হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।আজ আপনাদের মাঝে অসুস্থতা পর্ব ২শেয়ার করতে চলে এসেছি।চলুন দেখি কি ছিলো অসুস্থতা ২পর্বে।
হাসপাতালের পরিবেশ ছিলো মনোরম। হাসপাতকে হাসপাতাল মনে হতো না।পার্ক পার্ক লাগতে।ভর্তি করা অবস্থায় আমার সব রকমের টেস্ট করলেন ইসিজি,এম আর আই,আলট্রা,সিটি ইউরো গ্রাম, ইউরিন,ব্লাডের কয়েক রকমের টেস্ট করে অপারেশন জন্য ফিট কিনা দেখলেন ডাক্তার। সব টেস্ট এর রিপোর্ট ভালো ছিলো কিন্তু শরীরে পটাশিয়াম অনেক কম ছিলো জন্য অপারেশন পিছিয়ে গেলো এক সপ্তাহ এবং পটাশিয়াম বাড়ানোর জন্য মেডিসিন দিলেন কিছু ও কলা, ডাবের জল খেতে বল্লেন।আমার ননদের বড় ডজন খানেক ডাব পাঠিয়ে দিয়েছেন উবারের মাধ্যমে।অফিসের ব্যাস্তার কারনে আসতে পারেন নি তাই পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং প্রতিদিন ফোন করে খোজ খবর নিতেন।অবশেষে আমার আবার টেস্ট করার পর পটাশিয়ামের আটতি পেলেন না এবং আমার অপারেশন করেলেন।অপারেশনর তিন দিন পর আমাকে হাসপাতাল থেকে ছারপত্র দিলেন। বৃষ্টিচাকি আসলেন আমাকে নিতে এবং সব ফর্মালিটি সেরে এক মাসের পুরা ঔষধ নিয়ে আমরা হাসপাতাল ছারলাম এবং তেজগাঁ থানায় গেলাম।তার এক সপ্তাহ পর দুর্গা পূজা তাই আমরা বাড়িতে চলে আসলাম।ভালই চলছিলো হঠাৎ করে শ্বশুরি আবার অসুস্থ হয়ে পরলেন।যা খেতেন তাই বমি করতেন এদিকে আমারও কিডনি নালিতে পাইপ লাগানো আছে সাতাইশ দিন পর খুলতে হবে ঢাকায় গিয়ে।পূজার পর মানে দশমির পরের দিন আমরা আবার ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম ট্রেনে করে।এবার আমাদের সাথে আমার বর গেলো।@bristychakiর মেয়ের অনেক দিন থেকে স্কুল হচ্ছিল না জন্য ওরা গেলো না। কয়েকদিন পরে যাবে বল্লেন। ঢাকা গিয়ে পরের দিন শ্বশুড়িকে নিয়ে ঢাক্তার কাছে গেলাম।ওনি নিজেই ঢাক্তার কে ওনার সব সমস্যার কথা বল্লেন।ডাক্তার ওনাকে আবারও কিছু টেস্ট দিলেন আমরা সেগুলো করলাম।
ঔষধ খাওয়ানো হলো রাতে অসুস্থ অনুভব করছিলো শুধু জল খাবে বলছিলেন।সারারাত জল খেলেন রাতে ভাবলাম আমরা সকাল হলেই হাসপাতালে নিয়ে যাবো। এম্বুলেন্স এর জন্য ফোন করা হলো এম্বুলেন্স আসছে ঢাকা শহরে জ্যাম তাই আসতে দেরি।শ্বশুড়ি বলছিলেন এখন আসে না কেন এম্বুলেন্স। আমাকে বলছিলেন আমাকে একটু কোলে নাও।আবোলতাবোল বলে যাচ্ছে। অবশেষে এম্বুলেন্স আসলো আমরা ওনাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।হাসপাতালে যেতে ততটা কষ্ট হলো না। আমরা তখনো বুঝতে পারলাম না যে তার শেষ সময় চলে এসেছে। আমাদের ধারনা হাসপাতালে গেলেই ঠিক হয়ে যাবে।ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করা হলো। স্যালাইন দেয়া হলো।স্যালাইনটা গেছে পুরাই ভিতরে কাউকে ঢুকতে দিলেন না।সব মিলে আধা ঘন্টা পর এসে বল্লেন সরি ওনাকে বাঁচানো সম্ভব হলো না😭।আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়ার মতো অবস্থা। সবাই খুব ভেঙে পড়েছিলাম সেদিন।পরে হাসপাতালের সব ফর্মালিটি সেরে এম্বুলেন্স এ করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
ইমেজ সোর্স
আবার দুদিন পর আমি ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম কিডনি নালিতে লাগানো পাইপটি বের করার উদ্দেশ্য,এবং বের করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম একদিন পর।
(চলবে)
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
ডিভাইস | Oppo A95 |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
লোকেশন | গাইবান্ধা |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
এখনো এ্যাম্বুলেন্স এর শব্দ শুনলেই বুকের ভিতর টা কেমন জানি হাহাকার করে উঠে।দিনগুলো এখনো ভুলতে পারি না।জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত গুলো তুলে ধরার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দিন গুলে ভোলার মতো নয়।খারাপ মূহুর্ত গুলো সারাজিবন মানুষকে কষ্ট দেয় কোন না কোন সময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ভালো লাগল
ফলো করে একে অপরের সাথে থাকি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit