হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো সরস্বতী পূজার মুহুর্তের ফটোগ্রাফি ও অনুভুতি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি গিয়েছিলাম গোবিন্দগঞ্জে। আজ সকালে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম কারণ বাড়িতে সরস্বতী পূজা।
বাড়িতে পৌঁছানোর পর জানলাম পূজা দেরিতে বারোটায় আসবে পুরোহিত। সকালে সিএনজিতে আসার কারণে খুব ঠান্ডা লেগে গিয়েছিল তাই স্নান করিনি একটু দেরিতে করেছি এবং স্নান সেরে পূজার কাজের জন্য গেছি।পূজার যাবতীয় সব রেডি করেছি সবাই মিলে।মনে মনে ভাবছিলাম এই সরস্বতী পূজায় কতোই না আনন্দ করতাম আগে।সকালে উঠে স্কুলের পূজার উদ্দেশ্যে চলে যেতাম সবাই মিলে মজা করতাম খিচুড়ি খেতাম।এসব ভেবে ভেবে পূজার কাজ করলাম এরপর আবার বাড়িতে গিয়ে হলুদ শাড়ি পড়ে মন্দিরে আসলাম।আমাদের মন্দির আছে তবে ছেলেপেলেরা অস্থায়ী মন্দির বানিয়েছে সেখানেই সবাই মিলে মজা করে পূজা দেয়া হলো ও অঞ্জলি দেয়া হলো।আমাদের পূজা শুরু হয়েছিল ২টা।আমার মেয়ে ২টা পর্যন্ত উপোস ছিলো।
পূজা উপলক্ষে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল সেই খিচুড়ি, লুচি,ফলমূল সবার মাঝে বিতরণ করা হলো।
অনেক গুলো খিচুড়ির পোটলা করা হয়েছিল। নিমিষেই সব শেষ। বিতরণ করতে বেশ ভালোই লাগে।সবাই দলে দলে প্রসাদ নিতে আসে দেখতে অনেকটা ভালো লাগে।
আসলে এই সরস্বতী পূজার প্রধান আকর্ষণ খিচুড়ি। আর এই সরস্বতীপূজায় খিচুড়ি প্রতি মন্দিরে মন্দিরে দেয় এবং বাচ্চাদের এটাই অনেক পছন্দের। আমিও ছোটবেলায় এই খিচুড়ি খাওয়ার জন্য খুব আনন্দে থাকতাম।আজকে খিচুড়ির পোটলা দেখে সেই পুরানো স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল। আজ ভালোবাসার দিবস কিন্তুু কখন কি ভাবে ব্যাস্ততার মাঝে দিনটি অতিবাহিত হয়ে গেলো যে একটুও বুঝতে পারলাম না।আজকের দিনে মায়ের প্রতি সন্তানের, বাবার প্রতি সন্তানের, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হোক সেই প্রত্যাশা করি।যদিও বা ভালোবাসার কোন সময় দিন ক্ষণ লাগে না।তবুও যেহেতু আজকের দিনটিকে ভালোবাসা দিবস হিসেবে মানা হয় তাই সবাইকে বিশ্বভালোবাসা দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে নতুন কোন পোষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
দিদি আপনাকেও ভালোবাসা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভালোবাসা দিবসে আপনি খুব ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি। সরস্বতী পূজার আয়োজন দেখে আর সরস্বতী পূজার খিচুড়ি দেখে আমার বন্ধু প্রলয়ের বাড়ির পূজার কথা মনে পড়ে গেল। হাই স্কুলে থাকা অবস্থায় পুজোর দাওয়াত খেয়েছিলাম খুব মজা করে। আপনার পোস্ট দেখে, আনন্দের কথা শুনে আমারও সেই দিনের কথা বড্ড মনে পড়ে গেল। যাইহোক দিদি, সরস্বতী পূজা ও ভালোবাসা দিবসে আপনার কাটানো সুন্দর সময় টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। জেনে ভালো লাগলো যে আমার পোস্ট দেখে আপনার বন্ধু প্রনয়ের বাড়ির পূজোর কথা মনে পড়ে গেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি, ছোটবেলায় আমরা সরস্বতী পুজোতে যত মজা করেছি, এখন সেই কথাগুলো মনে পড়লে অনেক বেশি কষ্ট লাগে। আর সরস্বতী পুজোর প্রধান আকর্ষণ যে খিচুড়ি, এটা সত্যি কথা। আমরা তো খিচুড়ি খাওয়ার জন্য মন্দিরে গিয়ে বসে থাকতাম ছোটবেলায়। এখন আর কোন কিছুতে তেমন কোন আকর্ষণ হয় না। তবে পুজো দিতে দিতে দুটো বেজে গেছিল তার মানে তো অনেক দেরি হয়ে গেছিল। আমাদের এখানে তো খুব সকালে পুজো হয়ে যায় দিদি। যাইহোক, সব শেষে ভালোবাসা দিবস নিয়ে সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন যা পড়ে অনেক ভালো লাগলো দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit