গুড়ের নাড়ু রেসিপি

in hive-129948 •  last year  (edited)

হ্যালো,

কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।গত কাল ছিলো কোজাগরী লক্ষী পুজা।আর এই লক্ষী পূজাতেও নানান রকমের নাড়ু বানিয়ে থাকি আমরা।গুড়ের নাড়ু,তিলের নাড়ু,ভেটের নাড়ু ইত্যাদি।নাড়ু চিনির বা গুড়ুের দুটোই খুব সুস্বাদু হয়।আমার দুটো নাড়ুই ভালো লাগে খেতে কিন্তুু অনেকের আবার চিনির টা বেশি ভালো লাগে বা গুড়ের টি।তবে হ্যা গুড়ের নাড়ুরে টেষ্ট আলাদা,চিনির নাড়ুর আলাদা।দূর্গা পূজাতে চিনির নাড়ু শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে।আজ করবো গুড়ের নাড়ু শেয়ার। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন ছিলো।

IMG_20231029_120324.jpg

উপকরণ

নারকেল কোড়া
গুড়

PhotoCollage_1698560111222.jpg

প্রথম ধাপ

প্রথমে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি এবং নারকেল গুলো কড়াইয়ে দিয়েছি ও গুড় দিয়েছি ও নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1698565325214.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন আমি গুড়ও নারকেল গুলো অল্প আচে নারাচারা করে নিয়েছি নাড়ু তৈরির উপযোগি করে তোলার জন্য।

PhotoCollage_1698564627972.jpg

তৃতীয় ধাপ

নারাচারা করে করে যখন পুরাপুরি পাক চলে এসেছে নারিকেল কোড়া গুলো তখন নামিয়ে নিয়েছি নাড়ু করার জন্য।
IMG_20231029_133736.jpg

চতুর্থ ধাপ

এখন আমি হাতের সাহায্য একটু একটু করে নাড়ু বানিয়েছি। এতোটাই গরম ছিলো নাড়ু তৈরির পুর গুলো যে বানাতে গিয়ে আমার হাত লাল টসটসে হয়ে গেছিলো।এতো সুন্দর ভাবে পাক চলে এসেছিলো যে তেল বেরিয়ে এসেছে। আর এই নারকেল গুলো থেকে তেল বের হওয়ার কারণে নাড়ু গুলো সুন্দর মতো গোল হয়েছিল খুব সহজেই।
PhotoCollage_1698566502347.jpg

পঞ্চম ধাপ

এখন একে একে সব গুলো নাড়ু তৈরি করে নিয়েছি।

IMG_20231029_140658.jpg

IMG_20231029_120324.jpg

এই তো এই ছিলো আমার লক্ষী পূজো উপলক্ষে গুড়ের নারিকেল নাড়ু রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো সুস্থ থাকবেন।ভালো থাকবেন। এই কামনায় শেষ করছি।টাটা

পোস্টবিবরণ
শ্রেণীরেসিপি
পোস্ট তৈরি@shapladatta
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনগাইবান্ধা, বাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

নাড়ু আমার বেশ পছন্দের। তবে গুড়ের নাড়ু এভাবে তৈরি করে এখনো খাওয়া হয়নি। নাড়ু গুলো দেখেই লোভনীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন দেখে যে কেউ খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারবে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনালে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

নাড়ু দেখে তো ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে আপু। গুড় দিয়ে নারকেলের নাড়ু খেতে ভীষণ ভালো লাগে। নাড়ু তৈরির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপু।

ধন্যবাদ,আসলেই নাড়ু লোভনীয়।

গুড়ের নাড়ু তো খেতে খুব মজার হয়।অনেকে চিনির নাড়ু পছন্দ করে বেশি।আপনার নাড়ু তৈরির রেসিপি উপস্থাপনা চমৎকার হয়েছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন, গুড়ের নাড়ু বেশ মজাদার হয়।কেউ বা চিনির নাড়ু কেউবা গুড়ের নাড়ু পছন্দ করে।

নারিকেলের নাড়ু খেতে ভীষণ ভালো লাগে।আপনার বানানো নাড়ু দেখে বেশ লোভ লেগে গেলো।গুড়ের নাড়ুটাই খেতে বেশী ভালো লাগে।আমিও করেছিলাম দু -একবার।ধন্যবাদ দিদি মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপু নারিকেল নাড়ু খেতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে।ধন্যবাদ

