হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ভারত বাংলাদেশের ভালোবাসা নিয়ে একটি পোস্ট। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি গর্বিত আমি বাংলাদেশী ঠিক সেরকমই ভারতে যাদের জন্ম তারাও তাদের দেশ নিয়ে গর্বিত। জন্ম থেকে ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুত্ব দেখে আসছি।দুদেশ দুদেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলো এবং আশা করছি এখনো তা অটুট থাকবে।বাবা মা যেমন সন্তানের পরিচয় বহন করে ঠিক সে-রকম জাতীয় পতাকা দেশের মানুষের পরিচয় বহন করে। পতার মাধ্যমে আমরা কোন দেশি তা সবাই বুঝতে পারি সেজন্য মাতৃভুমি আমাদের মা আর মায়ের অসন্মান কোন দেশের মানুষ সহ্য করবে না।
আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ ভারতও বাংলাদেশ একে অপরের বন্ধু।আমরা এক দেশ আর একদেশ কে সন্মান করি সব সময়।আমি কাউকে সন্মান করলেই কারো কাছে সন্মান আশা করতে পারি।পতাকা একটা দেশের জন্ম মা।জন্মভূমি মায়ের সন্মান পারস্পরিক ভালোবাসার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব। হিংসা বিদ্বেষের মাধ্যমে নয়।অন্য দেশকে দেশের মানুষ কে সন্মান করলেই নিজের দেশ সন্মান পায়।
নিজের দেশের মান রাখতে হবে কখনোই উগ্রবাদী হওয়া যাবে না।মতের অমিল টানাপোড়েন থাকতে পারে তাই বলে এক দেশের মানুষ আর এক দেশের পতাকা নিয়ে অপমান পোষণ করতে পারে না।কোন দেশ প্রমিক মানুষ তা মানতে পারে না এবং সাপোর্ট করে না।
পতাকা অবমাননা কোন ভাবেই আমরা সাপোর্ট করি না। একে অপরের প্রতি সন্মান রাখা আমাদের অনেক কর্তব্য। হিংসা বিদ্বেষ কখনোই ভালো কিছু আনে না।
এক দেশের সাথে আর এক দেশের মতের অমিল বা অন্য কোন অমিল হতেই পারে আর এই অমিলের কারণে প্রতিবাদের ভাষা পতাকা অবমাননার মাধ্যমে হতে পারে না।আমরা যদি নিজের মান নিজে না রাখতে পারি,আমরা যদি অন্য দেশকে আমাদের দেশের পতাকে অসম্মান করার সুযোগ করে দেই তার থেকে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না।
ইট মারলে পাটকেল খেতে হয় তবে ইটপাটকেল মারামারি কোন সমাধান হতে পারে না।এই রেষারেষি এই পতাকা অবমানা করা থেকে আমাদের সকলের বিরত থাকা উচিত।যে এক টুকরো পতাকা স্বাধীন ভাবে আকাশে ওড়ানোর জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি আজ সেই পতাকাকে অপমান করার সুযোগ করে দিয়েছি আমরা তাদের দেশের পতাকাকে অসম্মান শুরুর মধ্য দিয়ে।
আমরা জানি পতাকা আমাদের অস্তিত্ব ভালোবাসার ও আবেগের প্রতিক অথচ তাকে সন্মান করার জন্য কি করতে হবে আর কি করা যাবে না তা মানি না।শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড কিন্তুু এই মেরুদণ্ড যদি অপমান কাকে বলে ভুলে গিয়ে নিজেরা অন্য দেশের পতাকাকে অপমান করে এবং নিজ দেশের পতাকাকে অপমান করার সুযোগ করে দেয় তাহলে সে শিক্ষা কি খুব জরুরি।
আমরা শান্তি চাই বিদ্বেষ নয়।বিদ্বেষ ছারাবো না ও সাপোর্ট করবো না। দেশকে সন্মান করবো সন্মান করতে উৎসাহ প্রদান করবো তবেই আমরা শিক্ষিত হিসেবে দেশের ও দশের কাছে প্রমাণিত হবো।
অন্য দেশকে সন্মান করতে না পারলে নিজের দেশকে সন্মান করবো কি করে।সন্মান পারিবারিক শিক্ষা যেমন ঠিক তেমনি অন্যদেশের প্রতি সন্মান রাখাও দেশের শিক্ষা। ব্যাবহারে যেমন বংশের পরিচয় বহন করে ঠিক সেরকমই দেশের প্রতি কতোটা ভালোবসা আছে তা অন্য দেশের প্রতি সন্মান জানানোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
বাংলাদেশের পতাকা যেমন আমাদের ভালোবাসার প্রতিক ঠিক তেমনি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পতাকাও আমাদের ভালোবাসা ও সন্মানিত প্রতিক
আমরা নিজ দেশের পতাকার মতোই ভালোবাসি ভারতের পতাকা।শুধু বাংলাদেশ ভারত কেন সব দেশের পতাকাকে সন্মান করি ও করা উচিত আমাদের সকলের।
হিংসা নয় শান্তি চাই।বিদ্বেষ নয় ভালোবাসা দিতে চাই ও পেতে চাই।সবার শুভ বুদ্ধি উদয় হোক ও একে অপরের পতাকেকে ভালোবাসি ও নিজের ভুল বুঝতে পেরে ভালোবাসা ছড়াই আমরা সকলেই।আশা করছি খুব দ্রুত আমাদের ভুল বুঝতে পারবো এবং দেশকে একটি সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করতে পারবো।বিদ্বেষ নয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবার কাছে ভালোবাসা ছড়াবো।
শুধু তুমি কে আমি কে বাংলাদেশ বাংলাদেশ না বলে বাংলাদেশকে সন্মানিত করার জন্য আমরা বাংলাদেশী সব দেশকে ভালোবাসি ও ভালোবাসা চাই এই স্লোগান হয়ে ওঠা জরুরি।
এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা সকলে সব দেশের পতাকা ভালোবাসি। আসলে পতাকার প্রতি অসম্মান করাটা আমার কাছে একদম ঘৃণ্য কাজ মনে হয়। আপু আপনি দারুন লিখেছেন। আপনার লেখা কথাগুলো সত্যিই চমৎকার ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর কথা লিখেছেন দিদি।আমারও তাই মনে হয়,কোনো সমাধান আলোচনার মাধ্যমে হয়ে থাকে পতাকার অবমাননা করার মাধ্যমে নয়।যাইহোক প্রত্যেক দেশের পতাকাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত, ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দিদি আমার পোস্ট টি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু আমরা যেমন দেশের পতাকাকে ভালোবাসি তেমনি পাশের দেশের পতাকা ও ভালবাসি। আর আমরা সব দেশের পতাকাকেই ভালবাসি। মানুষের চেয়েও পাতাকার মূল্য আগে। যে মানুষগুলো পাতাকা সম্মান করতে পারে না তাদেরকে কেউ সম্মান করবে না। তাই আমি মনে করি যে কোন রাষ্ট্রের পতাকাকে জীবনের চেয়ে বেশি সম্মান করা দরকার। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যারা এই ধরণের কাজে যুক্ত তাদের কখনোই সাপোর্ট করি না বরং তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি।একদম ঠিক বলেছো জাতীয় পতাকা ঠিক বাবামায়ের মতোই পরচিয় বহন করে আর সেই সন্মান কে পদদলিত করা কোনো জাতির অধিকার নাই।সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit