প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,শুভ দুপুর সবাইকে।কেমন আছেন আপনারা??
"আমার বাংলা ব্লগ" এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,আমি@shimulakter,আমি বাংলাদেশে ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি একজন নিয়মিত ইউজার।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজ আমি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রায় অনেকদিন পর আজ একটি চমৎকার নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি।বাংলা নাটক আমার খুব ভালো লাগে।আশাকরি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমুহঃ
নাটকের নাম | হৃদয় জুড়ে তুমি |
---|---|
পরিচালক | তৌফিকুল ইসলাম |
অভিনয়ে | মুশফিকুর রহমান ফারহান,তানজিন তিশা ও আরো অনেকেই। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
প্রচার | ২৫ শে জুন , ২০২৪ |
সময় | ১ ঘন্টা ১৩ মিনিট |
কাহিনী সারসংক্ষেপঃ
আজকের এই নাটকটি খুবই রোমান্টিক একটি নাটক। আর রোমান্টিক ও বাস্তবধর্মী এই নাটকটি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার। চমৎকার এই নাটকের রিভিউ পোস্ট আজ আমি শেয়ার করতে চলেছি।চলুন নাটকের কাহিনী আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।নাটকের প্রথম দৃশ্যে দেখা যাবে মুশফিকুর রহমান তার পরিবারের সাথে ঢাকা থেকে চাচার বাড়িতে আসেন চাচাতো বোনের বিয়ে খেতে।সেখানে তার অন্য একজন কাজিন ও এসেছিল।সবার সাথে সবার দেখা সাক্ষাত হলো।এরপর মুশফিক তার চাচীর কাছে জানতে চায় বিন্তির কথা।অর্থাৎ যে বোনের বিয়ে সে কোথায়। তখন তার চাচী জানায় বিন্তি তার রুমে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
মুশফিক তখন দৌড়ে বিন্তির রুমের দিকে ছুটে যায়।বিন্তির রুমে গিয়ে বিন্তি ভেবে সে বিন্তির বান্ধবী তিশাকে কোলে তুলে নেয়।এদিকে তিশা হতভম্ব হয়ে যায়। এরপর বিন্তি গোসল শেষ করে বের হলে তাকে দেখে মুশফিক তিশাকে কোল থেকে নীচে ফেলে দেয়।এরপর বিন্তি তিশার সাথে ফুশফিকের পরিচয় করিয়ে দেয়।আর তখন থেকেই শুরু হয় তাদের দুজনের খুনসুটি। প্রথম দেখাতেই তিশাকে তার ভালো লেগে যায়।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর দেখা যাবে প্রতি মূহুর্তে মুশফিকের নানা রকমের পাগলামি তিশাকে নিয়ে।কিন্তু ভালোবাসার কথা তার আর বলা হয়না।এদিকে বিন্তির গায়ে হলুদ ও শেষ হয়ে যায়। বিয়ের দিন চলে আসে।তখন মুশফিকের সেই কাজিনটি তাকে ডেকে জানতে চায়,মুশফিক কি তিশাকে ভালোবাসে কিনা।মুশফিক জানায় তিনি তিশাকে ভালোবেসে ফেলেছে।তখন কাজিন টি তাকে তার মবের কথা তিশাকে জানাতে বলে।নয়ত বিন্তির বিয়ে হলে তিশা তো চলে যাবে তখন তিশাকে মুশফিক কোথায় পাবে।এ কথা শুনে মুশফিক চিন্তায় পরে গেলো। আর ভাবলো তাকে তো মনের কথা জানাতেই হবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
মুশফিক বিন্তির বিয়ের দিন তিশাকে ভালোবাসার কথা জানাতে তৈরি হয়।আর ঠিক তখন তিশা বাইরে আসে।দুজনের সাথে দুজনের চোখাচোখি হয়।দুজন দুজনের কাছাকাছি আসতেই তাদের মাঝে শফিক নামের একটি ছেলে দাঁড়িয়ে যায়।তিনি তিশাকে নিতে এসেছেন।কারন এই শফিকের সাথেই তিশার বাবা তার বিয়ে ঠিক করেছেন।এরপর কিছু বলার আগেই শফিক তিশার হাত ধরে তাকে বাসায় নিয়ে যান।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর দেখা যায় বিন্তি এসে মুশফিক কে সব জানায়।তিশার বাবার এলাকায় অনেক প্রভাব,তিনি মানুষ হিসেবেও বিশেষ ভালো নয়।আর তিনি তার প্রভাবকে ধরে রাখতে শফিকের মত একজন সন্ত্রাসীর সাথে তিশার বিয়ে ঠিক করেন।
তিশার চোখে মুশফিক ভালোবাসা দেখেছে।কিন্তুতার মুখ থেকে শুনতে তিনি তিশার বাড়ি শান্তিনগর রওনা হয়ে যান।পথেই তিশার সাথে তার দেখা হয়।কিছু জানতে চাওয়ার আগেই তিশা শফিককে দূর থেকে দেখে মুশফিককে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে সরিয়ে দেন।এরপর শফিক এলে শফিকের গাড়ি তে তিনি চলে যান।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
এরপর মুশফিক শান্তিনগর গ্রামে থেকে তিশার সাথে নানা ভাবে দেখা করার চেষ্টা করে।এতে করে সে শফিকের কাছে ধরা পরে যায়।আর শফিক তার লোকজন দিয়ে মুশফিক কে মারধর ও করেন।কিন্তু তাও সে ঢাকায় ফিরে যায় না।এরপর ঘটনা ক্রমে তিশার বাবার চোখে ও ধরা পরে যান।তখন তিশার বাবা মুশফিক কে চলে যেতে বললে ও সে তিশাকে না নিয়ে যাবে না বলে দেয়।তখন তিশার বাবা শফিকের সাথে তিশার বিয়ের ডেট এগিয়ে আনেন।তিশার বাবা বলেন,তিনি এক কথার মানুষ তিনি শফিককে কথা দিয়েছেন তার সাথেই তিনি তিশার বিয়ে দিবেন।এরপর আসলে কি হয়েছিল??এক কথার মানুষ এই প্রভাবশালী তিশার বাবা তিশার সাথে কি আচরন করেছিল?? তা জানতে হলে নাটকটি আপনাদের আসলে দেখতে হবে।আমি নীচে নাটকের লিংকটি দিয়ে দেবো।আশাকরি আমার মতো আপনাদের কাছেও নাটকটি ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশর্টঃ ইউ টিউব
আমার মতামত
এই নাটকটি দেখার পর আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করছি।আগেই বলেছি নাটকটি রোমান্টিক। এখানে তিশা ও মুশফিক দুজনের অভিনয় ভীষন ভালো হয়েছে।তিশার বাবা যেমন প্রভাবশালী একজন মানুষ তেমনি খুব খারাপ একজন মানুষ।তিনি তার মেয়ে তিশাকে একজন সন্ত্রাসীর হাতে তুলে দেয়ার জন্য,মেয়ে তার বাবার পছন্দে বিয়ে করবে না বলে তিশাকে তিনি খাবারে ঘুমের ঔষধ দিয়ে ঘুম এলে পরে জীবন্ত মাটিতে কবর দিয়ে ফেলেন।সেদিন রাতে মুশফিক সেই কবরের পাশে দেয়ালে ওপাশে বসে সব শুনছিলেন।কবর দিয়ে সবাই চলে গেলে মুশফিক মাটি খুড়ে নিয়ে তিশাকে ভোর বেলা তুলে নিয়ে চলে যায়।পরে যদিও দেখানো হয় তিশার বাবা মেয়ের কবরের পাশে শুয়ে শুয়ে কাঁদছেন।এমন বাবা আমাদের সমাজে অনেক আছেন যারা নিজেদের কথা রাখতে না পারলে ছেলে-মেয়েকে মেরে ফেলতে ও দ্বিধা করেন না।এটা খুব বাজে একটা ব্যাপার।মেয়ের সুখ না ভেবে প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে মেয়ের জীবন নষ্ট করার কোন মানে হয় না।ছেলে-মেয়ে কিভাবে সুখী হবে সেদিকটা প্রতিটা মা-বাবার দেখা উচিত।প্রভাব-প্রতিপত্তির ভয়ে ভালো না বেসে মনের অনুভূতি দিয়ে ভালোবেসে জীবন কাটানো অনেক ভালো। মেয়েকে জীবন্ত কবর দেয়ার পর না কেঁদে মেয়েকে বাঁচিয়ে রেখে তাকে সুখী দেখতে চাওয়া প্রতিটি বাবার চাওয়া হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।নাটকটি দেখবেন আশাকরি।আর এই নাটকের যে মেসেজটি তা মনে রাখবেন।
রেটিং
পরিচালনা | ৯ |
---|---|
কাহিনী | ৯ |
অভিনয় | ৯ |
বন্ধুরা সম্পূর্ণ নাটকটি নিজের ভাষায় লিখেছি।আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালোই লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আবার কথা হবে পরবর্তী ব্লগে।আজ এখানেই বিদায়।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | নাটক রিভিউ |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে।আর সবাইকে নতুন নতুন রেসিপি করে খাওয়াতে ভীষণ
ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তানজিন তিশা এবং ফারহান দুজনেই আমার খুবই প্রিয় অভিনয় শিল্পী। এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি আপু। তবে আপনার লেখা পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে নাটকটি সত্যিই দারুণ। আমি সময় পেলে এই নাটকটি দেখার চেষ্টা করবো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার চমৎকার এ নাটক রিভিউ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি এমনিতে নাটক খুবই পছন্দ করে থাকি। তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করে থাকিস বিভিন্ন নাটক দেখার। চেষ্টা করব আপনার রিভিউ করা নাটকটা দেখার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হৃদয় জুড়ে তুমি নাটকটি আমি কিছু দিন আগেই দেখলাম আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আমাদের দেশে এখনো অনেক মানুষ আছে যারা নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আপনজনদের ওপর অনেক অত্যাচার করে। এই নাটকটি আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষা দেয়। আপনার রিভিউ এর মধ্যে আবার নাটকটি দেখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ দিয়েছেন আপু। নাটকটা বেশ রোমান্টিক একটা নাটক। যদিও আগে দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। নাটক থেকে পাওয়া মেসেজটা ও খুব সুন্দর। সময় পেলেই নাটকটা দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit