হ্যালো বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।

আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।

ঘরে এলো নতুন অতিথিঃ

কানভা দিয়ে তৈরি

বন্ধুরা,আজ নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।আজকের ব্লগটির টাইটেল পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমি আজ কোন বিষয়ের উপর পোস্ট শেয়ার করছি।আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে আশাকরি ভালো লাগবে।ঘরে এলো নতুন অতিথি-- এই অতিথিটি আর কেউ নয় বাজরিগর পাখি।আসলে আমার ছেলে বেশ কিছুদিন থেকেই বিড়াল বাসায় এনে লালন-পালন করার চিন্তা ভাবনা করেছিল।কিন্তু আমার কেনো যেনো বিড়াল বাসায় রাখতে একদমই ভালো লাগে না।কিন্তু ছেলে তো নাছোরবান্দা।ওর পাপা অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ছেলেকে মানাতে পেরেছে বিড়াল বাসায় লালন-পালন করার দরকার নেই।কারন তোমার মামনির এলার্জি।এ কথাতে ছেলে বিড়াল বাসায় রাখার চিন্তা বাদ দিয়েছিল।

ছেলে আমার বিড়াল না আনলেও পাখি আনবে এটা আমাকে জানায়।আমি বলেছিলাম,এখন পাখি আনার দরকার নেই।কারন সামনেই ফাইনাল এক্সাম।আর এর মধ্যে পাখি নিয়ে ঝামেলা না করাই ভালো। আর তাছাড়া আমার আব্বু আমার বাসায় কিছুদিন থাকবেন।তাই আমি এখন পাখি নিয়ে আসুক তা চাইনি।কিন্তু ছেলে মুখ কালো করে বসে থাকাতে ওর পাপা ওকে আজ কাটাবন নিয়ে যায়।আমার ছেলে আগেই ইউ টিউবে বাজরিগর পাখির দাম কেমন,এই পাখির কি খাবার,কিভাবে একে বশ করতে হয় সবকিছুই দেখে একদম পটু হয়ে গেছে।তাই ও ওর পাপার সাথে গিয়ে আপাতত একটি পাখি নিয়ে আসে।আর একটি পাখি আনবে ফাইনাল এক্সামের পর।

পাখির জন্য দুটো খাঁচা এনেছে।পাখির জন্য খাবার ও এনেছে।এরপর নিজেই খাবার গুছিয়ে দিয়েছে।মজার ব্যাপার হচ্ছে পাখির নাম নিয়ে।ছেলে আমার পাখিটির নাম রেখেছে হিরো।আমিতো অবাক হলাম।পাখি তাও আবার হিরো।যাক আজ সারাদিন পাখি নিয়েই ছিল।কিছু সময় বিকেলে দরজা,জানালা বন্ধ করে দিয়ে পাখিটিকে রুমে কিছুক্ষন ছেড়ে দিয়েছিল।পাখি নাকি মাঝে মাঝে রুমে ছেড়ে দিতে হয়।আমি বেশকিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম,তাই আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।পাখিটিকে কেমন লাগলো আপনাদের কাছে।অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

পাখির চাইতে পাখির আনুষাঙ্গিক জিনিস কিনতে বেশী খরচ হয়েছে।পাখির দাম ৪০০ টাকা চাইলেও ২০০ টাকার মধ্যে ই পাখিটি এনেছিল।কারন আমার ছেলে ভিডিও তে এই পাখির দাম কেমন সেই আইডিয়াটা ও নিয়েছিল।এ যুগের বাচ্চা বলে কথা।খুব ট্যালেন্ট।এখন চিন্তার বিষয় একটাই পাখিটি আমাদের এখানে কেমন থাকবে।সত্যি কথা বলতে বনের পাখি কে খাঁচায় রেখে লালন-পালন করার পক্ষে আমি নেই।কিন্তু কি আর করার ছেলের এতো শখ দেখে আর না এনে পারা গেলো না।এখন পাখিটি পোষ মেনে আমাদের সাথে থাকলেই হয়।তবে খুব শীঘ্রই ওর একটি সঙ্গী ভীষণ দরকার।কি বলেন আপনারা??

আজ আর নয়।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে যাব।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

পোস্ট বিবরন

শ্রেনি	লাইফ স্টাইল
প্রয়োজনীয় ডিভাইস	Samsung A 20
ফটোগ্রাফার	@shimulakter
স্থান	ঢাকা

আমার পরিচয়

আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।