কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
আমরা সব সময় নিজে অন্যের থেকে অনেক বেশি আশা করি কিন্তু অন্যকে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের বেলায় সেটা থেকে গুটিয়ে নেই নিজেকে। আবার অন্যের থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা করে ফেলি আমরা। যার ফলে যখন আমরা সেই জিনিসটা পাই না অন্যের থেকে তখন মনের মধ্যে অনেক বেশি কষ্ট অনুভূত হয়। আবার অনেকে সেই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রতিশোধের নেশায় ঘুরতে থাকে। আমাদের এই বিষয়টা ভাবা উচিত যে আমি যে জিনিসটা অন্যের থেকে চাচ্ছি বা অন্যের কাছে প্রত্যাশা করতেছি সেটা কি আদৌ ঠিক করছি কিনা। বা তার কাছে এই জিনিসটা আছে আমার কাছে নেই কেন? এভাবেই আমরা প্রতিনিয়ত অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করে চলেছি এই বিষয়টা কি আদৌ ঠিক? চলুন এই সম্বন্ধে আজকে কিছু কথা শেয়ার করে নেই আপনাদের সাথে।
একটা বিষয়কে সাধারণ দৃষ্টিতেই লক্ষ্য করুন যে আমাকে সৃষ্টিকর্তা যেটুকু দিয়েছেন সেটাতেই আমার অনেক বেশি। একবার নিজের স্থান থেকে আপনার আপনার থেকে যারা করুন অবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করছে তাদের দিকে লক্ষ্য করে দেখুন তো তাদের থেকে আপনি বেটার অপশনে আছেন কিনা? যদি মনে হয় আপনি কিছু লোকের থেকে ভালো পজিশনে আছেন তাহলে তাহলে আপনি আপনার পজিশন থেকে উচ্চ স্তরের লোকেদের সাথে নিজেকে তুলনা করা বাদ দিন। কেননা এতে নিজের ক্ষতি এবং নিজেকে চাঞ্চল্যকর অবস্থায় নিয়ে যাওয়া ব্যতিরে তে আর কিছুই না। আর নিজের মাঝে যখন প্রশান্তি নামক জিনিসটা খুঁজে পাবেন না তখন জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠবেন। আর এই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতিগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে প্রথমেই আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে নিজের মাঝেই নিজের শান্তিকে খোঁজা। অন্যের মাঝে নিজের স্থানকে খোঁজা থেকে বিরত রাখা।
এই বিষয়টা সব থেকে পরিলক্ষিত হয় প্রেম কাহিনীর মধ্যে। একজন প্রেমিক বা প্রেমিকা লক্ষ্য করা যায় তার জীবনের থেকেও একজন অচেনা অজানা মানুষকে অসম্ভব ভালবেসে যায়। যদিও তাদের মাঝে বিয়ে নামক সম্পর্কটা থাকে না। একসময় তারা তাদের নিজেদের অবস্থানকে সেই প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে গেঁথে ফেলে। কারণ তারা মনে প্রাণে এটা শপথ করে নেয় যে তারা কখনো কাউকে ছাড়বে না। কিন্তু পরিস্থিতির নির্মম পরিহাসে যখন তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় বা একজন আরেকজনকে পায় না ঠিক তখনই পরিলক্ষিত হয় একটি জীবন মৃত্যু শরণাপন্ন আরেকটি ফুলের শয্যায় সজ্জিত। কেন ভালোবাসাটা কি বিয়ে করে বউ বা স্বামীর সাথে করা যায় না? অবশ্যই যায়। তাই যারা বিশেষ করে রিলেশন করেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি অন্যের মাঝে নিজেকে খুঁজতে যাবেন না যদিও বা খুঁজতে যান তাহলে সে মানুষটাকে সম্পূর্ণ নিজের করে নিয়ে তারপর নিজের অবস্থান তার মাঝে খুঁজুন।
সমাজের তথাকথিত কিছু পরিবার বা কিছু পরিবারের লোকজন রয়েছে যারা তাদের সন্তানকে অন্য পরিবারের সন্তানদের সাথে তুলনা করে। আর এই কারণটার জন্য একটা সন্তানের মাথায় একটা চাপের সৃষ্টি হয়। কেন বললাম চাপের সৃষ্টি হয়? এটার কারণটা হচ্ছে যখন আপনি আপনার সন্তানকে বলবেন যে তোমার থেকে অমুকের সন্তান অনেক ভালো। এই কথাটি বলা মাত্রই আপনার সন্তানের মনের মধ্যে একটা খারাপ লাগা কাজ করবে। কেননা একজন সন্তানের কাছে তার মা বাবাই সব থেকে কাছের মানুষ। তারাই যদি তার বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাহলে এমনিতেই খারাপ লাগার বিষয়। আর এই খারাপ লাগা থেকেই নিজের মনের জেদ কে প্রকাশ করা তৈরি হয়। আর নিজের জেদ যখন ধরে বসে তখন অল্প বয়সের একটি সন্তান খারাপ পথে যেতে বাধ্য হয়ে যায়। তবে সবাই না কিছু সংখ্যক সন্তান এরকমটা হয়ে থাকে। আমাদের উচিত হবে এটাই অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা না করে বা অন্যের মাঝে নিজেকে না খুঁজে নিজের দিকেই বা নিজের মাঝেই নিজের শান্তি খোঁজা উচিত। আজকে আর বেশি কিছু বললাম না এখানেই শেষ করছি আমার আজকের লেখা। আশা করছি আমার আজকের লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
বন্ধুরা আজকের মত আমার ব্লগটি এখানেই শেষ করছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।দেখা হবে আবারো আপনাদের সাথে নতুন কোনো পর্বে।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit