কলার ভাদাল রেসিপি ❤️

in hive-129948 •  3 months ago 

হ্যালো

আমার বাংলা ব্লগবাগি বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো কলার ভাদাল ভাজা রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

PhotoCollage_1719155218970.jpg

InShot_20240623_210823333.jpg

কলার ভাদাল খুব মজাদার একটি খাবার।এই কলার ভাতার নানান ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। সবজিতে ছোট ছোট করে কেটে দিয়ে খেতে ও বেশ ভালো লাগে।আবার আমার আজকের রেসিপির মত করে খেতেও ভালো লাগে এবং সেখানে চিংড়ি মাছ দিলে আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে যায়। আগে অনেক খাওয়া হতো এই কলার ভাদাল কিন্তু আজ প্রায় সাত থেকে আট বছর পর খাচ্ছি এই কলার ভাদাল।যখন খাগড়াছড়িতে বাসায় ছিলাম তখন নিয়মিত কিনে কিনে খেতাম। খুব ভালো লাগে খেতে।হঠাৎ কাল আমাদের বাড়িতে যিনি সব কিছু দেখাশুনা করেন তাকে বল্লাম কাজা ভাদাল খাবো এনে দেন আমাদের কলা গাছ কেটে।ওনি বল্লেন ঈদের দাওয়াত আছে খেয়ে এসে কেটে দেবো।এরপর ওনি কালকে কেটে এনে দেন এবং আজকে আমি সেই কলার ভাদাল কেটে নিয়েছি ও মজাদার রেসিপিটি করেছি ভাবলাম আপনাদের সাথে ভাগ করে নেই রেসিপিটি।

তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন

IMG_20240621_195932.png

কলার ভাদাল
কালো জিরা
গোটা জিরা
পেঁয়াজ কুচি
কাঁচা মরিচ
শুকনা মরিচ
লবন
হলুদ
ভোজ্যতেল

PhotoCollage_1719150974940.jpg

প্রথম ধাপ

প্রথমে কলার ভাদাল কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1719151189863.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি এবং তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেল গুলো গরম করে নিয়েছি। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে শুকনা মরিচ গোটা জিরা কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়েছি।

PhotoCollage_1719152411950.jpg

তৃতীয় ধাপ

এখন সবগুলো উপকরণে পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি একটু হালকা বাদামি করে ভেজে নেওয়ার পর তাতে কুচানো কলার ভাদাল গুলো দিয়ে দিয়েছি। লবণ হলুদ দিয়েছি ও নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1719152630646.jpg

চতুর্থ ধাপ

এখন লো হিটে ভাদাল গুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছি।

PhotoCollage_1719152816863.jpg

পঞ্চম ধাপ

খুব ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1719154516620.jpg

পরিবেশন

IMG_20240623_210135.jpg

IMG_20240623_210203.jpg

InShot_20240623_210823333.jpg
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার কলার ভাদাল রেসিপি।আশা করছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদ থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20240622_011007.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কলার ভাদাল রেসিপির নাম প্রথম শুনলাম।আপনার রেসিপিটি ইউনিক ছিল।আমার বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটি।একদিন ট্রাই করব বাসায়।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

অবশ্যই আপু একদিন ট্রাই করবেন এবং খেতে কিন্তু অসাধারণ লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

কলাদ ভাদাল আমার কাচে খুবই ভালো লাগে।আমাদের এদিকে এটাকে থোর বলা হয়।ভাজি বা নিরামিষ রান্না করলে খুব দারুন লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর এই রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।

কলার থোর বা মোচা আমরা বলি কলার মাথায় থাকে সেটিকে।সত্যি তাই ভাজা বা নিরামিষ রান্না করলে চমৎকার লাগে খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

কলা গাছের ভিতরের অংশ খাওয়া যায় সত্যিই জানা ছিল না আর কখনও খাওয়াও হয়নি। আপনার এই রেসিপি খুবই ইউনিক লেগেছে। একদিন বাসায় তৈরি করে দেখবো। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

কলা গাছের এই ভিতরের খুব মজাদার খাবার আপু। অনেক জায়গায় তো বাজারেও কিনতে পাওয়া যায়। এই ভাদাল কখনো খেয়ে দেখবেন বেশ ভালো লাগবে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

সম্ভবত এই রেসিপিটা আমাদের এলাকাতে অন্য নামে পরিচিত কিন্তু এটা খেতে আসলেই অনেক মজাদার হয়। এইতো কিছুদিন আগের কথা আমাদের বাড়িতে এই রেসিপিটা তৈরি করা হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এই কলার ভাদালের একেক জায়গায় একেক নাম হয়ে থাকে ভাইয়া। সত্যি কিন্তু অনেক মজাদার। আপনার বাড়িতেও রান্না হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপু এটা কে আমরা বলি কলার থোড় ভাজি। যাহোক অঞ্চল ভেদে এর নাম ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু এটা কিন্তু খুবই সুস্বাদু এবং ভালো খাবার। যতটুকু আমি জানি মানুষের দেহের জন্য খুবই উপকার। কলার ভাদাল রেসিপি তৈরির ধাপ সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া একেক জায়গায় একেক নাম হয়ে থাকে সত্যিই অনেক মজাদার কিন্তুু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

কলার ভাদাল রেসিপি নামটাই আজকে শুনলাম। এটাকে আমাদের দিক দিয়ে অন্য একটি নামে ডাকা হয়। এই মুহূর্তে আমার নামটি মনে পড়ছে না। কলা গাছের ভিতরের এই অংশটা অনেক আগে খেয়েছিলাম। গত দশ বছরে একবারও খাওয়া হয়নি। যাই হোক আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অনেকদিন পরে দারুন একটি রেসিপি দেখতে পেলাম।।

হ্যাঁ ভাইয়া স্থান ভেদে নানান রকমের নাম হয়ে থাকে এই কলার ভাদালের।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

কলা গাছের ভেতরের এই অংশগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি এত সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতেও দারুন হয়েছিল। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

হ্যাঁ আপু ঠিক ধরেছেন সত্যি খেতে দারুণ হয়েছিলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপু আমরা কলার ভাদালকে বুগলি বলে থাকি। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে কলার ভাদাল এর রেসিপি করেছেন। তবে কলার ভিতরে অংশ ভাদাল গুলো খেতে বেশ মজাই লাগে। আমাদের বাড়িতে কিছুদিন আগে কলার ভাদাল রান্না করা হয়েছে। আর কলার ভাদাল খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

একেক এলাকায় একেক রকমের নাম হয়ে থাকে ভাইয়া কিছুদিন আগে আপনার বাড়িতেও কলার ভাদাল রান্না হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো।

কলার ভাদাল রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে। তবে চিংড়ি মাছ দিলে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগতো। এভাবে আপনি নতুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। আমি কখনো এগুলো খাইনি। একদিন অবশ্যই খেয়ে দেখবো।

অবশ্যই খেয়ে দেখবেন আর চিংড়ি মাছ দিলে সত্যি স্বাদ বেড়ে যেতো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

কলার ভাদাল আমার খুবই পছন্দের আপু। এলাকা ভেদে এটাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। কলার ভাদাল এভাবে কখনো ভেজে খাওয়া হয়নি। দেখে তো বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। যেহেতু গ্রামে আছি অবশ্যই একদিন মাকে বলবো এভাবে রান্না করে দিতে ধন্যবাদ আপু মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ ঠিক বলেছেন স্থান বিশেষে এই ভাদালের নাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনি আজ খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে কলার বগলি রেসিপি তৈরি করেছেন ‌ । কলার বগলি রেসিপি সত্যি বেশ দারুণ। গ্রাম বাংলার মানুষদের কাছে খুবই জনপ্রিয় খাবার। ডাল দিয়ে কলার বগলি রেসিপি খেতে বেশ দারুণ। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনারা মনে হচ্ছে কলার ভাদাল কে বগলি বলেন আসলে একেক জায়গায় একেক রকমের নাম হয়ে থাকে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগছে আপু।খুবই সুন্দর ভাবে কলার ভাদালের রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু।