হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে।প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।ছেলেবেলার শীতকালের কিছু স্মৃতি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এলাম।আমি বিশ্বাস করি আমার আজকের এই স্মৃতি রোমন্থনের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছেলেবেলার শীতকালের কিছু স্মৃতিঃ
কানভা দিয়ে তৈরি
বন্ধুরা,ঋতুর পরিবর্তন শুরু হয়েছে।শীতকালের আবির্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।শীতকালের আগমনের এই সময়ে এলে ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো মনের মাঝে এসে ভীড় করে।ছেলেবেলার শীতকালের অনুভূতি গুলো ভীষন শ্রুতিমধুর ছিল।আজ সেই ছেলেবেলার শীতকালের কিছু অনুভূতি শেয়ার করবো।আমি আশাকরি আমার আজকের শীত নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন পড়ে অনেকেরই ছেলেবেলার সেই শীতের দিনগুলোতে হারিয়ে যাবেন।তবে চলুন শুরু করি ছেলেবেলার শীতকালের কিছু অনুভূতি নিয়ে।
ছেলেবেলা সবারই খুব মধুর কেটেছে আশাকরি।আর শীতকালকে নিয়ে ছোট সময় থেকেই অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো এই সময়ে এসে ও মধুর স্মৃতিগুলো মনে পরে যায়।শীতকালে আমাদের এখানে ফাইনাল এক্সাম হয়।আর শীতের সকালে উঠে এক্সাম দিতে যাওয়া অনেক বেশী আনন্দের ছিল।কারন আমরা ভাই-বোনরা সবাই অপেক্ষা করে থাকতাম এক্সাম শেষ হলেই সবাই মিলে হৈ-চৈ করে গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যাব।তখন কতোই না আনন্দ মনের মাঝে কাজ করতো।আজ ও কিন্তু অনেক সুখ অনুভব করি সেই দিন গুলো মনে এলে।
এরপর শীতের সময়ে গোসল করা নিয়ে ছিল আর এক কান্ড।আমরা কাজিনরা মিলে ৬/৭ জন বাচ্চা ছিলাম।আর বাসার সামনে হাউজ ছিল।তার পাশে কল আর গোসল করার ব্যবস্থা ছিল।আমার আম্মু আমাদের কে এক এক করে গোসল করিয়ে দিত।আর পাশেই রোদে আমরা এক এক জন বসে রোদ পোহাতাম গোসল করার পর।এসব গল্প আম্মুর কাছ থেকেই শুনেছি।কে আগে গোসল করবে এই নিয়ে চলতো এক যুদ্ধ। কেউ চাইতো না আগে গোসল করতে।তবে আম্মু তখন বলতো যে আগে গোসল করে তার শীত গায়ে থাকে না।পরে যে গোসল করবে তার গায়ে শীত চলে যায়।এ কথা শুনে তখন সবাই আগে গোসলে যাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে যেতো।কি একটা অবস্থা ভাবুন তো! আমরা বাচ্চারা তখন কতোই না সহজ সরল ছিলাম।আর এখনকার বাচ্চারা এসব শুনলে কি বলবে তা বাচ্চাদের কাছে জানতে চাইলেই জানা হয়ে যাবে।
ছেলেবেলায় শীত আসার আগে থেকেই নতুন নতুন গরম কাপড় কেনার হিরিক পরে যেতো।আর আমার আম্মু শীত আসার আগেই আমাদের ছোট হয়ে যাওয়া শীতের কাপড় গুলো দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতো।তখন খুব ভালো লাগতো।কেননা যখন দেখতাম আমার কাপড় যা কিনা পরতে পারব না।তা আম্মু ফেলে না দিয়ে,কিংবা জমা করে না রেখে আমারই মতো কাউকে খুব আরামে শীত কাটার উদ্দেশ্যে দেয়।তখন এমনিতেই ভালো লাগা মনের মাঝে অনুভব করতাম।সেই স্মৃতির রেশ ধরে আজ আমি আমার ছেলের অনেক শীতের কাপড়, জিন্সের ছোট হয়ে যাওয়া প্যান্ট গুলো গরীব-দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে অনেক বেশী তৃপ্তি পাই।
এরপরে আসি শীতকালের অতীতের সেই খাওয়া-দাওয়ার অনুভূতি নিয়ে।আগে শীতকালের সময়টাতেই কেবল শীতের সবজি গুলো পাওয়া যেতো বাজারে।তাই শীতের সবজি খেতে অপেক্ষায় থাকতাম।আর এখন সব ধরনের সবজি বার মাসই পাওয়া যায়। কিন্তু সেই স্বাদ কিন্তু এখন আর বার মাস পাওয়া যায় না।এরপর শীতের সময়টাতে সন্ধ্যা নেমে এলে ব্যাটমিন্টন খেলার আয়োজন শুরু হয়ে যেতো।সবাই মিলে কতই না আনন্দ হতো এই খেলাকে কেন্দ্র করে।এখনকার সময়ে এই আনন্দ এই সময়ের বাচ্চারা বুঝবে না।
আর সবচেয়ে মজার আর সুস্বাদু পিঠার কথা সবশেষে না বললেই নয়।শীত মানে ই নানা রকমের পিঠা-পুলিতে ভরপুর।খেজুরের রসের মিষ্টি গন্ধে মৌ মৌ করতো চারিদিক।রাতে নানা রকমের পিঠা বানানোর ধুম লেগে যেতো ঘরে ঘরে।কতো রকমের পিঠা যে বানাতো আমার আম্মু।সেই পিঠা না আজ এতো বানানো হয়।না স্বাদ তেমন আছে।ছেলেবেলার শীতকালের অনুভূতি গুলো খুবই আনন্দময়।তাই আজ স্মৃতি রোমন্থন করতেও ভালো লাগলো।আর একটু করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি আপনাদের কাছে আমার শেয়ার করা স্মৃতি গুলো ভালো লেগেছে।
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | আমার ছেলেবেলা |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।আমার ছেলেবেলার অনুভূতি গুলো পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit