হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
আজকের ভোজন বিলাসের জায়গাটা হচ্ছে রংপুর জেলা পরিষদ ডাক বাংলো ও কমিউনিটি সেন্টার। সত্যি বলতে আমার খাওয়া-দাওয়ার তেমন একটা টাইম টেবিল নাই। সকালের নাস্তা খেতে প্রায় বারোটা বেজে যায় আবার ভাত খেতে খেতে কোনদিন চারটা বা পাঁচটাও বেজে যায়। আর এই অভ্যাসের জন্য বাসায় আম্মু যে কত গালি খেয়েছি এবং এখনো খাই সেটা বলার বাইরে। কি করবো আর আমি নিজেও অনেক চেষ্টা করি এই খাওয়ার টাইম ঠিক করার জন্য। কিন্তু কই আর হয়। কাজের চাপ এতটা পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে সব সময় ভাবি এই কাজটা শেষ করে খাওয়া করব ঐ কাজটা হয়ে গেলে খাবো আবার ভাবি পরের কাজটা করে খাওয়া করব এভাবেই সময় গুলো অতিবাহিত হয়ে যায়।
যাইহোক বন্ধুরা আজকে ভার্সিটির পরীক্ষা ছিল আগেও শেয়ার করেছি টেস্ট এবং ইনকোর্স পরীক্ষা আমাদের একসাথেই হচ্ছে। তাই সময়টা অনেক বেশি,প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার মত পরীক্ষার হলে বসে থাকতে হয়। এমনিতেই সকাল সকাল চলে আসতে হয় ভার্সিটিতে একবার এক্সাম হলে বসে গেলে আর বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই সাড়ে ছাড় ঘন্টার আগে। লিখতে লিখতে কলম শেষ, হাতের ব্যথা ধরে যায়, খাতার পাতা শেষ হয়ে যায়, সময় শেষ হয়ে যায় তারপরেও প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হয় না।অবশেষে পরীক্ষা শেষ করে বের হয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করলাম।তারপর রংপুর জামাল মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম, কেননা সেখানে ছিল আজকে আমার বড় ভাইয়ের কাপড়ের দোকানের হালখাতা। ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে প্রায় ১৫ মিনিট পর পৌঁছে গেলাম সেই মার্কেটে।
মার্কেটে পৌঁছে সমস্ত হিসাব কিতাব এবং লেনদেন সম্পূর্ণ করে ফেললাম। তারপরে আমি ভাবলাম বাইরে এসে দুপুরের খাওয়া করে তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিব। কিন্তু সমস্ত লেনদেন কমপ্লিট করার পর শোরুমের মালিকরা বলতেছে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেই খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছে তারা রংপুর জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ও কমিউনিটি সেন্টারে। তারপরে তাদের কথা মতো চলে গেলাম সেই কমিউনিটি সেন্টারে। এই নিয়ে এই কমিউনিটি সেন্টারে আমি পাঁচবার আসলাম। তবে এইবার প্রায় অনেক সময় পরে আসলাম।প্রায় দুই বছর পর। তবে আজকে দেখলাম কমিউনিটি সেন্টারের ভেতরটায় অনেকটা পরিবর্তন সাধন করেছে। সেই সাথে এখন দেখতেছি খাবারের ধরনটাও অনেকটা চেঞ্জ করে ফেলেছে। সেখানে প্রবেশ করে ফ্রেশ হয়ে কিছুটা সময় জিরিয়ে নিয়ে খেতে চলে গেলাম।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এটাই যে ফুড কোয়ার্টারের কোন সেলফি নিতে পারেনি। কেননা সেখানে ব্যাপক মানুষের সমাগম ছিল। আর এরকম সমাগমগুলোতে ফোন বের করে পিকচার ওঠানো অত্যন্ত লজ্জা জনক। আমি তো এরকম পরিবেশগুলোতে পিকচার ওঠাতে পারি না বললেই চলে। তারপরেও খাবারের প্লেটের একটি পিকচার শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে। খাবারের আইটেমের মধ্যে ছিল চিকেন রোস্ট চিকেন ফ্রাই মসুর ডাল সহ আরো বেশ কয়েক পদের রেসিপি। সত্যি বলতে খাবারের কোয়াটারের ভেতরটা এতটাই চমৎকারভাবে সাজিয়েছে তারা দেখলেই যেন মন জুড়িয়ে যাবে। সবমিলিয়ে রংপুর জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ও কমিউনিটি সেন্টারের বর্তমান অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছি। তবে খাওয়া দাওয়ার বিষয় ঐ যে বললাম একবারে আমার অনীহা। বেশি একটা খেতে পারিনি। তারপরেও চমৎকার একটা সময় উপভোগ করেছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সেখানে রেস্ট রুমও রয়েছে। বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আয়োজন আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমার লিখে যাওয়া প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
https://x.com/mdetshahidislam/status/1878758978769113371?t=9FslFzLW8NfNJdw-A43B6A&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খাওয়া-দাওয়ার অনুপস্থিতি হলে শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আবু রায়হানের আব্বুর বেশিরভাগ সময় এরকম হয়। এজন্য সে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক সব সময় ঠিক রাখবেন খাওয়া-দাওয়া যেন সঠিকভাবে হয়। পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো তবে আরো ভালো লাগছে উপরের নামটা দেখে বেশি দারুন দিয়েছেন । শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডেইলি টাস্ক প্রুফ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit