আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
বন্ধুরা,আজ আমি শেয়ার করতে চলে এলাম লাইফ স্টাইল পোস্ট।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকমের কর্মকান্ডের কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আশাকরি আমার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগে।চলুন তবে আজকের বিষয়টি তুলে ধরছি।
এ যেনো পরম পাওয়াঃ
বন্ধুরা,পোস্টের কভার ফটোতে রসমালাইয়ের ফটোগ্রাফি দেখে কি ভাবছেন আপনারা??এই রসমালাই আমি তৈরি করেছি?আসলে তা নয়।এই রসমালাই তৈরির পেছনের গল্পের অনুভূতি গুলো আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এলাম।সত্যি কথা বলতে আমি জীবনে দুবার রসমালাই তৈরি করার চেষ্টা করেছিলাম।এরপর আর করিনি।বিয়ের পর দেখেছি আমার মেজো ননদ যে কিনা দুবাই থাকে,সেই আপু দেশে এলেই নানা রকমের ডেজার্ট বাসায় খুব সহজেই তৈরি করে নেয়।তিনি বলেন নানা রকমের মিষ্টি, দই নিজেই বাসায় তৈরি করেন সব সময়।আর তার বাসায় গেস্ট এলে তিনি সব ধরনের ডেজার্ট নিজে তৈরি করে রাখেন।আর সবাই খেয়ে খুব প্রশংসা করে থাকেন।
এবার আসি আমার ফটোগ্রাফির রসমালাইয়ের গল্প নিয়ে।আমার ছেলে মিষ্টি খাবার ভীষণ পছন্দ করে।তাই সেদিন বাইরে গিয়েছিলাম।ফেরার পথে মিষ্টির দোকান থেকে ছেলের জন্য রসমালাই নিয়ে এসেছিলাম।ছেলে তো আমার আনা রসমালাই খুবই মজা করে খেয়ে নিল।এরপর ছেলের মাথায় ভুত চাপলো সে ইউ টিউব দেখে এবার তার পছন্দের রসমালাই তৈরি করবে।যে ভাবনা সেই কাজ।ছেলে টিভি ছেড়ে তার সামনে রসমালাইয়ের সবগুলো উপকরণ নিয়ে বসে গেলো।এরপর এক এক করে সব উপকরণ গুলো মেশানোর চেষ্টা করছিলো চামচ দিয়ে।আসলে সবকিছু তো আর চামচ দিয়ে হয় না।তাই হাত তো লাগাতেই হয়।কিন্তু সেই কাজটা এতো ছোট ছেলের দ্বারা সম্ভব নয় বলে আমি মাখানোর কাজটি করে দিলাম।এরপর যা কিছু কাজ সবটাই সে নিজে করলো।আমাকে কিছুতেই আর করতে দিল না।
এর আগে ও আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম ছেলের তৈরি করা চকলেট কেক ও চিকেন মোমো।আজ সে তৃতীয় বারের মতো রসমালাই তৈরি করে নিল।এতো চমৎকার হয়ে ভাবতে ও পারিনি।ছেলে আমাকে কিছুই ধরতে দিচ্ছিল না।তাই চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া আমার আর কোন কাজই ছিল না।আর তাইতো এলাচ গুঁড়া করতে গিয়ে ভালো মতো ব্লেন্ড ও সে করেনি।তাই রসমালাইয়ের মধ্যে এলাচ গুঁড়া তাকিয়ে আছে। 😂
এলাচ গুঁড়া তাকিয়ে থাকলেও রসমালাই খেতে কিন্তু দারুন স্বাদের হয়েছিল।এতোটুকু একটি ছেলে এতো মজার রসমালাই তৈরি করে খাওয়াবে এ যেনো আমার জন্য পরম পাওয়া।কোন কিছু করার ভুত মাথায় চাপলে তা না করা পর্যন্ত আমার যেমন শান্তি লাগে না।ছেলেটির মাথায় ও দেখছি সেই ভুতটা ভর করে আছে।😂
রসমালাই গুলো এতো স্বাদের হয়েছিল যে আমরা সবটাই এক বসাতে শেষ করে নিয়েছিলাম।তাই আপনাদের খাওয়াতে পারলাম না।ফটোগ্রাফিগুলো করে রেখেছিলাম তাই শেয়ার করলাম।আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পেরেছেন রসমালাই গুলো কতোটা মজার হয়েছিল।কিছু তৈরি করার ভুত আবার যদি ছেলের মাথায় ভর করে তবে সেই রেসিপির ফটোগ্রাফি নিয়ে আবার হাজির হয়ে যাব আপনাদের মাঝে।আশাকরি সবাই দোয়া করবেন ওর জন্য।
আজ আর নয়।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ধানমন্ডি ,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার ননদ বাসায় এলেই এরকম মজার মজার খাবারের আয়োজন করা হয় জেনে খুবই ভালো লাগলো। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। লোভনীয় সব খাবার গুলো দেখে অনেক ভালো লাগে। আপনার লাইফ স্টাইল পোস্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit