হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো গোলাপ ফুল কেনার অনুভুতি ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
মেয়েকে নিয়ে গাইবান্ধা গিয়েছিলাম কিছুদিন আগে।তো মা মেয়ে প্রতি মাসে একবার করে গাইবান্ধা যাই কারণ গাইবান্ধা সোনালী ব্যাংকে জিপিএস দিতে যেতে হয়।তো আমরা গেলেই মেয়ে পানও ফুচকা খাবেই।আর কিচ্ছু খেতে চাইবে না।আমার গাইবান্ধা এই মিষ্টি পান খেতে বেশ ভালে।
তো আমরা মা ময়ে যখন ফুচকা খেয়ে একটু বসে ছিলাম তখন একটি মেয়ে এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল নিয়ে পাশ কেটে যাচ্ছি। মেয়ে আমার কাছে বায়না ধটলো গোলাপ কিনবে সে।মাঝে মাঝেই কিনে দিতে হয় গোলাপ।পার্কে সামনে যদি গোলাপ নিয়ে আসে তো কনা চাই চাই ওর।তো লক্ষ্য করলাম কালো ছিপছিপে গড়নের একটি মেয়ে গোলাপ হাতে সবার সামনে ঘোরাঘুরি করছে।ভীষণ ছটফটে চঞ্চল প্রকৃতির মেয়েটি।ঠিক যেমন গল্পের বই এ বা চলচিত্র গুলোতে দেখতে পাই।তো মেয়েটাকে যখব ডাকলাম তখন ও চলে আসলো দ্রত।এসে টেবিলের কাছে দাঁড়ালো আর আমি ফুল গুলো দেখছিলাম কোনটা নেব।মেয়েটা বলে উঠলো নেবেন তো ফুল।আমার বুঝতে বাকি রইলো না যে অনেকে ওদের কে কাছে ডেকে ফুল হাতে ধরে ছবি তুলে আর কিনে নেয় না।এমন ঘটনা অনেক দেখেছি আমি।তাই ওকে আস্ত করে বল্লাম হ্যাঁ অবশ্যই নিব কেন নয়।সে কথা শুনে মেয়েটা স্বস্তি ফিরে পেলো এবং দাড়ি থাকলো। আমি একটি গোলাপ তুলে নিলাম বেছে এবং টাকা দিয়ে দিলাম।
মেয়েটা আবার দ্রত চলে গেলো অন্য কোথাও।তবে আমি মেয়েটি যাওয়ার পথে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলাম আর ভাবলাম আসলে যারা এই ছোট্ট বাচ্চাদের কাছ থেকে ফুল গুলো নিয়ে হাসাহাসি করে সময় নষ্ট করে ফটো তুলে ফেরত দেয় কিন্তুু কেনে না তারা কি সত্যি এই কাজ গুলো ঠিক করে। তবে এটাও ঠিক স্কুল,কলেজের উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা এরকম করে থাকে ওদের সাথে।কি বা বয়স ওর বারো কিংবা তেরো বছর বয়স হবে ওর।কিন্তুু পেটের দায়ে পরিবারের মুখে খাবার জোগাতে তাঁরা খেলার বয়সে লেখা পড়া করার বয়সে এই কাজটি বেছে নিয়েছে।তাই আমি মনে করি পরিবারের উচিত এসব বিষয়ে অবগত করা যে যদি পারো তো কিনে নিয়ে ছবি তুলিও কিন্তুু তাদের কাছ থেকে ফুল গুলো এক প্রকার জোর জবর্দস্তি করে নিয়ে ফটো যেন না তোলে।
এরপর এসব ভাবতে ভাবতে উঠে গেলাম মেয়ের শীতের পোশাক কেনার জন্য দোকানদার পরিচিত। কেনাকাটার সুবাদে পরিচিত। তো ওনি কেমন যেন বাকা চোখে একটু তাকালেন কারণ গোলাপটি আমার হাতে ছিলো।অবশেষে তিনি বলেই ফেল্লেন কোথায় গিয়েছিলেন বৌদি। বুঝতে বাকি রইলো না গেলাপ হাতে দেখে এমন প্রশ্ন।বল্লাম আরে ভাইয়া পার্কে ফুচকা খেতে গিয়েছিলাম।মেয়ে গোলাপ দেখে কিনতে চাইলো তাই কিনে দিলাম।এরপর গোলাপটি ব্যাগে পুরে নিলাম।
এই হলো আমাদের বর্তমান সমাজের মানুষের মন মানসিকতা। কেউ বা ফুল হাতে দেখলে বাঁকা চোখে তাকায় আবার কেউবা ফুল বিক্রেতার কাছ থেকে ফুল নিয়ে ছবি তুলে না কিনে ফেরত দিয়ে দেয়।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট গোলাপ ফুল কেনার অনুভুতি নিয়ে কিছু কথা।তো আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের মন মানসিকতা খুবই নিচু আর যাদের মন মানসিকতা খুবই নিচু তারাই এরকম কাজ করে যেমনটা আপনার হাতে গোলাপ দেখে কেউ একজন ভেবেছে। এছাড়া লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পার্কের মধ্যে অনেকেই গোলাপ নিয়ে ফটো শুট করে কিন্তু গোলাপ কেনে না এ ব্যাপারটা আমার কাছে সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লাগে। ধন্যবাদ আপনার গোলাপ কেনার মুহূর্তসহ মানুষের মন মানসিকতা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit