হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো গত বছর বাড়ির ছোট ছেলের জন্মদিনে কাটানো কিছু মূহুর্তের অনুভূতি ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
এই দিনে মায়ের কোল জুড়ে ও পরিবারের সবার মুখে হাসি হয়ে এসেছিলো আমার দেবরের ছোট ছেলে শ্রয়াস বাবু সোনা।গত বছর ছিলো ওর প্রথম জন্মদিন তো আমি ও @bristychaki মিলে দুজনে গিয়েছিলাম রংপুরে। ওরা রংপুরে থাকে ওর বাবার চাকুরির সুবাদে। তো জন্মদিনের আগের দিন আমরা গিয়েছিলাম বাসায়।যথারিতি ঘরোয়া পরিবেশ বাবুর জন্মদিন পালন করা হয়েছিলো।আমরা অনেক আনন্দ করেছিলাম সবাই মিলে।বাসাটি গমগম করছিলো বাচ্চাদের পদচারণায়।ঐশী, অর্থী,ঐশ্বর্য, শ্রেয়ান,শ্রয়াস।পাঁচ পাঁচ টি বাচ্চা বাসায় থাকলে কেমন পরিবেশের সৃষ্টি হয় বুঝতেই পারছেন। ভাগ্যিস বাসাটি তুলনামূলক অনেকটাই বড়ো।তাই তেমন সমস্যা হয়নি।
তো জন্মদিনের কেক কাটার জন্য সব রেডি করলো শ্রয়াসের বাবা।আমি দাদা বলে ডাকি।যদিও বা আমি সম্পর্কে বড়ো তবুও দাদা ডাকি।তো কেক কাটলো সবাই মিলে।বেলুন ফাটালো।সে যে কি আনন্দ সবার বোঝানো যাবে না বলে।তবে বড়ো বাবুর মন খারাপ ছিলো কারণ ভাই এর জন্মদিনে সবাই হৈ-হুল্লোড় করছে ওর জন্মদিন কেউ থাকবে না।তিন তারিখে ছোট বাবুর জন্মদিন তো বড়ো বাবুর জন্মদিন ১২তারিখে।এতোদিন থাকা কি সম্ভব বলেন।ওর অনেক মন খারাপ কেক কাটার সময়ও মুখটা গোমড়া করে বসে ছিলো।ঐশী ভাই এর জন্য পুডিং বানিয়ে দিয়েছো।
কেকটি খুব সুন্দর একটি সিংহের মুখচ্ছবির আকারে বানিয়েছিলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো এবং বাচ্চারা এই কেক দেখে খুব মজা পেয়েছিলো। কিন্তুু বাথডে বয়ের জন্মদিন তার কোন অনুভূতি ছিলো না জন্মদিন নিয়ে।সে নিজের খেলায় খুশি মতো চলেছে।
সবাই বেলুন ফুলিয়ে সব বেলুন ফ্লোরে নিয়ে বসে বসে মজা করছিলো।কেক কাটার পর ওরা যে যতো বেলুন ফুটাতে পারে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলো এবং হৈচৈ করে সব গুলো বেলুন ফাটিয়ে দিলো টুথপিক দিয়ে।
এর পর কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হলো এবং আশিরাদ করা হলো বাবুকে সবাই বড়োরা মিলে।
আমরা একটু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম মাঝে
মাঝে।
ওদের যে হেল্পিং হ্যান্ড ওনিও এসেছিলো তার বাচ্চাদের নিয়ে এবং ওনাদের ফটোগ্রাফি করে নেয়া হয়েছিল। ওনার বাচ্চা দুটো ভীষণ শান্তও ভদ্র। ওরা দুজনেই খুব মজা করেছিলো।
এরপর সবার জন্য কেক মিষ্টির আয়োজন করা হয়েছিলো ওয়ান টাইম নাস্তা প্লেটে।ঐশীর বানানো পুডিং ও মজা করে খেলাম আমরা।
এরপর খাবারের আয়োজন করা হলো মেনুতে ছিলো মাটন কষা,মুরগির রোষ্ট,পোলাও,ডিম,সালাদ,তবে সব গুলো ফটোগ্রাফি আর খুজে পাচ্ছি না হয়তো বা ডিলিট হয়ে গেছে কোন ভাবে।তাই যে কয়টি ফুড ফটোগ্রাফি ছিলো সেগুলোই শুধু শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে।আর এই পুরা রান্না করা হয়েছিল ছাদে পিকনিক আকারে।বাচ্চাদের আনন্দের জন্য। আর রান্না করেছিলো আমার দেবর আর ওর হেলপার ছিলো বাচ্চারা।
এই ছিলো বাবুর প্রথম জন্মদিনের আয়োজন। ঘরোয়া ভাবে আয়োজনটি হলেও খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম আমরা সবাই।তো আজ খুব মনে পড়ছে কারণ আজ বাবুটার দ্বিতীয় জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বাবু সোনা।জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আশীর্বাদ ও ভালোবাসা তোমার জন্য। বড়ো হয়ে মানুষের মতো মানুষ হও তুমি।দশের ও দেশের জন্য উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় জ্বলজ্বল করবে তুমি এই প্রত্যাশা করছি। ভালো থেকো সুস্থ থেকো এই কামনা সর্বদা।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের স্মৃতিচারণ মূলক পোস্ট। আশা করছি ভালো লাগবে। সবাই বাবুর জন্য আশিরাদ করবেন। আজ এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালোও সুস্থ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু সবারই ছোট বাচ্চার জন্মদিন অন্য রকম আনন্দ থাকে। বার্থডে বয় তো ছোট সে তার জন্মদিন উপলক্ষে কোন অনুভূতি এখনো করতে পারিনি আপু। যাইহোক আপনারা সবাই মিলে অনেক মজা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে বাচ্চারা এক জায়গা হলে অনেক মজা করে। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু অনেক মজা করেছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেলো।বাবুর জন্মদিনে আমরা সবাই মিলে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলাম।ঐশীর পরীক্ষা না হলে এবারও সবাই মিলে যাওয়া যেতো।বাবুটাকে খুব মিস করি।বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দেখতে দেখতে বছর কেটে গেলো। সত্যি ঐশীর পরিক্ষা না হলে গত বছরের মতো যাওয়া যেত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শ্রয়াস নামটাই কেমন যেনো অন্যরকম সুন্দর এবং আনকমন লাগছে। তবে বড় বাবুর মন খারাপ হওয়ার কারণ কিন্তু যথেষ্ট যৌক্তিক। আজকে সবাই আনন্দ ফুর্তি করেছে কিন্তু তার জন্মদিনে কেউ থাকবে না সবাই চলে যাবে, এতে তো তার মন খারাপ হবেই। তাছাড়া খাবারগুলো দেখে খুব লোভ হচ্ছে খাওয়ার জন্য এবং কেকটাও অনেক আকর্ষণীয় ছিল দিদি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনারা সবাই অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ে গুছিয়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই পুরনো কিছু ছবি বা দিনের কথা মনে পড়লে মনে হয় সময়গুলো কত দ্রুতই না চলে যায়! অথচ দেখতে দেখতেই সময় পার হয়ে যায়। তোমার এই পোস্ট পড়তে পড়তেই মনে হল তাই তো যেন এই সেদিনই দেখলাম তোমাদের একসাথে ছবিগুলো। অথচ মাঝখান দিয়ে বছর পেরিয়ে গেল। বাবুসোনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা ও আশীর্বাদ রইল 😍❤️❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit