখন আপনি যখন উপরের এত গুলো সমস্যার মধ্য দিয়ে যাবেন,ঠিক সে সময়টায় একটু লক্ষ্য করে দেখুন তো কবে আপনি আপনার নিজেকে নিয়ে ভেবেছেন?কবে আপনি আপনার জীবনের সাংসারিক ঝামেলার কারণে মন খুলে ঘুরেছেন?সেটা আসলে মনেই পড়বেনা।আসলে আমাদের জীবনটাকেও একটু সময় দিতে হবে এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে,তাহলেই মাঝে মাঝে জীবনের স্বাদ পাওয়া যাবে।যাইহোক এই বিষয় গুলো নিয়ে আসলে বেশি কথা আর বলতে চাচ্ছিনা
আসলে কিছুদিন আগে আমি ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনী সম্পর্কে একটি পোস্ট করেছিলাম,তো সেটার মাঠ হবে আগামীকাল কে।আব্বু বাসায় অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও গত কালকে ঢাকায় আসি।এখানে বর্তমান আছি আমার বড় ভাইয়ার বাসায়।আগামী কাল এখন হতেই মাঠ করতে যাবো।এখন হতে একটু দূরে মাঠ।বর্তমান নানা বিধ টেনশন এ ঝুঁকে আছি।তাই ভাইয়ার বাসায় বিকেলে বসে ছিলাম মনটা অনেক বেশি খারাপ ও ছিল,আর তখন ভাবি এসে বললো কোথাও নাকি ঘুরতে যাবে।তো এত মন খারাপ থাকা সত্ত্বেও ভাবির সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে রাজি হয়ে গেলাম।করুন সাথে আমার ভাতিজী ও ছিল।আমার ভাতিজী আমার কাছে অনেক বেশি প্রিয়।অবশেষে একটি পার্ক এ গিয়ে উপস্থিত হলাম আমরা।তো সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল।আমি কোথাও বেশি ঘুরাঘুরি না করে এক খানে বসে অনুষ্ঠান দেখছিলাম একমনে।
ওখানে বসে অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে একটা সয় চলে আসলো অনুষ্ঠান শেষের দিকে।ঠিক তখন অব্দি আমি একমনে অনুষ্ঠানের স্টেজ এর দিকে তাকিয়েই ছিলাম।তারপর মনে হলো,যে অনেকদিন পর নিজেকে এরকম ভাবে একটু সময় দিলাম।তখন মনে হচ্ছিল আজ যেনো সব অবসাদ দূর হয়ে গেছে।মুহূর্তেই চলে গেছিলাম সেই পুরোনো শৈশবে।অনেক স্মৃতি মনে তখন নারা দিয়ে উঠছিলো।নিরবে শুধু তা ভেবে গেলাম।মনটা তখন একদম ফুরফুরে লাগছিল।তাই সবার প্রতি একটা সামান্য অনুরোধ রইলো,মাঝে মাঝে জীবন কে পুনরায় ফিরে পেতে হলে কিছুক্ষণ করে নিজেকে একটু সময় দিন।
বন্ধুরা আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে আমার আজকের পোস্ট টি। দেখা হবে পরবর্তী পর্বে ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | dhaka airport, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit