আসসালামু আলাইকুম

শুভ বিকাল সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগে সবাইকে স্বাগতম।

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।

বন্ধুরা,আমি @shimulaktet,আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।কাজ সময়মতো না করা হলে আসলে ভালো থাকাটা ঠিক মতো হয়ে উঠে না।তাই এখন চেষ্টা করছি লেখার।আজ জেনারেল রাইটিং নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।প্রতিদিন আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি পোস্টের ভিন্নতা এনে নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে।তাই আজ একটি জেনারেল পোস্ট শেয়ার করছি।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

শুধু ভাগ্যই নয়,বরং কর্ম-ই পারে সফলতা এনে দিতেঃ

সোর্স

বন্ধুরা,আমার আজকের জেনারেল পোস্টটি মূলত কি বিষয়ের উপর লেখা তা আপনারা সকলেই হয়তো অবগত হয়েছেন।আসুন,আজকের জেনারেল রাইটিং বিষয়টি নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করি।বন্ধুরা,আমরা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। আমাদের জ্ঞান,বুদ্ধি,বিবেক দিয়ে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।আমরা বিশ্বাস করি ভাগ্য বলে কিছু একটা আছে।কারন ভাগ্য বিশ্বাস না করলে মুমিন হওয়া যায় না।আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে যখন সৃষ্টি করেছেন তখনই আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন।এই অদৃশ্য ভাগ্য বলে যা আছে তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই অবগত আছেন।আমরা পৃথিবীতে এসে নিজেদেরকে মানুষ হিসেবে দেখে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি।কারন তিনি আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন বলে।

প্রথম ভাগ্য আমাদের আমরা মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আসতে পেরেছি।এর পরের ভাগ্য কিন্তু আমাদের জানা নেই।তা কিন্তু অজানাই।সেই ভাগ্য জানার শক্তি কিন্তু আমাদের মানুষদের নেই।কি করবো,কোথায় যাবো তা কিন্তু আমাদের অজানা।ধরুন,আমি পৃথিবীতে এসেছি,আর বেঁচে থাকতে হলে খাবার খাওয়া জরুরী।কিন্তু আমি যদি হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকে ভাবি আল্লাহ আমার আহার দেবেন,তবে কি আমার খাওয়া হবে?নাকি আমি কোন ভাবে ভালো থাকতে পারবো?আমি যদি উঠে নিজে রান্না না করি আল্লাহ কি খাবার দিয়ে দেবেন।না,দেবেন না।কারন আল্লাহ আমার বিবেক,বুদ্ধি দিয়েছেন।যেই বিবেক দিয়ে আমি বুঝতে শিখেছি যে রান্না না করলে খাওয়া সম্ভব নয়।

আবার দেখা যায় আল্লাহ সব মানুষকে একই রকম আর্থিক স্বচ্ছলতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান না।কেউ হয়তো ধনী আবার কেউ হয়তো দরিদ্র।কিন্তু যে ব্যক্তিটি দরিদ্র সে যদি ভেবে বসে থাকে আল্লাহ আমাকে দরিদ্র করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তাই আমি দরিদ্রই থাকবো,এটা কিন্তু শুধু ভাগ্য নিয়ে বসে থাকা হলো।এতে করে কিন্তু তার অবস্থার কখনো কোন পরিবর্তন হবেনা।কারন ভাগ্য আল্লাহ ঠিকই নির্ধারণ করে আমাদের পাঠিয়েছেন।আমরা ধনী নাকি দরিদ্র হয়ে পৃথিবীতে আসবো।আর সাথে আমাদের বিবেক,বুদ্ধি আর জ্ঞান ও দিয়ে পাঠিয়েছেন।সেই জ্ঞান যদি আমরা না খাটিয়ে শুধু আল্লাহ ভরসা করে বসে থাকি,তবে মানব জীবন কেমন হলো।আর তাই আমাদের বুদ্ধি,জ্ঞান দিয়ে কাজ করে যেতে হবে।তবেই কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবো।আল্লাহ ও তখন খুশী হয়ে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে দেবেন।

পৃথিবীর বুকে আমরা অনেককেই দেখেছি যারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন আল্লাহ তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে দিয়েছেন।আল্লাহ ও তখন তাদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান।আর তাদের অবস্থার উন্নতি করে দেন।এজন্যই বলা হয়,অদৃশ্য ভাগ্য নিয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে না থেকে নিজের বুদ্ধি,মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজ অবস্থানকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া।তাই আসুন আমরা ভাগ্যের দোহাই আর না দেই।আল্লাহর দেয়া বিবেককে কাজে লাগিয়ে কর্মের উপর মনোনিবেশ করি।তখন আল্লাহ খুশী হয়ে আমাদের অবস্থার উন্নতি করে দেবেন।

তাই আর নয় ভাগ্যের দোহাই দিয়ে বসে থাকা।আমরা কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের অবস্থানের পরিবর্তন করবো ইনশা আল্লাহ।জীবন যতো দিন আছে ততো দিন কাজ, কাজ আর কাজ।এই কাজই পারবে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে।আল্লাহ আমাদের মাঝে এই বুঝ দান করুক এটাই চাওয়া আল্লাহর কাছে।

আজ আর নয়।আশাকরি আমি আমার জেনারেল রাইটিং এর বিষয়টি আপনাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।সবাই সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।

পোস্ট বিবরন

বিষয়	জেনারেল রাইটিং
লেখা	@shimulakter

আমার পরিচয়

আমি শিমুল আক্তার। আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।