আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসী

প্রিয় বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।

বন্ধুরা,আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি
পোস্ট নিয়ে।আজকে আমি রঙিন কাগজ দিয়ে একটি ফুলের তোড়া তৈরি করেছি।তাই শেয়ার করতে চলে এলাম।আমি প্রতিনিয়ত আমার পোস্টে ভিন্নতা আনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আপনাদের ভালো লাগাতেই আমার সার্থকতা।

রঙিন কাগজ দিয়ে ফুলের তোড়া তৈরিঃ

বন্ধুরা,আজ আমি একটি ডাই পোস্ট নিয়ে চলে এলাম।রঙিন কাগজ দিয়ে যা কিছু বানানো হোক না কেন দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি আজ গোলাপ ফুলের কলির তোড়া তৈরি করে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।আশাকরি আমার বানানো গোলাপ ফুলের তোড়া আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।তবে চলুন এটা তৈরি করতে আমার কি কি উপকরন লেগেছে তা এক এক করে তুলে ধরিঃ

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ

১.রঙিন কাগজ ও সাদা কাগজ
২. গ্লু
৩.কেঁচি

কার্য প্রনালীঃ

ধাপ-১

প্রথমে লাল কাগজের টুকরোটিকে কয়েকটি ভাজ করে নিয়ে কেটে নিলাম।

ধাপ-২

এরপর এক টুকরো কাগজকে উপরে সামান্য ভাজ করে নিলাম।এবার উল্টো দিকে চিকন করে ভাজে ভাজে ভাজ করে নিলাম।

ধাপ-৩

এভাবে সবগুলো করে নিয়েছি।

ধাপ-৪

এরপর সবুজ কাগজ ভাজ করে কয়েকটি টুকরো করে কেটে নিলাম।

ধাপ-৫

এরপর কাগজ ছবির মতো করে কেটে ভাজ ভাজ করে নিলাম।

ধাপ-৬

এবার ফুলটিকে সবুজ কাগজ দিয়ে পেচিয়ে নিলাম।সবগুলো এভাবে এক এক করে সবগুলো করে নিলাম।

ধাপ-৭

এরপর সাদা কাগজের উপর ফুলগুলো নিয়ে লাল কাগজ কেটে বো বানিয়ে গ্লু দিয়ে লাগিয়ে নিলাম। এভাবেই আমার বানানো ফুলের তোড়াটি শেষ হলো।

উপস্থাপন

আজ আর নয়।আমার বানানো ফুলের তোড়াটি কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন।সবাইকে আবারো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

পোস্ট বিবরন

শ্রেনী	ডাই পোস্ট
ক্যামেরা	Samsung A20
পোস্ট তৈরি	@shimulakter
লোকেশন	ঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।