চাল কুমড়ো বড়া রেসিপি ❤️

in hive-129948 •  3 days ago 

হ্যালো,

আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।

IMG_20240917_120423.jpg

IMG_20240917_120355.jpg

আজকে শরীরটা ভীষণ খারাপ।ঘারে প্রচন্ড ব্যাথা।কালকেও ব্যাথা হয়েছিলো ভেবেছি যে শোয়ার কারণে হয়তো ব্যাথা হয়েছে। আজ ব্যাথা আরো বেড়ে গেছে। হাতেও ব্যাথা ছড়িয়ে পরেছে।বুঝতে পারছি না কেন ব্যাথা হচ্ছে। আমার প্রেসার সব সময় কম থাকে সেজন্য ব্যাথা না কি প্রেসার বেড়ে গেছে বুঝতে পারছি না।প্রেসার মাপলে বোঝা যাবে।

কচি চাল কুমড়ো খেতে আমার ভীষণ পছন্দের। সব থেকে ভাজা বেশি ভালো লাগে।একদমই কচি চাল কুমড়ো চাক চাক করে বড়া ভেজে খেতে অসাধারণ সুন্দর লাগে খেতে।এই মজাদার কচি চাল কুমড়ো কিন্তুু কিনতে পাওয়া যায় না কারণ এতো ছোট চালকুমড়া কখনোই কিনতে পাওয়া যায় না।নিজের চালকুমড়া গাছ বাড়িতে থাকলেই শুধু খাওয়া সম্ভব।

আমার বাবার বাড়িতে চাল কুমড়ার ছড়াছড়ি। বাড়িতে আসার সময় একটি কচি চালকুমড়া নিয়ে এসেছি আর তা আজকে বড়া ভেজে মজা করে খেয়েছি।ভীষণ চমৎকার লেগেছে খেতে।
আজকে আপনাদের সাথে এই কচি চাল কুমড়া রেসিপি শেয়ার করবো।রেসিপিটি ভীষণ মুচমুচে ফুলকো মজাদার হয়েছে। খেতে অসাধারণ সুস্বাদু একটি রেসিপি।

তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।

IMG_20240914_130927.png

PhotoCollage_1726548533489.jpg

১.চালকুমড়ো
২.বেসন
৩.চালের গুড়ি
৪.লবন
৫.হলুদ
৬.তেল

IMG_20240917_121132.png

প্রথম ধাপ

প্রথমে চাল কুমড়া চাক চাক করে কেটে নিয়েছি।

PhotoCollage_1726552037939.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

এখন বেসন ও চালের গুড়ি নিয়েছি।

IMG_20240917_114826.jpg

তৃতীয় ধাপ

এখন বেসন ও চালের গু্ড়িতে পরিমাণ মতো লবন,হলুদ দিয়েছি।

IMG_20240917_115033.jpg

চতুর্থ ধাপ

এখন বেসন ও চালের গুড়িতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে গুলিয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1726552442736.jpg

পঞ্চম ধাপ

এখন চুলায় তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও আগে থেকে চাক করে রাখা চালকুমড়া গুলো গুলিয়ে রাখা আটা,বেসনে দিয়েছি।

PhotoCollage_1726552715212.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এখন এপিঠ ওপিঠ করে গোলায় মেখে নিয়ে গরম তেলে দিয়েছি।

PhotoCollage_1726552860518.jpg

সপ্তম ধাপ

এখন এপিঠ ওপিঠ ভালো করে ভেজে নামিয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1726552971878.jpg

পরিবেশের জন্য তৈরি

IMG_20240917_120423.jpg

IMG_20240917_120409.jpg

IMG_20240917_120347.jpg
এই ছিলো আমার মজাদার সুস্বাদু কচি চালকুমড়া বড়া রসিপি।আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20240917_121124.jpg

IMG_20240917_121140.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চাল কুমড়ো বড়া খেতে অনেক ভালো লাগে। চালের গুঁড়া এবং বেসন দিয়ে খুবই চমৎকার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই ধরনের বড়া গুলো খাওয়ার মজা খুবই বেশি। চমৎকার একটি রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

বেশ মুখরোচক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।এমন মজার খাবার দেখে নিজের লোভ সামলানো মুশকিল হচ্ছে।বিকালের নাস্তায় কিংবা গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

সত্যি মুখরোচক আপু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু কচি চালকুমড়া কখনো কিনতে পাওয়া যায় না। এটা শুধু নিজের গাছ থেকে খাওয়া সম্ভব। তবে চাল কুমড়ার বড়া কখনো খাওয়া হয়নি। বিকেলে চায়ের সাথে এমন রেসিপি হলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

খেয়ে দেখবেন আপু কখনো বেশ ভালো লাগবে খেতে।

সর্বপ্রথম মহান সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করি উনি যেন আপনাকে অতি দ্রুত সুস্থ করে দেন। যাইহোক আপু আপনি কিন্তুু আজকে অসাধারণ মুখরোচক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। যদিও এরকম চল কুমড়ো দিয়ে কখনো চাল কুমড়ো বড়া খাইনি। তবে আপনার রন্ধন প্রণালী এবং উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছে চাল কুমড়া বড়া রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। সবশেষে এরকম একটি মুখরোচক চাল কুমড়ো বড়া রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন চাল কুমড়ো বড়া রেসিপি তৈরি করে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ লোভনীয় ছিল। এমনিতেই যেকোনো ভাজি রেসিপি খেতে আমি বেশি পছন্দ করি। এত সুন্দর ভাবে লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে স্টেপ বাই স্টেপ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

হ্যাঁ অনেক সুস্বাদু ছিলে খেতে বড়া গুলো।

বিভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি দেখে বেশ ভালো। চাল কুমড়া দিয়ে কখনো এরকম পাকোড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। বেশ ভালো লাগলো ইউনিক রেসিপি টা দেখে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। লোভনীয় লাগছে রেসিপি টা দেখতে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু এই রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।

এভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন বানিয়ে ভীষণ ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপু আপনি তো দারুন রেসিপি তৈরি করলেন। এভাবে চাল কুমড়ো ভাজি করে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। দের এলাকাতে এই রেসিপিটির নাম চাল কুমড়োর চাক ভাজি বলে। আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

আসলে জায়গা ভেদে নাম আলাদা হয় আপু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

চাল কুমড়ো বড়া তৈরি করার অনেক সুন্দর একটা পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এটা খুবই লোভনীয় একটা পদ্ধতি আপনি ব্যবহার করে তৈরি করেছেন। এজন্য এটা দেখে আমার লোভ লাগছে যদি খেতে পারতাম খুবই ভালো হতো।

সত্যি লোভনীয় রেসিপিটি ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

চালকুমড়োর বড়া খেতে আমার দারুণ লাগে। আপনার বড়াগুলো আশা করি খুবই মজাদার হয়েছিল।

আপনি একবার স্টাফিং করে করতে পারেন। ছানার পুর বা নারকেল-পোস্ত শক্ত করে বাটা দুটো স্লাইসের ভেতরে ঢুকিয়ে একই ভাবে ভেজে নেওয়া। লিখতে লিখতেই জিভে জল এসে যাচ্ছে।

হ্যাঁ ছানার পুর ও নারকেল পোস্ত দিয়ে বানালে তো আরো বেশি সুস্থ হয়।জিভে জল আসার মতোই রেসিপি দিদি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

আপু আমি ভেবেছিলাম শুধু আমার মা ই চাল কুমড়া দিয়ে এভাবে বড়া ভাজে। এভাবে খেতেও অনেক মজা লাগে। চালকুমড়া টা পাতলা করে কাটলে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

হাহাহাহা আমরাও ভেজে খাই মাঝে মাঝে।মাসিমা ও ভাজে জেনে ভালো লাগলো।হ্যাঁ পাতলা করেই কেটে নিয়েছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

চাল কুমড়ো বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া হয়েছে আমার অনেক বার। কিন্তু এর আগে কখনো চাল কুমড়োর বড়া খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা চাল কুমড়োর বড়া দেখেই তো আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। দেখে তো মনে হচ্ছে এই বড়া খেতে দুর্দান্ত লেগেছিল। এরকম ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার গুলো খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার কাছ থেকে আজকে চাল কুমড়োর বড়া তৈরি শিখে নিলাম। আমি একদিন অবশ্যই এই বড়া তৈরি করবো।

ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জন্য ও সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

সবাই এখন কেন যেন বেশী অসুস্থ থাকে আমার মত। আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপু। চাল কুমড়োর বরা কখনও খাইনি আপু। আজ আপনার চাল কুমড়োর বড়া দেখে যে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। কি করি বলনতো? ভাবছি আপনার শেয়ার করা রেসিপি দেখে বানিয়ে নেব। সত্যি আপু আপনার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক স্বাদ হয়েছে। অনেক দূর্দান্ত একটি রেসিপি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।

কমবেশি সবাই অসুস্থ আপু।অবশ্যই বানিয়ে খাবেন তবে একদমই ছোট চালকুমড়া দিয়ে বানাতে ভুলবেন না।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনার চাল কুমড়োর বড়া টা দেখে আমার আমাদের দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কথা মনে পড়ে গেল। সত্যি বলতে এটা চালকুমড়ো দিয়ে তৈরি করলেও দেখতে অনেক টা বেগুনির মতো লাগছে। জানি না খেতে ঠিক কেমন হয়েছে। তবে দেখতে কিন্তু বেশ লাগছে। চমৎকার তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

চাল কুমড়ো বড়া রেসিপি খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। সাথে সরিষা বাটা দিলে আরো বেশি মজার হয় খেতে। তবে এত সুন্দর করে বড়া তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে গরম গরম খেতে দারুণ লেগেছে। খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।

পরবর্তীতে বানালে সরিষা বাটা দিবো আপু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।

চাল কুমড়া ভাজা আমার খুব পছন্দের। তবে জালি কুমড়া এভাবে কখনো বড়া বানিয়ে খাওয়া হয়নি। নিশ্চয়ই খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। অবশ্যই একদিন বাসায় বানাবো।ধন্যবাদ আপু চাল কুমড়ার ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

এরকম কচি চালকুমড়া বড়া বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভীষণ সুস্বাদু লাগবে খেতে।

আপনার চাল কুমড়োর বড়া দেখে আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তো গোল্ডেন কালারের খেলনার কোনো জিনিস হবে। কারণ বড়ার কালার একদমই ভিন্ন দেখাচ্ছে। যাই হোক চাল কুমড়া দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো বড়া তৈরি করা হয়নি। তাই বুঝতে পারছি না খেতে কেমন হয়েছে। ধন্যবাদ আপু ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

বেসন ও চালের গুড়ি ব্যাবহারের ফলে গোল্ডেন কালার এসেছে বড়া গুলোর।এই বড়া অনেক সুস্বাদু।