শৈশব স্মৃতি- শৈশবে সাঁতার শেখার স্মৃতি||

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।


বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। শৈশব স্মৃতি নিয়ে লিখতে অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে শৈশব স্মৃতি নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। যখন শৈশবের মধুর স্মৃতিগুলো মনে পড়ে তখন লিখতে বসে যাই। আজকে আমি একটি শৈশব স্মৃতি সবার মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। তো বন্ধুরা চলুন আমার আজকের পোস্ট দেখে নেয়া যাক।

শৈশবে সাঁতার শেখার স্মৃতি:

the-child-4387036_1280.jpg
source


শৈশবের সোনালী দিনগুলো আমাদের স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়ে রয়েছে। সেই স্মৃতির পাতা থেকে যখন কোন স্মৃতি মনে পড়ে যায় তখন সাথে সাথেই লিখতে বসে যাই। শৈশবের সোনালী দিনগুলো ভোলার মত নয়। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে শৈশবের স্মৃতিগুলো প্রায় কাছাকাছি। বিশেষ করে যারা গ্রামে বড় হয়েছে তাদের শৈশবের স্মৃতিগুলো অনেকটাই একই রকমের। আর যারা গ্রামে বড় হয়েছেন তারাই হয়তো সেই স্মৃতিগুলো আরও বেশি মনে রেখেছেন। আমার এখনো শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। বিশেষ করে সুন্দর মুহূর্ত গুলোর কথা বেশি মনে পড়ে।

যেহেতু আমি গ্রামে বড় হয়েছি তাই ছোটবেলা থেকেই সাঁতার শিখেছিলাম। ইতোমধ্যে আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। এই কথাটি বিভিন্ন পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম। যৌথ পরিবারে বড় হওয়ার সুবাদে পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। চাচাতো ভাই বোনের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। সবাই একসাথে যেমন খেলতে যেতাম তেমনি নদীতে নেমে কিংবা পুকুরে নেমে গোসল করতাম। যখন আমি সম্ভবত ক্লাস ওয়ানে পড়ি তখন থেকে আমি সাঁতার শিখেছি। প্রথমে তো সাঁতার পারতাম না। শুধু ঘাটের কাছাকাছি বসে থাকতাম আর মগ দিয়ে পানি তুলে গোসল করতাম। সবাই যখন সাঁতার কেটে দূর দূরান্তে চলে যেত তখন আমারও মন চাইতো যেতে। কিন্তু ভয় পেতাম।

একদিন আমার ভাই আমাকে বলল তুই যদি সাঁতার শিখতে চাস তাহলে চেষ্টা করতে হবে। এটা কঠিন কিছু না। এরপর ভাইয়ের হাত ধরে ধীরে ধীরে বেশি পানিতে চলে গিয়েছিলাম। এরপর যখন নিজে নিজেই সাঁতার কাটার চেষ্টা করছিলাম প্রথমে ভারসাম্য পাচ্ছিলাম না। ভাই অবশ্য পাশেই ছিল। তাই ভয়টা খুব একটা ছিল না। ভেবেছিলাম কোন বিপদ হলে সবাই তো আছেই। কিছুক্ষণ পর আমার ভয়টা কেটে গেছে এবং আমি একটু একটু করে সাঁতার শিখে গেছি।

নতুন নতুন সাঁতার শেখার পর তো আমার আনন্দ আরো বেড়ে গিয়েছিল। পানিতে নেমে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়েছি। এজন্য অবশ্য মায়ের বকুনি খেয়েছি অনেক। কিন্তু নতুন সাঁতার শেখার পর সাঁতার কাটতে অনেক ভালো লাগতো। আর আমরা যেহেতু অনেকে একসাথে পানিতে নামতাম তাই সাঁতারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। কে আগে পুকুরের এপার থেকে ওপারে যেতে পারে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। সেই দিনগুলোর কথা এখনো খুবই মনে পড়ে। শৈশবের এই সুন্দর দিনের স্মৃতিগুলো অনেক মিস করি। আশা করছি এই পোস্ট সকলের ভালো লেগেছে। তো বন্ধুরা আমার এই পোস্ট আপনাদের কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।

🥀ধন্যবাদ সকলকে।🌹


আমার পরিচয়

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

আমি মো: স্বপন । আমি একজন বাংলাদেশী। বাংলা আমার মাতৃভাষা। তাই আমি বাংলায় লেখালেখি করতে ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং এবং ক্রাফটিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। অবসর সময়ে গান শুনতেও অনেক ভালোবাসি। এছাড়া বাগান করতে আমার অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে রান্না করতেও অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া সাঁতার শিখার অনুভূতি গুলো আলাদা। আর ছোট বেলা এভাবে সবাই মিলে প্রতিযোগিতা করে সাতার শিখা হতো।সেটা অনেক ভালো লাগতো।যদিও সবার পরে যেতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

সাঁতার শিক্ষার অনুভূতি সত্যি আলাদা ছিল আপু। সবাই মিলে একসাথে নদীতে নামতাম বলে আরো বেশি ভালো লাগতো।

আমাদের সবার জীবনে কম বেশি শৈশবের স্মৃতি জড়িত থাকে। তবে শৈশবের স্মৃতিগুলো স্মৃতিচারণ করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আপনি সাঁতার শেখার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমার আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লেগেছে পড়ে।

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে শৈশবের মধুর মধুর স্মৃতি আছে। আর সাঁতার শেখার সেই স্মৃতিগুলো যখন বারবার মনে পড়ছিল তখন লিখে ফেলেছি আপু।

এই স্মৃতিগুলো একেক সময় খুব নষ্ট হয়ে পড়ে। আমার জন্য সাইকেল শেখার দিনটা মনে পড়ে। সেই ছোটবেলায় একটা বড় সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম শিখতে। তারপর বাকিটা ইতিহাস। আপনার সাঁতার শেখাও ঠিক সেরকম। তবে গ্রামাঞ্চলে পুকুর আছে বলে এগুলো শিখতে অনেক সুবিধা হয়। আমাদের শহরে পুকুর খুঁজে পাওয়ার আগে ভীনগ্রহের প্রাণী খুঁজে পাওয়া যাবে৷ 🤣🤣

গ্রামে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই পুকুর রয়েছে। শহরে তো পুকুর একদম পাওয়া যায় না ভাই। তাইতো শহরের মানুষ সহজে সাঁতার শিখতে পারেনা।

আপনার পোস্ট টা পড়ে ঐ দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। গ্রামের ছেলেরা সাধারণত খুব ছোটবেলা সাঁতার শিখে যায়। আমিও ব‍্যতিক্রম ছিলাম না। তবে প্রথমদিকে আমি অনেক ভয় পেতাম। যদিও আপনি খুব একটা ভয় পাননি। প্রত‍্যেকটা মানুষের উচিত সাঁতার শেখা।

ছোটবেলার অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো এখনো অনেক মনে পড়ে। আমার এই পোস্ট পড়ে পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মনে পড়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাই।

আমিও গ্রামে বড় হয়েছি তাই এই অনুভূতি আমার জানা।আপনার অনুভূতি পড়েও ভালো লাগলো।আসলে প্রথম প্রথম খুবই ভয় লাগে তারপর প্রথমে জলের মধ্যে ভারসাম্য ঠিক রাখাও অনেক কঠিন বিষয়।আপনার লেখা পড়ে আমার সাঁতার শেখার অনুভূতি মনে পড়ে গেল ,কখনো শেয়ার করবো।ধন্যবাদ আপনাকে।

আমরা যারা গ্রামের বড় হয়েছি তারা এই অনুভূতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানি। আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আপু।

আসলে ভাই ছোট থাকতে যখন সাঁতার শিখা হয় তখন আনন্দ অন্যরকম লাগে। আপনি দেখতেছি ভাইয়ের সহযোগিতায় সাঁতার কাটা শিখেছেন। তবে আপনার পাশে আপনার ভাই থাকার কারণে সাঁতার কাটতে আপনার ভয় লাগে নাই। আর এই স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে অন্যরকম একটা অনুভূতি আসে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।

সাঁতার শিখতে গেলে ভয় কাটা খুবই জরুরী। আপনার ভয় প্রথম দিকে কেটে গিয়েছিল বলে,তাড়াতাড়ি সাঁতার শিখতে পেরেছেন। আমি তো সাঁতার ই পারি না হা হা হা। যাইহোক শৈশবে আপনার সাঁতার শেখার স্মৃতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।