হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নানা বিষয়ের উপর পোস্ট শেয়ার করে থাকি।যদিও সময়টা কষ্টে কাটছে।তবু ও আপনাদের মাঝে আজ এলাম নতুন একটি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আশাকরি আপনারা সবাই সঙ্গেই থাকবেন।
শীতকাল সবার জন্য আনন্দ বয়ে আনুকঃ
কানভা দিয়ে তৈরি
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আজকে একটি জেনারেল রাইটিং ব্লগ শেয়ার করবো।শীতকাল শুরু হয়েছে।শীতের নামটি মুখে নিলেই নানান জনের নানান ভালো লাগা মনের মাঝে উঁকি ঝুঁকি দিতে শুরু করে।আমি জানি বেশীর ভাগ মানুষের কাছে পছন্দের ঋতু হচ্ছে শীতকাল।কেন এতো ভালো লাগে তা আপনারা সবাই জানেন।তবুও আমি বলছি আপনারা মিলিয়ে দেখবেন আশাকরি।শীতকাল সবার ভালো লাগার কারন হলো গরমের কোন ঝামেলা নেই।শীতে নানা রকমের মুখরোচক পিঠা-পুলি তৈরি করে খেতে ভালো লাগে।আর শীতকালের সবজি তো আশাকরি সবারই অনেক পছন্দের।এসব কারনে আসলে শীতকাল সবার খুব পছন্দের ঋতু।
শীতকাল নামটা নিলেই মনে হবে,আরে আমার তো নতুন শীতের কাপড় কেনার দরকার।গত বছরের কাপড় নতুন হলেও ছোট হয়ে গেছে।এবার নতুন কি কালেকশন এলো মার্কেটে গিয়ে দেখে নিতে হবে।আমরা সবাই কিন্তু এ ঋতুতে খুব আনন্দে কাটাতে চাই।আনন্দ সবাই মিলে কি করে করবো বলুন তো।আমি বলবো,আপনি বলবেন আনন্দ করবো তাও আবার সবাইকে নিয়ে কি করে করবো।এতো এতো মানুষের দায়িত্ব কি করে নিই বলেন তো।সত্যি কথা বলতে আনন্দ কে যতই বিলিয়ে দেয়া যায় আনন্দ কিন্তু ততই বৃদ্ধি পায়।তাই আনন্দ কে আমাদের ভাগ করে নিতে হবে সবার মাঝে।কি করে নেবেন তাইতো,বলছি শুনুন-আমরা আমাদের শীতের যে কাপড় গুলো ছোট হয়ে গেছে তা অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েই কিন্তু কিছু ভালো লাগা আর আনন্দ অসহায় মানুষের সাথে আমরা ভাগ করে নিতে পারি।
এতে করে কিন্তু আপনার কোন বাড়তি খরচ করতে হলো না।আবার আনন্দ ও পেয়ে গেলেন।দেখুন,যেই কাপড়টি ছোট আর পুরোনো কালেকশন বলে আপনি ফেলে দিচ্ছেন সেটা কিন্তু অসহায় একজন মানুষের উষ্ণতা দিতে পারে।এই আনন্দটুকু থেকে কেন নিজেকে বঞ্চিত করবেন বলুন তো।ছোট ছোট এই আনন্দ গুলো আমাদের কে মনে ভালো লাগার অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
এবার আসি শীতের পিঠা-পুলিখাবারের বিষয়টি নিয়ে।দেখুন,আজকাল পথে-ঘাটে,রাস্তা কিংবা ভ্যান গাড়িতে নানা রকমের শীতের পিঠা-পুলি কিনতে পাওয়া যায়। ধরুন,আপনি পিঠা কিনলেন খাওয়ার জন্য তখন আপনি আপনার রিকশাওয়ালা মামাকে ও একটি শেয়ার করলেন।এতে কিন্তু আনন্দ দিগুন হয়ে যায়। কাউকে কিছু খাওয়াতে পারলে আনন্দ তৃপ্তি পাওয়া যায়।দুজন মিলে শীতের পিঠা খাওয়ার মাঝে শীতের আনন্দকে ভাগ করে নেয়া হলো।কারন আমরা শীতের পিঠা বাসায় তৈরি করলে প্রতিবেশী আর হয়তো আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলি করি।যারা মজার মজার পিঠা-পুলি তৈরি করে খেতে পারে তাদেরকেই আমরা দিয়ে থাকি।অসহায় মানুষদের মাঝে কেউ আসলে বিলি করে না।যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তারা কি করে শীতের এই পিঠা-পুলি খাবেন ভেবেছেন কখনো।আমরা যে যার জ্যয়গা থেকে তাদের পাশে কিন্তু চাইলেই দাঁড়াতে পারি।আর এই দাঁড়ানোর মাঝে ই কিন্তু শীতকাল সবার জন্য আনন্দ বয়ে আনবে।আমি কিন্তু আমার জায়গা থেকে এর সবটাই করি।ছোট ছোট এই আনন্দ গুলো একদিন বড় আনন্দে পরিনত হবে।
শীতকাল সবার জন্য আনন্দ বয়ে আনুক।আমাদের সবার মাঝে সেই ভ্রাতৃত্ববোধ জেগে উঠুক।একা একা আর নয় ভালো থাকা।থাকবো সবাই একই সাথে আনন্দে শীতকালে।আনন্দ বয়ে আনবো মোরা অসহায় মানুষের পাশে থেকে।আজ এই হোক অঙ্গীকার আমাদের।
আজ মনের অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আজ আর নয়।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার,আমি বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহন করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit