কচুড়ি পানার ফুলের বড়া রেসিপি❤️

in hive-129948 •  last year  (edited)

হ্যালো,

আমার বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমি ও সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব একটি মজাদার ইউনিক রেসিপি।

IMG_20231124_201718.jpg

জানিনা আপনারা কখনো এই রেসিপি খেয়েছেন কিনা। আমরা জানি পানা শুধুমাত্র জলজ উদ্ভিদ।এই পানা কে কাজে লাগিয়ে জৈব সার উৎপাদন করা যায়। কচুরিপানার একটি গুণ হলো এই পানা জল থেকে নানান ধাতব লবণ ও অধাতব যৌগ শুষে নেয় । কচুরিপানা দিয়ে খুব উন্নত মানের সার তৈরি হয়। তবে কচুরিপানার ফুলের মজাদার বড়া খাওয়া যায়। আমার জানা নেই এই কচুরি পানা ফুলের ভিটামিন সম্পর্কে। কোন পুষ্টিগুণ আছে কিনা তাও জানি না। তবে ছোট বেলায় একবার বড়া খেয়েছিলাম। এরপর গতবছর আমার কাকাতো বোন বড়া করে খাইয়েছিল। এটা আমার মেয়ের মনে আছে।আমার বাড়ির পাশে বিল আর আজকে যখন সব ছেলে মেয়েরা বিলে গিয়েছিল আর তখন আমার মেয়ে কিছু পানার ফুল ও শাপলা ফুল নিয়েছে ওদের কাছ থেকে আর সেগুলো এনে আমার কাছে বায়না ধরেছে যে বড়া বানিয়ে দাও।কি আর করা তাই বড়া ভাজবো সিদ্ধান্ত নিলাম আর ভাবলাম আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি।জানি না কে কে খেয়েছেন এই বড়া। তবে আমি খেয়েছি বেশ মজাদার এই পানার ফুলের বড়া।মুচমুচে মজাদার হয় বড়া গুলো।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।

উপকরণ

পানার ফুল
চালের গুড়ি
লবন
হলুদ
ভোজ্য তেল

PhotoCollage_1700836398944.jpg

প্রথম ধাপ

প্রথমে আমি পানার ফুল গুলো ছিড়ে নিয়েছি ফুলের ছড়া থেকে।এরপর পরিস্কার করে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1700836683235.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন আমি একটি পাত্রে পানার ফুল,চালের গুড়ি, হলুদ, লবন নিয়েছি এবং সেগুলো খুব ভালো করে মেখে নিয়েছি।
PhotoCollage_1700837169971.jpg

তৃতীয় ধাপ

এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি এবং মেখে রাখা পানার ফুল গুলো গরম তেলে বড়া আকারে ছেরে দিয়েছি। ও উল্টেপাল্টে খুব ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
PhotoCollage_1700844185567.jpg

চতুর্থ ধাপ

এখন খুব ভালো করে ভাজা হয়ে গেছে বড়া গুলো তাই একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।

IMG_20231125_041642.jpg

পরিবেশন

IMG_20231125_041642.jpg

IMG_20231125_041642.jpg

এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি পানার ফুলের বড়া।আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবার ও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনগাইবান্ধা, বাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এককথায় অসাধারণ বলতেই হয় আপু। ছোটবেলা এটা দিয়ে খেলা করেছি। একটু বড় হয়ে করেছি ফটোগ্রাফি হা হা। কিন্তু এটা দিয়ে যে বড়া তৈরি করা যায় সেটা কখনো ভাবিনি। কচুরি পানার বড়া টা বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন আপু। বেশ ইউনিক ছিল এটা। দেখে অবশ‍্য বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে এটা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

Posted using SteemPro Mobile

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোটবেলায় এই কচুরিপানা দিয়ে খেলতাম আর এখন ফটোগ্রাফি করি।সুন্দর মন্তব্য করে পোষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

আপু আপনার বড়া দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে বাচ্চারা চাইলে না খেলেও তাদের বানিয়ে দিতে হবে। আর পানা ফুলের বড়া কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। আপনারা মনে হয় অনেক মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপু খাক বা না খাক বায়না ধরে।সত্যি মজাদার হয়েছিল বড়া গুলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

এটা আমার কাছে একদমই নতুন রেসিপি।
আমি ভাবতেও পারছি না কচুরিপানার ফুল খাওয়া যায়। যাইহোক আশাকরি খেতে ভালো লেগেছে, তবে আমি একসময় এটা তৈরি করে খেয়ে দেখবো ভাবছি। আপনার মেয়ের আবদারে আমরা নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন।

Posted using SteemPro Mobile

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই রেসিপি মেয়ের আবদারের জন্যই করা এবং শেয়ার করা।ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।

কচুরিপানার ফুলের সৌন্দর্য আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে এগুলার দেখা পাওয়া যায় বেশি।
তবে ফুল দিয়ে যে এত মজাদার রেসিপি প্রস্তুত করা যায় আসলে আমার জানা ছিল না।
প্রথমবারের মতো আপনার মাধ্যমে এমন মজাদার একটি রেসিপির সাথে পরিচিত হলাম।
আর সবার কেমন লাগবে জানিনা আমার কাছে তো খুব লোভনীয় লাগছে।

