হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ শেয়ার কতো দ্বিতীয় পর্ব ধর্ম ত্যাগ তছনছ পরিবারের দ্বিতীয় পর্ব।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন দেখা যাক দ্বিতীয় পর্বটি।
এভাবে চলতে চলতে লুৎফর কাকুর বউ কিছু টা একা হয়ে গেলো। আগের দিনে সেনাবাহিনীর চাকুরিতে ছুটি একদমই কম ছিলো।ছুটি পেতেন না বল্লেই চলে।এখনকার দিনের মতো এন্ড্রয়েড ফোন ছিলো না। একমাত্র চিঠির মধ্যেই যোগাযোগ সীমাবদ্ধ ছিলো।এরপর লুৎফর কাকুর বউ একাকিত্ব কাটানোর জন্য গ্রামের ছেলে মেয়েদের সাথে সময় কাটাতে থাকলো।
আগের দিনে সবার বিনোদনের একমাত্র পথ ছিলো বাড়িতে রেডিও ও সিনেমা হল।সবার বাড়িতে রেডিও থাকতো না।যারা সম্ভ্রান্ত পরিবার ছিলো তারাই শুধু রেডিও ব্যাবহার করতো।সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতো।
লুৎফর কাকুর বউ না কি মাঝে মাঝে সিনেমা দেঝতে যেতেন আর এই সুযোগ টা পরিবারের মানুষজন কাজে লাগিয়েছেন। বদনাম করার জন্য তাদের আত্নীয় এক ছেলেকে এনে বলেছেন একা একা না গিয়ে এর সাথে যাও তাহলে আমরা নিশ্চিত থাকতে পারবো তুমি নিরাপদে আছো।
তো নতুন কোন সিনেমা এসেছে সিনেমা হলে আর সেজন্য ওনি ওই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সিনেমা দেখতে সেছে এবং ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ঠিক সেদিনই লুৎফর কাকু এসেছে বাড়িতে।এসে দেখে বউ নেই পরিবারের সবাই বলেছে সে সিনেমা দেখতে গেছে আর এটা শোনার পরে সে রাগে অভিমানে আমাদের বাড়িতে গিয়ে উঠেছে এবং বাড়িতে বলেছে সে আর ওই মেয়ের সাথে সংসার করতে চায় না।
পরিবারের মানুষ তো এটাই চেয়েছিলেন। এরপর লুৎফর কাকুকে অনেক বোঝাবো হয়েছে। ওনার বউ ওনার হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছে কিন্তুু তার এক কথা সে আর সংসার করতে চায় না।আসলে পরিবারে লোকজন মানে লুৎফর কাকুর বড় ভাবি না কি ওনার বউয়ের সম্পর্কে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন আর সেসব শোনার পর ওনার মন ভেঙ্গে গিয়েছে এবং বউয়ের প্রতি ঘৃণা জন্ম নিয়েছে আর সেকারণে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ঐ বউ নিয়ে তিনি আর কিছু তেই সংসার করবেন না।
ওনার বউ অনেক কান্না করেছেন এবং অনেক বুঝিয়েছেন যে ভুল হয়েছে ক্ষমা করে দাও প্রথম বারের মতো কিন্তুু কিছুতেই কিছু হয়নি পরে পারিবারিক ভাবে ও আইন অনুযায়ী তাদের ডিভোর্স হয়েছে। ডিভোর্স দেয়ার পর ছুটি শেষ ওনি কর্মস্থলে চলে গেছে আর আসেনি গ্রামে।মাসের পর মাস বছরের পর বছর চলে গেছে আসেনি। আমার কাকাও পিসির সাথে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন।
লুৎফর কাকা পরে জানতে পেরেছিলেন যে তার বউয়ের সাথে ছাড়াছাড়ি করার জন্য তার ভাবি ও ভাই দায়ী তাই আর কখনো বাড়িতে আসেনি।আমার পিসি বাড়িতে আসার কথা লিখে ওনি না কি লিখতেন কোথায় যাবো যারা আমার সাথে বেইমানি করলো তাদের কাছে গেলে আমার যন্ত্রনা বেড়ে যাবে।
এভাবে অনেক বছর কেটে গেলো এবং এক সময় সবাই জানতে পেলেন লুৎফর কাকু আবার বিয়ে করেছে। ওনার কোন এক স্যারের মেয়েকে বিয়ে করেছেন তিনি।সবাই বেশ খুশি হয়েছে জেনে শুধু ওনার পরিবারের লোক ছারা।এবার এই বউকে এক মিনিটের জন্য ও নিয়ে আসেনি বাড়িতে। কোয়াটারে ও বাসায় থাকতেন বউকে নিয়ে।
এরপর যখন চাকুরী থেকে অবসরে আসলো তখন বউকে নিয়ে গ্রামে এসেছেন।ততদিনে একটি ছেলেও হয়েছে ওনার।বউয়ের সাথে বয়সের পার্থক্য টা বেশ ভালোই। খুব সুন্দর ফুটফুটে দেখতে বউটি।সবার সাথে মিসলেও পরিবারের কাউকে পছন্দ করতেন না এবং মিসতো না।
এই নিয়ে বাড়ির সবার মন খারাপ।তবে তাদেরকে লুৎফর কাকু বউকে না জানিয়ে টাকা পয়সা দিতেন।একসময় হয়েছে কি লুৎফর কাকুর ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে এবং সেই পুরা টাকা বহন করেছেন তিনি গোপনে।সোনার গহনা সব বানিয়ে দিয়েছেন আর কে বা কার কাছে ওনার বউ সে কথা জানতে পেরে গহনা গুলো নিয়েছেন।
এসব নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝামেলা হতো ওনাদের বাড়িতে।লুৎফর কাকা না পারতো বউকে কিছু না বলতো ভাই বৌকে কিছু। বেচারা ভীষণ অসহায় হয়ে পড়েছিলো।লুৎফর কাকুর বউ অনেক বিলাসী জীবন যাপন করতো।কাজের মেয়ে সব কাজ করতো।সব সময় মুখরোচক খাবার রান্না করে খেতো আর অনেক রুপ চর্চা করতো।আর এসব একদমই সহ্য করতে পারতেন না ওনার জা
(চলবে)
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।