সাধারণত নাড়ুর প্রধান উপাদান হলো নারিকেল। আর আপনারা লক্ষ্মী পূজাতে নাড়ু তৈরি করেন সেটা জানি। নাড়ু আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। কিছুদিন আগে আপনি চিনির নাড়ুর পোস্ট করেছিলেন। আজ আবার গুড়ের নাড়ুর রেসিপি। চমৎকার বলতেই হয়। গুড়ের নাড়ুটা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। সত্যি বেশ লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

Posted using SteemPro Mobile

ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে।আমার নাড়ু রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে।

গুড়ের নাড়ুর তুলনা হয় না। আমার কাছে ও গুড়ের নাড়ু অনেক ভালো লাগে। আপনার নাড়ু গুলো দেখে লোভ লেগে গেল। ইস আমাদের যদি একটু বলতেন তাহলে হয়তো কিছু খেয়ে আসা যেত হা হা হা।ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

চলে আসেন আপু গাইবান্ধায় অবশ্যই খাওয়াবো।এই তো বলেছি।

পুজো মানে বিভিন্ন রকমের নাড়ু তৈরির আয়োজন। আর পূজার সময় মজার মজার খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। যদিও কখনো গুড়ের নাড়ু খাওয়া হয়নি। তবে আজকে নতুন একটি রেসিপি শিখে ভালো লাগলো আপু।

হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন পূজো মানে বিভিন্ন রকমের নাড়ু ও মজার মজার খাবার।রেসিপি আমার পোস্টের মাধ্যমে শিখেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।

এই জাতীয় রেসিপি গুলো তৈরি করতে যেমন ভালো লাগে, তার চেয়ে বেশি ভালো লাগে ওই মুহূর্তে খেতে। কারণ এই সমস্ত রেসিপিগুলো গ্রামে থাকি তাই বেশ খাওয়া হয়, আর যথেষ্ট লোভনীয় বলে বেশি পছন্দ করে থাকি আমি। খুব সুন্দর ভাবে আপনি বানানোর কাজ সম্পন্ন করেছেন।

হ্যাঁ গ্রামের মানুষেরা এসব বানিয়ে থাকেন বেশি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

পুজোর সময় অনেক ধরনের নাড়ু তৈরি হয়,কিন্তু লক্ষ্মী পুজোর দিনের গুড়ের নাড়ুর মতো সুস্বাদু হয় না।লক্ষ্মী পুজোর নাড়ু খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।অনেক সুন্দর করে গুড়ের নাড়ুর রেসিপি টি শেয়ার করেছো তার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

একদম ঠিক বলেছেন লক্ষী পূজোর নাড়ু সব সময় স্পেশাল হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি ভালো লাগার জন্য।

নাড়ু খেতে অনেক মজার।তবে ভেটের নাড়ুটা কি বুঝতে পারলাম না!যাইহোক আপনার নাড়ু তৈরিটি সুন্দর হয়েছে।লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে সুন্দর গুড়ের নাড়ু তৈরি করেছেন।অনেক লোভনীয় হয়েছে, আমিও নাড়ু তৈরি করেছিলাম লক্ষ্মীপূজার দিনে ।তবে চিনি দিয়ে, ধন্যবাদ আপনাকে।

শাপলা ফুল থেকে যে ফল হয় তার নাম আমাদের এলাকায় ভেট বলে।আর এই ভেটের যে ছোট ছোট দানা থাকে সেগুলোর খৈ ভেজে নাড়ু বানিয়ে দেয় লক্ষী পূজোতে।ধন্যবাদ

ও আচ্ছা আমরা ওটাকে 'ঢ্যাপ' বলি।

ওওও আসলে জায়গা, এলাকা ও দেশ ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন নাম হয়ে থাকে।শাপলা ফুলকে আপনাদের দেশের কোন কোন জায়গায় শালুক ফুল বলে।ধন্যবাদ কমেন্ট এর মাধ্যে জানতে পেলাম আপনাদের এলাকায় শাপলা ফল কে ঢ্যাপ বলে।