Posted using SteemPro Mobile

দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে ঠিক খেতেও তেমনি লোভনীয় হয়েছিল ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

কচুরিপানার ফুল দিয়ে চমৎকার বড়া তৈরি করেছেন আপু। বড়া দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। খেতে হয়তো বা ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। যদিও এভাবে আজও বড়া তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে একদম নতুন একটি রেসিপি। ধন্যবাদ আপু এরকম ইউনিট একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান সময় ব্যায় করে আমার পোস্ট টিতে কমেন্ট করার জন্য।

সত্যিই এর আগে জানতামই না যে কচুরিপানা দিয়ে এত এত কিছু তৈরি করা যায় এই প্রথমবার আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। গত বছরে আপনার চাচাতো বোন কচুরিপানা দিয়ে এরকম ভাবে বড়া তৈরি করে আপনাদের খাইয়েছিল আর আপনার মেয়ে সেটা আবার নতুন করে খাওয়ার জন্য বায়না ধরেছে, এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এটা আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু। সত্যি বলতে কচুরিপানার ফুল দিয়ে এরকম ভাবে কখনো বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। মজাদারের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

হ্যাঁ ভাইয়া চাচাতো বোন খাইয়েছিল এই ফুলের বড়া আর সেই রেসিপি মেয়ের বায়নায় তৈরি করেছি আবার।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

বাহ! একদমই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এই রেসিপি আমি কখনোই দেখিনি। এই রেসিপি সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। আর এই রেসিপি তৈরি করতে আপনি অনেকগুলো ধাপ অনুসরণ করেছেন যা একদমই ভালোভাবে তুলে ধরেছেন৷ চেষ্টা করব এরকম একটি রেসিপি তৈরি করে দেখার।

ধন্যবাদ আপনাকে আমার রেসিপি পোস্ট টি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে আমার রেসিপি পোস্ট টি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এই কচুরি পানার ফুল দিয়ে এরকম বড়া তৈরি করা যায় তা আমার জানা ছিল না আজ প্রথম দেখলাম। যাইহোক আশা করছি খেতে রেসিপি টি খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মজাদার ও ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

হ্যাঁ আপু খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি ফলো করে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

কচুড়ি পানার ফুলের বড়া রেসিপি আমি কখনো খাইনি। আজকে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে নতুন নাম শুনতে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। অবশ্যই একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবে কেমন লাগে। আপনার তৈরি বড়া গুলো দেখে তো বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছে। ভালো লাগলো আপনার রেসিপি পোস্ট দেখে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

আমার পোস্ট দেখে আপনিও একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া

বাহ আপু খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। কচুরিপানা ফুলের বড়া খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। কিন্তু অনেক দিন হয়েছে খাওয়া হয়নি। চিন্তা করেছি এবার গ্ৰামে গেলে যেখানে পাবো সেখান থেকে নিয়ে আসবো। ঐ দিন মেলায় গিয়ে একটি খালে কচুরিপানার ফুল দেখে ইচ্ছে করছিল তুলে নিয়ে আসি। আপনার এমন মজাদার বড়া দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ এমন মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য। জেনে ভালো লাগলো আপনি গ্রামে গেলে তৈরি করে খাবেন কচুরিপানা ফুলের বড়া।

কচুরিপানা বিভিন্ন কাজে লাগে। বিশেষ করে সার তৈরিতে এবং কিছু সবজি যানবাহনের সময় কচুরিপানা দিয়ে নিয়ে যেতে দেখি প্রায়ই। তবে এই কচুরিপানা ফুলের যে বড়া খাওয়া যায় এটা তো আগে জানতাম না। বেশ ইউনিক একটি আইটেম তোমার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে দেখলাম। শীতের বিকেলে বা গরম গরম ভাতের সাথে এরকম মুচমুচে বড়া হলে বেশ ভালোই জমে যায়!

Posted using SteemPro Mobile

ঠিক বলেছো কচুরিপানা ফুলের বড়া মুচমুচে হয় এবং গরম ভাতের সাথে খুব ভালো লাগে খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট টি করার জন্য

কচুরি পানা দিয়ে ফুলের বড়া তৈরি হয় জানতাম কিন্তু কখনো দেখাও হয়নি খাওয়াও হয়নি আপনার রেসিপি দেখে অনেকটা ইউনিক লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

কচুরিপানার ফুল খাওয়া যায় এটা আমি আজকেই প্রথমবার শুনলাম আপু। আমি তো কোনদিন কল্পনাও করিনি যে কচুরিপানা ফুলেরও বড়া হয়। যাইহোক একদমই নতুন এবং ইউনিক একটা রেসিপি দেখলাম আপু। দেখি যদি কোনদিন সুযোগ হয় তাহলে একদিন বানিয়ে খাব। আপনার উপস্থাপনা অসাধারণ ছিল।