💖 " সময় কম তাই অনলাইনে পছন্দের খাবার অর্ডার "

in hive-129948 •  3 months ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।

আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।

সময় কম তাই অনলাইনে পছন্দের খাবার অর্ডারঃ


CollageMaker_2024104173611334.jpg

বন্ধুরা,আজ নতুন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে এলাম।নানা রকমের ব্যস্ততায় আমার সময় কাটছে।এতো বেশী ব্যস্ত হয়ে পরবো কখনো ভাবিনি।আর এটা ও কখনও ভাবিনি এতো বেশী ঘর আর বাইরে সামলাতে হবে।আমি বাইরের খাবার খাওয়ার পক্ষে কখনো ছিলাম না।কিন্তু এখন দিন গুলো এতোটাই ব্যস্ততায় কাটছে আমার বাইরের খাবার মাঝে মাঝেই অর্ডার করতে হচ্ছে। সেই বিষয় নিয়েই আজকের পোস্টটি মূলত লেখা।

20240928_224711.jpg

সত্যি কথা বলতে আমরা যখন ছোট ছিলাম।তখন অনলাইন কেনাকাটা ছিল না।কিংবা এখনকার মতো এতো সুযোগ সুবিধা আমার মা,চাচীরা কখনও পায়নি।আগের সময়টাতে সবকিছু ই তারা সামলে নিতো।বাড়িতে মেহমান এলেও যত ব্যস্তই থাকুক না কেন তারা অতিথি আপ্যায়নে ও নিজেরা ঘরে খাবার তৈরি করে দিতো।আর এ সময়ে এসে আমরা এতো সুযোগ সুবিধা পেলে ও কোন কিছু হলেই আজকাল অনলাইনে অর্ডার করে বসি।আমাদের যেনো কষ্ট মোটেও সহ্য হয় না।

20240928_224532.jpg

আমার আব্বু এখন ও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।যদিও আগের চাইতে অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছে।আব্বু-আম্মুর খাবার আমি নিজেই তৈরি করি।আর আব্বুকে প্রতিদিনই দেখতে যাই।সব কাজের মধ্যে এই দুটো কাজ আমি প্রতিদিনই করি।হাসপাতাল থেকে আমার বাসা কাছে তাই সেদিন আব্বুকে দেখতে ভাইয়া ও বোনের ছেলে মেয়ে এসেছিল। হাসপাতালে আব্বুকে দেখে আমার বাসায় এসেছিল। কি খেতে দেব ভাবতে ভাবতে ভাবলাম বাচ্চারা তো বার্গার,পাস্তা,পিজ্জা পছন্দ করে।তাই তিন রকম খাবার অর্ডার করলাম।আর এতো সুবিধা খাবার অর্ডার দেওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে এলো।এতো কম সময়ে কোন কষ্ট ছাড়া খাবার পেলে কার না ভালো লাগে বলেন তো।

CollageMaker_2024104175947140.jpg

বেশ অনেকদিন হলো ঘরের কাজ বাইরের কাজ সামলাতে সামলাতে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে পরেছি।তারপরেও আমি কিন্তু থেমে নেই।একটু রেস্ট নিয়ে আবার চলছি তো চলছি।এতোকিছুর মাঝে ব্যস্ত থেকে নিজের হাতের খাবার রান্না করা বা তৈরি করা আমার সম্ভব হচ্ছে না মেহমান অ্যাপায়নে।তাই সময় কম অনলাইনে খাবার অর্ডার করে দিয়ে কিছুটা রিলাক্স থাকার চেষ্টা করছি।প্রায় সময় বোন,ভাবী আব্বুকে দেখতে আসছে হাসপাতালে। তখন দুপুরের খাবার আমি নিজের হাতেই রান্না করে ওদেরকে আপ্যায়ন করছি।এইতো আজ শুক্রবার আজ দুপুরেও ওরা আমার এখানে লাঞ্চ করলো।লাঞ্চের আইটেম কিন্তু আমি আবার অনলাইনে অর্ডার করে কখনও আপ্যায়ন করিনা।আমি সব সময় পছন্দ করি নিজের হাতের রান্না করা খাবারগুলো দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করার।যাক অনলাইনের এই খাবার গুলো ভাই-বোনের চেলেমেয়েকে খেতে দিয়ে বেশ ভালোই রেসপন্স পেয়েছি।আমার অর্ডার করা সার্থক হয়েছিল। সেই অনুভূতিগুলো আজ শেয়ার করে নিলাম আপনাদের মাঝে। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার অনুভূতি গুলো ভালো লেগেছে।

আজ আর নয়।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে যাব।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

পোস্ট বিবরন


শ্রেনিলাইফ স্টাইল
প্রয়োজনীয় ডিভাইসSamsung A 20
ফটোগ্রাফার@shimulakter
স্থানঢাকা

আমার পরিচয়

96PguSMiZiG2aJ3NLqePiD2iuR7rncmaN6uroXtVxGaAG1DAYEG3NCh1cGMczkPKfnE9jjtVxP35CYEZU6ZxZFFTSivQa1eh1ot6ZzwCmG...AwoqceF6TSWE4Nav1o7HAitS9PezzvoZEzSUMtfS3J217L9uHsjpx3ms5GbxwEGUAuTWUnSdiYDs2iCoK7nkvuuSpyiN2X6By4EGTxBFxVhS7R8KCXs5ErEmc.jpeg

আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPmXA6ginRbBsbKGY2VtVnXzUUJNCrTg8j8t3NuJGgf2KbYWVhU7Jrqyce9L83...PNYeU1ZG126PQwwYwsEMXRPSgTDchsmsthTuCRnsXyUEgYAxXYHvD1KkAgZAv8CLWHJPSdQZmsDDyKM5Ubj9B5mKCqzYYqKNAPfqtYj6eigy9Evp46XYyTvpcv.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRQ2cJZBsiyuMbbQNbt2XY3bPDP3soCEvgarH2Jwxn58HCSwZqnJoPtfVfPHher...f1Dq76pKECV4KekfqyZj18qfc4ziQW3kRYsgW1PMLc47emsksqLgif1cmhk34QEfazWiZ3aAFVCXuC6ZFp39Mc57NeUUL4DNuymUk8Cq7TKhE9BkS9WxCKgszV.gif

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRQ1VkjUz8HgY93iu9LmdTomBnX3wHwivw1EntvGjs3kaesGG5gEQD45h4WqnW4...kDi15WZZPbANXygF3SVKwZdVkuwRf1htbPVitjLviFeQQ5eKMhH7ZDZC5Zc1bZgHsniavKZa7QvEZdSVX1rP9UhKEvgek6idjzh2X6gci8Zajbp5FqmxK9TKBC.png

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9U7RRG2y2M9YYSM48N5nbcXLb7PqdkYJ9oR9FoA2unvh83eqRV77XS1odgZghsEq4QSkRqvT13kzKTc.jpeg

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siTRM9RiHCBoSjHNuiJNg7JaN1YHkdVF2iL5yXmTwhgdJbBWGqp5o8DReVS38H...Ngs8B1ZxQ71gjBxiqfcH84Q1vPFSBFZmyW1T5WYxF2TL2KthznYPi6aVayXiVmeqrvyCqCmnquJrNciFufjx91GZCbFjkMM65HFSSmzsVSgn2g7Gro7uZrMtgv.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

প্রথমেই আপনার আব্বুর সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি।খুব ব্যস্ত সময় পার করার জন্য বাধ্য হয়েই অনলাইনে খাবার অর্ডার করে ফেললেন।আর এমন সব খাবার অর্ডার করলেন যে খাবারগুলো সব কয়টি আমার অনেক পছন্দের খাবার।যাইহোক ব্যস্ত সময়ের জন্য অনলাইনে খাবার অর্ডার করে খাওয়ার অনুভূতিটি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক অভিনন্দন।

আমি প্রায় খেয়াল করে দেখি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করে থাকেন। আমি কোনদিন অনলাইনের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করি নাই। তাই এই বিষয়ে আমার তেমন কোন দক্ষতা নেই। বেশ ভালো লাগলো আপনার দারুন একটি অভিজ্ঞতা দেখে। তবে যে সঠিক খাবার হাতে পৌঁছায় এটা জেনে অবাক হয়ে।

বাচ্চার জন্য অনলাইনে অর্ডার করতেই হয় আপু।তবে আমি বাইরের খাবার একদমই খাই না।ধন্যবাদ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।

আপু আপনি তো দেখছি আমার আপুর মত ব্যস্ত হয়ে গেছেন। আসলে আপনার মত আমারও বাহিরের খাবার ভালো লাগে না। ঘরে তৈরি করে খাওয়ার চেয়ে এমন মজার আর কোন খাবার হয় নাকি। দোয়া করি আপনার ব্যস্ততা কমে আসুক।

সত্যি ই আপু আব্বুর অসুস্থতায় ব্যস্ততা আমার বেড়েই গিয়েছে।ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আপু প্রথমে আপনার আব্বুর সুস্থতা কামনা করি। তিনি যেন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন খুব তাড়াতাড়ি এটাই কামনা। বুঝতে পারছি ঘরে বাহিরের সব কাজ করতে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে আপনার। ভালোই করেছেন অনলাইন থেকে খাবারগুলো অর্ডার করে। আপনার ভাইবোনের ছেলে মেয়েরা নিশ্চয়ই এগুলো অনেক মজা করে খেয়েছে। খাবার গুলো দেখে বুঝতে পারছি খাবারের মন ভালো ছিল।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।

অনলাইন থেকে নিজের পছন্দের খাবার কিনেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব মজার মজার খাবার গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আর ব্যস্ততার সময়গুলোতে অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করলে অনেক বেশি সুবিধা হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।

মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এরকম ভাবে কাজ করলে তো ব্যস্ততা থাকবেই আপু। আপনার আব্বু এখনো পর্যন্ত হাসপাতালে শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। এটাই কামনা করি যেন তিনি সম্পূর্ণভাবে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। আপনার ভাইয়া এবং বোনের ছেলে মেয়ে আশাতে, অনলাইন থেকেই খাবার অর্ডার করে দিয়ে ভালো করেছেন। না হলে অনেক কষ্ট করে খাবার তৈরি করা লাগতো।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।

আপনার আব্বু তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। মাঝে মাঝে বাহির থেকে খাবার নিয়ে আসলে খেতে বেশ ভালো লাগে। অনলাইনে খাবার অর্ডার করেছেন ভালো হলো। সবাই মিলে খাবার গুলো খেয়েছেন নিজে খাবার তৈরি করার জামেলা হলো না । ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

এখন তো আধুনিক যুগ, সময় বাঁচানোর জন্য সবাই আনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করে নেয়। আগে যতই ব্যস্থ থাকতে হতো, খাবার নিজেই তৈরী করতে হতো। জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।