হ্যাল্লো,
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুরা,, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।আমার আজকের ব্লগের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ।নাটকের নাম হচ্ছে গরীবের বউ। এর আগে আমি এই নাটকের দুটি পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আজকে আপনাদের মাঝে আরও একটি নতুন পর্ব শেয়ার করতে চলে আসলাম।এটি হচ্ছে তৃতীয় পর্ব।আশা করি আমার আজকের নাটক রিভিউ ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে। ।চুলুন শুরু করি তাহলে।
নাটকটির গুরুত্ববহ তথ্যসমূহ:
নাটকের নাম: | গরীবের বউ |
পর্ব নং: | তিন |
পরিচালক: | কচি আহমেদ |
প্রযোজক: | ইগল টিম |
অভিনয়: | ইফতিখার ইফতি,আফরিবা খান মুমু,অদিতি জামান স্নেহা,লিপু মামা,মনি ইত্যাদি |
রচনা: | সোলায়মান |
চিত্র গ্রহণ: | নয়ন মোল্লা |
সম্পাদনা: | অনিক ইসলাম ও শাহিন জামান |
নাটকটির দৈর্ঘ্য | ৪০ মিনিট |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: |
নাটকের নায়ক ইফতিখার ইফতি নাটকের মধ্যে রাতুল নামে পরিচিত আর নায়িকা আফরিবা খান মুমু নাজমা নামে পরিচিত।
গরিবের বউ নাটকের এই পর্বের শুরুতে যা হয়েছিল তা হচ্ছে নাজমার ছোট বোন খুব সকাল সকাল নাজমার স্বামীর বাড়িতে আসে। নাজমার ছোট বোন লিজা নাজমা কে এসে বলে তাদের বাবা খুব অসুস্থ। নাজমা তার ছোট বোনের মুখে এই কথা শুনে রাতুলকে সাথে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে বাবার বাসায় চলে যায়। কিন্তু নাজমা তার বাবার বাসায় যাওয়ার পর নাজমার মা নাজমা কে বিভিন্ন কথা শোনায় ,বলে যে তোর জন্যই তোর বাবা অসুস্থ এবং আমাদের সবার জন্য কষ্ট হয়েছে ।তাই তুই আমার ঘরে ঢুকতে পারবি না। তুই আমাদের মেয়ে নামের কলঙ্ক। শেষ অব্দি নাজমা কে তার মা তার বাবার সাথে দেখা করতেই দেইনি। নানারকম ভাবে নাজমা এবং রাতুলকে অপদস্থ করে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয়। অবশেষে নাজমা এবং রাতুল মন খারাপ করে নিজেদের বাসায় চলে আসে।
বাবার বাসা থেকে ফেরার পথে নাজমার সাথে রাস্তায় দেখা হয় নাজমার চাচার। নাজমার চাচা নাজমা কে বলে তুই আজকে আমাদের বংশের মধ্যে চুনকালি মাখিয়েছিস এরকম একটা ফেরিওয়ালাকে বিয়ে করে। তোর জন্য আমার ভাই আজকে মরতে চলেছে। তুই আমাদের গ্রামে আর ফেরি করবিনা। ফেরি করা দেখলে কেটে টুকরো টুকরো করব। সে রাতেই রাতুল একটি স্বপ্ন দেখে যে তারা তাদের মেজ বোন জামাই এর কাছে গেছে সাহায্যের জন্য কিন্তু রাতুল এবং নাজমাকে তারা সাহায্য না করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় তাদের বাসা থেকে। কিন্তু পরিশ্রমী নাজমা রাতুলকে বলে তুমি দোকান করবে আমি ফেরি করব অবশ্যই। পরের দিন নাজমা সকালে ঠিকই ফেরি করতে বেরোয়।
নাজমা এবং রাতুল তারা তাদের কাজে মনোযোগী হয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছিল। সকালে খাওয়া করে নাজমা যেত গ্রামে গ্রামে ফেরি করার জন্য। আর রাতুল লাঠির সাহায্য নিয়ে দোকান করতে বাজারে যেত এবং দিনশেষে তারা ভালই থাকতো। কিন্তু অপরদিকে নাজমার বড় বোন এবং মেজো বোনজামাইরা পড়ে এক মহা সমস্যায়। বড় বোন জামাই এর ফ্যাক্টরিতে মাল রিজেক্ট হওয়ায় শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছিল না। আর মেজ বোন জামাইয়ের সঠিক সময়ে টাকা দিতে না পারায় চাকরি চলে যায়। তাই মেজ বোনজামাই বড় বোন জামাইয়ের বাসায় এসে সবাই মিলে পরামর্শ করে কি করা যায়।
নাজমার গ্রামে গ্রামে ফেরি করার কারণে নাজমার বাবাকে বিভিন্ন লোক বিভিন্ন কথা বলে যেটা নাজমার বাবার অসহ্য হয়ে ওঠে। একদিন তো এক লোক বলে উঠলো যে আপনি আপনার নিজের সন্তানদের কন্ট্রোল করতে পারেন না আপনি কি চেয়ারম্যানী করবেন। তখন নাজমার বাবা রেগে গিয়ে রাতুলকে তার সাথে দেখা করার জন্য বলে। সন্ধ্যায় রাতুল নাজমার বাবার সাথে দেখা করার জন্য নাজমাদের বাসায় গেলে চেয়ারম্যান সাহেব রাতুলকে ১ লাখ টাকা দিতে চায়। আর নাজমা যেন ফেরি না করে এটা বলে। কিন্তু রাতুল ওই টাকা না নেওয়ায় নাজমার বাবা রাতুলকে ছোটলোক, বেয়াদব, বদমাশ ইত্যাদি বলে অপদস্ত করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। রাতুল কিছু না বলে মন খারাপ করে সেখান হতে চলে আসে।
ঠিক তার পরের দিন নাজমার বড় দুই বোন জামাই নাজমার বাবার বাসায় চলে আসে এবং তারা চেয়ারম্যান সাহেবকে তাদের চাকরি যাওয়া এবং ফ্যাক্টরিতে খারাপ অবস্থা ইত্যাদি সকল বিষয় জানায়। আর তাদের টাকা লাগবে এটা তারা তাদের শ্বশুরকে বলে। অতঃপর চেয়ারম্যান সাহেব জমি বন্ধক রেখে দশ লাখ টাকা ম্যানেজ করে দিয়ে বলেন বাবারা তোমরা এইটা নাও এবং এইটা দিয়ে ব্যবসা শুরু করো। অতঃপর দুই বোন জামাই বাবার বাসা থেকে চলে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাস্তাতেই নাজমার সাথে তাদের বড় দুই বোন জামাইয়ের দেখা হয়ে যায়। পুনরায় তারা নাজমা এবং রাতুলকে বিভিন্ন কটুক্তি করতে থাকে। তাদের উদ্দেশ্যে নাজমা বেশি কিছু না বলে শুধু এটুকু বলে যে আমাদেরও একদিন সময় আসবে সেদিন তোমরাও দেখবে।
একদিন নাজমার ছোট বোন লিজা কলেজ থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে যখন আসছিল তখন কলেজের পাশে এক ঝালমুড়ি ওয়ালা নাজমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এটার জন্য লিজা অনেক রেগে যায় এবং এই বিষয়টা বাবাকে বলে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। আর তাৎক্ষণিকভাবেই লিজা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয় রাগান্বিত হয়ে। কি হয়েছিল লিজা বাসায় যাওয়ার পর তা নিয়ে পরবর্তী পর্বে উপস্থাপন করব।
আজকের মত এখানেই শেষ করলাম বন্ধুরা।দেখা হবে পরবর্তী পর্বে। আল্লাহ হাফেজ।
নাটকের এই পর্বকে নিয়ে আমার মন্তব্য:
আমরা আমাদের জীবনে এমন কিছু ভুল করে ফেলি যেগুলোর জন্য আমাদের দুদিক থেকেই চাপের মধ্যে পড়তে হয়। যেমন নাজমা ভালোবেসেছিল একটা গরিব ছেলেকে যার দরুন তাকে এবং তার পরিবারকে সবার সামনেই অপদস্থ হতে হয়েছিল। এখানে নাজমা পারছিল না তার ভালোবাসার মানুষকে ছাড়তে এবং না পারছিল তার পরিবারের ইচ্ছামত চলতে। তাই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্তত তিনবার ভেবে নেওয়া উচিত।
নাটকের সব পিকচার গুলা ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশট নেওয়া হয়েছে এবং নাটকের লিংক টিও ইউটিউব থেকে কপি লিংক করা হয়েছে |
খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কিছুদিন আগে আমি এই নাটকটা দেখেছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে নাটকটা রিভিউ তৈরি করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটকটা বেশি দারুন তো। দেখে বেশ ভালোই লেগেছে আমার। আর এই পর্ব টা দেখে আরো ভালো লাগলো। আশা করব সম্পূর্ণ পর্ব গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশ্যই ভাইয়া চেষ্টা করব নাটকটির পর্বগুলো শেষ অব্দি রিভিউ করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গরিবের বউ নাটক আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এর সবগুলো পর্বই দেখা হয়েছে। এই নাটকের গল্প খুবই সুন্দর। যত দেখি ততই দেখতে খুব ইচ্ছে করে। প্রতিটা মানুষের অভিনয় খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ তুলে ধরেছেন। আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit