শুভ দুপুর বন্ধুরা।সবাইকে বাংলা নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছাও অভিনন্দন জানাই।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি@shimulakter,আমি একজন বাংলাদেশী।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।প্রতিনিয়ত আমি চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কিছু লিখে শেয়ার করার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।তবে চলুন আজ কি বিষয় নিয়ে লিখছি তা শেয়ার করি।
নানান রকমের আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিলামঃ
বন্ধুরা,কাল৷ পহেলা বৈশাখ গেলো।বাঙালি জাতির জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে এলো এই পহেলা বৈশাখ।আমরা বাঙালি জাতি এই নতুন বছরকে কেন্দ্র করে নানানকিছুর আয়োজন করে থাকি।নতুন বছরের নতুন দিনে সকলের জীবন সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে আমরা নতুন বছরের এই প্রথম তারিখ পহেলা বৈশাখ কে নানাভাবে নানান আয়োজনে বরন করে নেই।আমাদের জীবনের যতো দুঃখ-কষ্ট ছিল তাকে এই দিনে ভুলে গিয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখি।
পহেলা বৈশাখ আমাদের জীবনে নতুন কোন বার্তা বয়ে আনুক আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করি।চৈত্র মাসের শেষ,এলো বৈশাখ।কাঠ ফাটা রোদকে উপেক্ষা করে আজ সবাই রমনার বটমূলে একত্রিত হয়ে পান্তা-ইলিশ খাবে।আর নতুন বছরকে নানা ভাবে বরন করে নেবে।বাঙালি রমনীরা সাদা শাড়ি লাল পাড়,সেজেগুজে সবাই একত্রিত হয়ে বর্ষকে বরন করতে আজ অধীর আগ্রহে আছেন।
তবে আমি কিন্তু তেমনটা করিনা।আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমি ভীড় একদমই পছন্দ করিনা।তাই বাইরে গিয়ে বর্ষকে বরণ করা আমার আর হয়ে উঠে না।আমি আমার মতো করে বর্ষকে বরণ করি প্রতি বছর।আর তাইতো একদিন আগেই ঈদের আমেজ শেষ করে বাবার বাসা থেকে বাসায় চলে এসেছি।সবাই যখন সুন্দর করে সেজেগুজে সকাল সকাল রমনার বটমূলে ছুটে যায় বাংলা নববর্ষ কে বরণ করার জন্য।আমি তখন নিজের রান্নাঘরে ব্যস্ত হয়ে পরি পরিবারের সবাইকে পান্তা-ইলিশ দিয়ে নতুন বছরকে সুস্বাগতম জানাতে।আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি ভালোবাসার ছোঁয়ায় নানা রকমের খাবার তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পরি।
আগের দিন রাতে ভাত রান্না করে সেই ভাতের মধ্যে পানি দিয়ে রেখে দিয়েছিলাম।এরপর সকালে উঠে আমি ডালের পেঁয়াজু,মুচমুচে করে ইলিশ মাছের ফ্রাই করে ছিলাম।টেবিল সাজিয়ে নিয়ে সবাইকে নিয়ে পান্তা-ইলিশ খেয়ে বাংলা নববর্ষ কে বরণ করে নিলাম।সত্যি কথা বলতে আমি পান্তা ভাত কখনই পছন্দ করতাম না।কিন্তু এখন কেন জানি ভালো লাগে।বছরের এই বিশেষ দিনটিতে সবাইকে নিয়ে এক সাথে খেতে।
সকালের আয়োজন শেষ হলে আমি দুপুরের রান্নার আয়োজন শুরু করে দিয়েছিলাম।আমি দুপুরে পোলাও,চিকেন কোরমা,বিফ রেজালা,সালাদ এসব কিছুর আয়োজন করেছিলাম।সবাইকে নিয়ে সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছিলাম।
এতো সব খাবারের মাঝে পায়েস,জর্দ্দা ও কিন্তু ছিল।আমি এই প্রথম বাশমতি চাল দিয়ে জর্দ্দা রান্না করেছিলাম।সব সময় পোলাও এর চাল দিয়েই করা হয়।জর্দ্দা খেতে কিন্তু ভীষণ স্বাদের হয়েছিল।নিজের হাতে রান্না করে নানান রকমের খাবার খাওয়াতেই আমি ভীষণ পছন্দ করি।এর জন্য ভাববেন না যে আমি বাইরে বের হইনি।বাইরে গিয়েছিলাম ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে তা অন্য কোন পোস্টে শেয়ার করবো আশাকরি।আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমি নিজের হাতে রান্না করে সবাইকে খাওয়াতে পছন্দ করি।তাইতো বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে সেই ইচ্ছে আরও বেশি জাগ্রত হয় মনে।আমি আমার মতো করে বাসায় বসে নানা রকমের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দিনটিকে বরণ করে নেই সব সময়।পরিবারের সকলের সাথে সুন্দর একটি অনুভূতি নিয়ে মিষ্টি মুখ করে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিলাম।আশাকরি আপনারা ও তেমনটাই করেছেন।নতুন বছর নতুন বার্তা দিয়ে আমাদের জীবনকে আলোকিত করবে এমনটাই আশাকরি।দিনটি কেমন কেটেছে আপনাদের সকলের? তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | জেনারেল রাইটিং পোস্ট |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে আর নতুন নতুন রেসিপি করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অও,নানান ধরনের বাহারি খাবারে তো আপনি দারুণ আয়োজন করেছেন।আসলেই গরমে ভিড় ভালো লাগে না।আর পান্তাভাত আমারও পছন্দ নয়।তবে এমন রেসিপি হলে পান্তা আসলেই স্বাদের হয়ে ওঠে।পান্তা ইলিশ খেতে দারুণ মজার, ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পহেলা বৈশাখের দিনে গ্রামে তো আপু তিতা জাতীয় শাকসবজি খাওয়ার প্রচলন ছিল বেশি। পাট শাক খাওয়া হয়েছে এবার পহেলা বৈশাখে। তবে আপনি দেখছি মজাদার সব খাবার রান্না করে উদযাপন করেছেন বৈশাখের দিনটা!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মতামত প্রকাশ করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit