আমি শিল্পী রানী দত্ত। আমার বর্তমান বয়স ৪৩ বছর। আমার জন্ম বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ময়মনসিংহ বিভাগের অর্ন্তগত নেত্রকোনা জেলার নেত্রকোনা সদর উপজেলাধীন নন্দীপুর নামক গ্রামে। আমরা ছয় ভাই তিন বোন। আমি আমার মা বাবার সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান। আমি সর্ব প্রথমে আমার নিজ গ্রামে নন্দীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করি। এরপর বেখৈরহাটি নরেন্দ্র কান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শেষ করি। তারপর আমি নেত্রকোনা জেলা শহরে নেত্রকোনা সরকারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স শেষ করি। পরবর্তীতে আমি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী শেষ করি। আমি আমার ছাত্রজীবনে বরাবরই মেধাবী ছিলাম। এসএসসি পরীক্ষায় আমি ছয়টি বিষয়ে লেটার মার্কসসহ ৯ টি স্কুলের সেন্টারে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম। এইচএসসি পর্যায়ে আমাদের সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে একমাত্র আমিই স্টাইপেন পেতাম। যাই হোক, আগেই বলে রাখি আমি যেহেতু আমারা পরিবারে সবার থেকে ছোট তাই অনেক ছোট থেকেই আমি আমার ভাইবোনদেরপরিশ্রমের মাধ্যমে অগ্রগতি দেখেছি। তাই ছোট বেলা থেকেই আমিও যথেষ্ঠ পরিশ্রমী।
আমার বাবার নাম আশুতোষ দত্ত এবং মায়ের নাম অনিতা রানী দত্ত। তারা বর্তমানে জীবিত নেই। ২০০৯ সনে বাবা সড়ক দূর্ঘটনায় এবং ২০১৭ সালে মা স্ট্রোক করে মারা যান। আমি আমার বাবা মা দুজনকেই ভীষণ ভালবাসি এবং খুব মিস করি। আমার পরিবারে সকল ভাইয়েরা চাকরীজীবি এবং বড় দুই বোন গৃহিনী। তাই ছোটবেলা থেকেই আমারও চাকরী করা প্রবল ইচ্ছে ছিল। ২০০১ সনে স্নাতকোত্তর ড্রিগী অর্জন শেষে চাকরীর জন্য ইন্টারভিউ দিতে থাকি এমতাবস্থায়
২০০৫ সনের জানুয়ারী মাসে পারিবারিকভাবে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমার স্বামী প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করেন। আমাদের একজন ছেলে সন্তান আছে।
২০০৫ সনের জুন মাসে আমি স্বনামধন্য এনজিও ব্র্যাক এর শিক্ষা কর্মসূচিতে একজন প্রশিক্ষক হিসাবে যোগদান করি। সেখান থেকে প্রমোশন পেয়ে এরিয়া ম্যানেজার, সিনিয়র মনিটরিং অফিসার এবং বর্তমানে ডেপুটি ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছি। কর্মক্ষেত্রে আরো উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পেয়ে আমি ২০২১ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিষয়ে ২য় বার স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করি।
আমার নিজ জেলা সম্পর্কে তথ্য: এবার আমার নিজ জেলা সম্পর্কে আপনাদের জানাই। নেত্রকোনা জেলার মোট ১০টি উপজেলা, ১১ টি থানা, ৫ টি পৌরসভা, ৮৬ টি ইউনিয়ন ২,২৯৯ টি গ্রাম এবং ৫ টি সংসদীয় আসন রয়েছে। বর্তমানে নেত্রকোনা জেলায় ১ টি বিশ্ব বিদ্যালয় ও ১ টি সরকারী মেডিকেল কলেজ হয়েছে। এই জেলার অর্ন্তগত আমার নিজ ইউনিয়ন মদনপুরে রয়েছে হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (র) মাজার শরীফ। দূর্গাপুর উপজেলায় রয়েছে উপজাতীয় কালচারাল একাডেমী, বিজয়পুরের চীনা মাটির পাহাড়, কমরেড মনি সিং এর স্মৃতি বিজরিত স্মৃতি স্তম্ভ, কুমুদীনি স্তম্ভ, সোমেশ্বরী নদী। এছাড়াও নেত্রকোনা জেলায় রয়েছে ডিঙ্গা পোতা হাওর, চরহাইজদা হাওর, মগড়া নদী, কংস নদী, ধনু নদী, নিঝুম পার্ক, নারায়নডহর জমিদার বাড়ি, বাঘবেড় জমিদার বাড়ি ও সাত শহীদের মাজার। এই সমস্ত স্থানে ভ্রমন পিপাসু মানুষজন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকেন।
আমার শখ: আমার অন্যতম শখ হচ্ছে ভ্রমণ করা আমি কর্মসূত্রে বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলা ভ্রমণ করেছি। তবে বিদেশে ভ্রমণের প্রবল ইচ্ছে আছে। সুযোগ পেলে কোন এক সময় বিদেশে ভ্রমণ করব। বাংলাদেশেন বিভিন্ন জেলায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভ্রদনে অনেক সময় ক্লান্ত লাগে তবে বেশ মানসিক প্রশান্তি পাই। এছাড়া আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে আমি ব্যক্তিগতভাবে পরিবারসহ ভ্রমণ করেছি। চাকরীর সুবাদে আমি প্রায় ১২ বছল মটর সাইকেল ড্রাইভ করেছি। এই শখ ছাড়াও আমি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ, জরুরী প্রয়োজনে মূমুর্ষ রুগীদের রক্তদান, বিপদগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা করে থাকি।
আমি যেভাবে Steemit বিষয়ে জেনেছি:
আমি বিভিন্ন বিষয়ে জানার কৌতুহল থেকে অবসর সময়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখি। সেখান থেকেই আমি steemit সম্পর্কে জেনেছি এবং অঅমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত হয়েছি। এভানে যেহেতু বাংলার নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার সুযোগ আছে তাই আমার কাছে এখানে লেখালেখি করার আগ্রহ জেগেছে। এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
আশাকরি সব সময় আপনারা আমার সাথে থাকবেন এবং সহযোগীতা করবেন।