লাইফস্টাইল- গ্রামের বাসায় পিঠা খাওয়ার কিছু মুহূর্ত||

in hive-129948 •  4 months ago 

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।


বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। গ্রামের বাসায় পিঠা খাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। তো বন্ধুরা চলুন আমার শেয়ার করা পোস্ট দেখে নেয়া যাক।

গ্রামের বাসায় পিঠা খাওয়ার কিছু মুহূর্ত:

IMG_20240913_214249.jpgCemera: Oppo-A12.
IMG20240913110601.jpgCemera: Oppo-A12.


ছুটির দিনে গ্রামের বাসায় এসেছি। আমি যেহেতু গ্রামের বাসা থেকে অনেকটা দূরে অবস্থান করি তাই ছুটির দিনগুলোতে গ্রামের বাসায় বেড়াতে আসি। এই সপ্তাহে আমি যখন গ্রামের বাসায় এসেছি তখন জানতে পেরেছিলাম বাসায় পিঠা তৈরি করা হবে। মায়ের হাতে তালের পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। তাই মাকে বললাম তালের পিঠা তৈরি করতে। যেহেতু আমাদের বাসায় তাল গাছ আছে তাই সেখান থেকেই তাল সংগ্রহ করা হয়েছিল। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো সেই তালগাছটি আমি নিজেই রোপন করেছিলাম।

IMG20240913111415.jpgCemera: Oppo-A12.
IMG20240913112431.jpgCemera: Oppo-A12.


যখন আমি অনেক ছোট ছিলাম তখন একটি তালের বীজ মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলাম যাতে অন্য কাউকে দিতে না হয়। মাটির নিচে তালের বীজ লুকিয়ে রাখলে কিছুদিন পর নরম হয়। আর তখন খেতে ভালো লাগে। কিন্তু সেই তালের বীজটি অনেকদিন পর উঠাতে গিয়ে দেখি চারা তৈরি হয়েছে। যখন আমার আর তুলতে ইচ্ছে করেনি। সেই গাছটি এখন অনেক বড় হয়েছে। আর সেই গাছ থেকেই পাকা তাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

IMG_20240913_214046.jpgCemera: Oppo-A12.
IMG20240913110327.jpgCemera: Oppo-A12.


পিঠা তৈরীর আয়োজন মানেই হচ্ছে গ্রামীণ কিছু চিরচেনা দৃশ্য সামনে চলে আসে। ঢেঁকিতে ধান বানার দৃশ্য ছোটবেলায় অনেক দেখেছি। তবে এখন আর সেই দৃশ্য দেখা যায় না। তবে চালের গুঁড়া তৈরি করার জন্য আমাদের বাসায় এখনো ঢেঁকি ব্যবহার করা হয়। ঢেঁকিতে চালের গুঁড়া করলে সেই চালের গুঁড়ার পিঠা অনেক ভালো হয় আর খেতেও ভালো লাগে। অনেকদিন পর চালের গুঁড়া করতে দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। চালের গুঁড়া করা হচ্ছিল আর গুঁড়াগুলো ছেকে নেওয়া হচ্ছিল।

IMG20240913112314.jpgCemera: Oppo-A12.
IMG20240913113422.jpgCemera: Oppo-A12.


পিঠা তৈরি করার জন্য বেশ পরিশ্রম করতে হয়। চালের গুঁড়া যেমন প্রস্তুত করতে হয় তেমনি তালের রসগুলো বের করে নিতে হয়। এই কাজগুলো করতে কিছুটা সময় লাগে। পিঠা তৈরি করার প্রস্তুতি নিতে গেলে কিছুটা সময় হাতে নিতে হয়। আর সকাল থেকেই পিঠা তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল বাসায়। যাতে করে সবাই গরম গরম পিঠা খেতে পারে। অনেকদিন পর মায়ের হাতের তালের পিঠা খেতে খুবই ভালো লেগেছে। গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। রান্নাঘরে বসে সবার সাথে পিঠা খেতে সত্যি অনেক ভালো লেগেছিল।

নিজের ভালোলাগার মুহূর্তগুলো সবার মাঝে শেয়ার করতে খুবই ভালো লাগে। পিঠা খাওয়ার সুন্দর এই মুহূর্তটা আমিও আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। তো বন্ধুরা আমার এই পোস্ট আপনাদের কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।


🥀ধন্যবাদ সকলকে।🌹


আমার পরিচয়

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

আমি মো: স্বপন । আমি একজন বাংলাদেশী। বাংলা আমার মাতৃভাষা। তাই আমি বাংলায় লেখালেখি করতে ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং এবং ক্রাফটিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। অবসর সময়ে গান শুনতেও অনেক ভালোবাসি। এছাড়া বাগান করতে আমার অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে রান্না করতেও অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

একদম গ্রামীণ পর্যায়ের পিঠা। আপনার এ পিঠা খাওয়ার অনুভূতিটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। বেশ কিছুদিন আগে এই জাতীয় পিঠা খেয়েছিলাম ভাই। আমার খুবই ভালো লাগে এই সমস্ত পিঠাগুলো।

ঠিক বলেছেন ভাই পিঠা খেতে খুবই ভালো লেগেছে। আর সুন্দর সময় কাটিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

আসলে বর্তমান সময়ে সব যান্ত্রিক জিনিস থেকে উৎপন্ন খাবার খেতে খেতে আমাদের প্রতিনিয়ত বদ হজম হয়ে যাচ্ছে। আর আপনি তো দেখছি সেই গ্রামের ঢেঁকিতে চালের গোড়া করে তাল দিয়ে যে পিঠা তৈরি করেছেন তা কিন্তু সত্যিই অসাধারণ। হয়তোবা আমি যদি একটু সুযোগ পেতাম তাহলে আপনার কাছে চলে যেতাম এই পিঠা খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বর্তমানে সবকিছুর উন্নয়ন হয়েছে। আর যান্ত্রিক জিনিসপত্র দিয়ে খাবার দাবার তৈরি করা হয়। তবে এখনো আমাদের বাসায় ঢেঁকিতে চাল গুঁড়া করা হয় ভাই।

আজ আপনি অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। গ্রামে গিয়ে পিঠে খেয়েছেন এবং সেই অনুভূতিটা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পিঠাগুলো খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। কিছুদিন আগে আমিও তৈরি করেছিলাম খেতে অনেক মজা হয়েছিল।

পিঠা খেতে খুবই ভালো লেগেছে। আর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে বুঝতে পারলাম ভাই যে আপনি গ্রামের গিয়ে অনেক সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।

গ্রামে এরকম ভাবে মজার মজার পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে সব সময়। এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ঢেঁকিতে চালের গুড়া করার দৃশ্য তো এখন খুব বেশি দেখা যায় না। এই দৃশ্যটা ছোটবেলায় দেখেছিলাম। যাইহোক মজাদার পিঠা দেখে তো আমার নিজেরও এখন অনেক খেতে ইচ্ছে করছে। এই পিঠা নিশ্চয়ই খেতে অনেক দারুন লেগেছিল। গরম গরম মনে হচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন আপু গ্রামের বাড়িতে গেলে এরকম মজার পিঠা খাওয়া যায়। আর পিঠা তৈরির মুহূর্ত গুলো দেখতেও খুবই ভালো লাগে।