হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস মানেই জন্মদিনের মাস।জন্মদিনের মাস বল্লাম কারণ জানুয়ারি মাস ও ডিসেম্বর মাস জুড়েই আমাদের গ্রামের প্রতিটি বাচ্চার জন্মদিন। জন্মদিনে জন্মদিনে মুখরিত হয়ে যায় এই দু মাস।দশদিনের ব্যাবধানে সব গুলো জন্মদিন। আমার মেয়ের জন্মদিন ডিসেম্বরের ২৮ তারিখে এবং আমার দেবেরে দুই ছেলেদের জন্মদিন ডিসেম্বরের ৩ ও ১২ তারিখে।আজ অবদি আমাদের গ্রামে সাত আটটি বাচ্চার জন্মদিন হয়েছে আরো পাঁচ থেকে ছয়জনের জন্মদিন বাকি রয়েছে।
একপরিবারে দু ভাইয়ের জন্মদিন একই দিনে আছে তা হবে জানুয়ারী মাসের ২৩ তারিখে।আমার জা কে বলেছিলাম দ্বিতীয় সন্তানের ডেলিভারি ডেট যেহেতু ১০ তারিখ দিয়েছিলো তাই যাতে করে বড়ো বাচ্চার জন্মদিনের দিন মানে ১২ তারিখে যাতে করে কিন্তুু শাররীক সমস্যার কারণে তিন তারিখে সিজার করতে হয়েছে।
আমারও খুব ইচ্ছে ছিলো ক্রিসমাস ডেতে আমার মেয়ের জন্মদিন করার সিজার ২৫ তারিখে করলেই হতো কিন্তুু মেয়ের বাবার জন্য হয়নি কারণ আমার মেয়ের ডেলিভারি ডেট ছিলো ৩৯ তারিখে সে ভেবেছিলো এক তারিখে সিজার করবে কিন্তুু আমার শারীরিক সমস্যার কারণে আগেই করতে হয়েছিল। একজন্যই তো বলে জন্ম মৃত্যু বিয়ে বিধির কলম দিয়ে। সৃষ্টিকর্তা না চাইলে আমরা চেয়ে যে লাভ নাই তার জলজ্যান্ত উদাহরণ এগুলো।
যদিওবা ওরা রংপুর শহরে থাকে ওদের বাবার কর্মক্ষেত্রের কারণে কিন্তুু মাঝে মাঝে গ্রামে জন্মদিন করে থাকে।এবার ফাইনাল পরিক্ষা হওয়ার পরেই ওরা গ্রামে এসেছে এবং তিন তারিখে ছোট ছেলের জন্মদিন হলো। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই করা হয় সব জন্মদিন গ্রামের সবাইকে নিয়ে।
জন্মদিন যার সে তো এখনো অনেক ছোট বোঝে না কিচ্ছু। যখন ওর বাবা সাজাচ্ছিলো তখন সে সব লন্ডভন্ড করে দিচ্ছিলো।লন্ডভন্ড করতে না দিলেই কান্না শুরু করে দিতো।বাধ্য হয়ে ওর জেঠুকে বল্লাম ওকে বাইকে করে ঘুরতে নিয়ে যাও নইলে কান্না থামবে না।বার্থডে বয়কে নিয়ে চলে গেলো ওর জেঠু।
অনেক টা সময় নিয়ে থাকলো ওকে বাইরে এদিকে আমরা সবাই রেডি হলাম। সবাই আসা শুরু করেছে গ্রামের। সবার খাওয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছিলো বুটের ডাল,খাসির কলিজা দিয়ে আলু ভুনা,লুচি কেক ও পায়েস।
হিন্দু বাঙ্গালীদের জন্মদিন মানেই মায়ের হাতের পায়েস।জন্মদিনের প্রধান উপকরন পায়েস।পায়েস ছারা জন্মদিন অসম্পূর্ণ। যতোই বাহারি কেক থাকুক না কেন আগে পায়েস খেতে হবে তারপর বাকি সব আনন্দ আয়োজন। রুপার বাটিতে বাবুসোনার জন্য পায়েস দেয়া হলো সবাই খাইয়ে দেবে বলে কিন্তুু সে একদমই মুখে তুল্লো না পায়েস।
আমি বাবুসোনার জন্মদিনের কেকটি গিপ্ট করেছি। অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নেয়া হয়েছিল সিংহের মুখের আকৃতির এই অরেঞ্জ ফ্লেভারের বাটার কেকটি।খেতে বেশ সুস্বাদু ছিলো।
এরপর বাবুসোনার মা,বাবা মিলে কেক কাটলো এবং সবাই আশির্বাদ করলো।খাবারের ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গিয়েছিলাম কারণ সবাইকে খাবার দিতে ব্যাস্ত ছিলাম।বাচ্চারা সবাই বাজি ফাটিয়ে আনন্দ উপভোগ করলো।
আসলে জন্মদিনে বাবা মায়ের আলাদা একটা আনন্দ কাজ করে কারণ এই দিনে তাদের কোল আলো করে আসে প্রিয় সন্তান। সব কষ্ট ভুলে যায় মা সন্তানের মুখ দেখতে পেয়ে।একজন মা শুধু বলতে পারবে এই দিনটি কতোটা স্পেশাল।
এই ছিলো আমার আজকের জন্মদিনের গল্প নিয়ে আজকের পোস্ট টি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার জন্মদিনের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু সত্যি সন্তানের জন্মদিন একজন মায়ের কাছেই অনেক স্পেশাল। আর জন্মদিনের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit