হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে একেবারে ইউনিক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। যদিওবা আজকের পোষ্টের বিষয়গুলি নতুনভাবে পর্ব আকারে শেয়ার করতে চেয়েছিলাম। মূলত এই ফটোগ্রাফি গুলিও করেছিলাম রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি থেকে। তাই ভাবলাম জমিদার বাড়ির যেহেতু ইতিমধ্যেই দশটি পর্ব শেয়ার করেছি সেই পর্বগুলোর সাথে এই ফটোগ্রাফি গুলিও এড করে দেই তাহলে দেখতে ভালই হবে। সেই চিন্তাধারা থেকেই আজকে আমাদের রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন জাদুঘর বা তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার অন্তিম পর্ব নিয়ে আসলাম।

আর আজকের এই অন্তিম পর্বে আপনারা চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো মূলত ছোট ছোট বৃক্ষ কেটে কেটে তৈরি করা হয়েছে। এই ডিজাইন গুলি তৈরি করার জন্য আলাদা রকমের কর্মকার বা বৃক্ষ ডিজাইন এর শিল্পকর্মীর প্রয়োজন হয়েছে। আমার কাছে যদিও বা এই বিষয়টি দেখতে ভালো লাগছে কিন্তু পরোক্ষভাবে ভীষণ খারাপ লাগতেছে। তার কারণ হলো বৃক্ষের মাঝেও প্রাণ রয়েছে। তাই বৃক্ষকে এভাবে কেটে কেটে ডিজাইন করাটা একটু অন্যায়ের কাতারে পড়ে গেলো।

কর্তৃপক্ষ এই ডিজাইনগুলি তৈরি করার জন্য প্রায় 4 বছর অপেক্ষা করেছিলো। প্রথমে বৃক্ষগুলোকে খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসতে হয়েছিলো তারপরে আস্তে করে সেই বৃক্ষ গুলি বড় হতে থাকে। নানাবিধ ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে বৃক্ষ গুলোকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তোলে। সত্যিকার অর্থেই আমাদের রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি বর্তমান সময়ে উত্তরবঙ্গের চমৎকার একটি দর্শনীয় স্থান। বিভিন্ন দিক থেকে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে মানুষ ঘুরতে আসে। এর মূল কারণ হচ্ছে এই জমিদার বাড়ির সৌন্দর্য। জমিদার বাড়ির ভিতরে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন তো আছেই সেই সাথে বাড়তি এরকম বৃক্ষ কাটিং ডিজাইন আরো সাথে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ফুলের বাগান। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি জায়গা।

আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন বৃক্ষ কেটে কিভাবে একজন মানুষের আকৃতি তৈরি করেছে আবার লাভ তৈরি করেছে ইমোজি বানিয়েছে পিরামিডের দৃশ্য বানিয়েছে বক পাখি, খাট পালং, বেশ কয়েকজন বসে একই সাথে মিটিং করার জন্য মিটিং টেবিল, ঘরের দৃশ্য, পিরামিড ,ফোয়ারা, ঘুরতে ঘুরতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে গেলে বসার মতো একটি সুন্দর জায়গা এবং সেই সাথে চমৎকার একটি দৃশ্য হলো শহীদ মিনার তৈরি করেছে। তাছাড়া আরো অনেক ডিজাইন তারা বানিয়েছেন। সবমিলিয়ে এটাই বলবো আপনারা এখানে আসলেই এর প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। আপনাদের সকলকেই নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমাদের রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়িতে আসার জন্য।