বাংলা মাসের ৭ই ফাল্গুন , বসন্ত-কাল ১৪২৮|রবিবার |

বাম পাশ থেকে রিদয়, সাজ্জাদ, আমার বন্ধু তাজুল, আমি, রিয়াজ।

আমার স্কুলজীবন গ্রামে ছিলো, আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো তাজুল। আমার স্কুলের নাম ছিলো হোগলাডাংগা প্রাইমারি স্কুল। আমি আর তাজুল একসাথেই স্কুলে যেতাম, সেই সময় তাজুল সুরাইয়া নামের একটি মেয়েকে পছন্দ করে। আমরা মজা করে তাজুলকে ক্ষেপাতাম সুরাইয়ার জামাই, সেই ছোটকাল থেকেই হাহাহাহাহা।সুরাইয়া একটু রাগী টাইপের মেয়ে। সে খুব রাগ করতো। সুরাইয়ার বাসা একটি দূরে ছিলো যার কারণে সে হেটে হেটে আসতো। আমার তখন সাইকেল ছিলো না, তাজুলের সাইকেল ছিলো। আমি আর তাজুল সাইকেলে যাওয়া আসা করতাম।

তাজুলের বিয়ের খাওয়া। আহা কত কিছু। 💗💗💗

কতো স্মৃতি প্রাইকারি স্কুলে, আম চুরি করতাম। ছোট বেলার কতো কথা মনে পড়ছে৷ তাজুল কিন্তু মনে মনে সুরাইয়াকে পছন্দ করতো। আমি ক্লাস ফাইভ পাশ করার পর, শহরের স্কুলে চলে আসি, আর তাজুল গ্রামের স্কুলেই থেকে যায়। ওদের প্রেম ক্লাস ৬-৭ থেকেই খুব গাড় হয়। তখন তো আমাদের মোবাইল ছিলো না। ওই ঈদের সময় বাড়ি যেতাম তখন ওদের সাথে, দেখা করতাম। কি যে মিস করি তোদের বলে বুজাতে পারবো না।আসতে আসতে ওরা স্কুল পার করলো, কলেজে আসলো। মোটামুটি ওদের খবর ওদের বাসার সবাই জানতো।বাসা থেকেই রাজী ছিলো। অবশেষে করোনার ভিরর ওদের বিয়ে হয়। আলহামদুলিল্লাহ।ওরা দুজনই ক্লাসমেট ছিলো আগেই তো,বলছি। আসেন ওদের বিয়ের কিছু শেয়ার করি।আমাকে করোনার ভিতর তাজুল ফোন দিলো,যে দস্ত শুখবর আছে। আমি বললাম কি হলো আবার তোর, ও বললো ওর বিয়ে। আমি বললাম কি কস আমি বললাম আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তোদের দিক তাকিয়েছে।সেই ৮-৯ বছরের প্রেম। আজকে সফল হচ্ছে। আমি নড়াইল থেকে বাইকে গ্রামে গেলাম, কারণ ওদের বাসা তো গ্রামেই আগেই বলছি ।বিয়েতে আমি, সাজ্জাদ, রিয়াজ, রিদয় বিয়েতে গেলাম। আমরা তো বরের আসনে। খুব ইচ্ছা ছিলো বন্ধুর বিয়েরে পাশে বসেই খাবো, তাজুলের প্লেটে বড় একটা মুরগি দিলো, দই বড় রুই মাছ, অনেকগুলা চিংড়ি মাছ,মিস্টি। মানে বিয়েতে যা দেওয়া হয়। আমরা খুব মজা করে খেলাম।

পরের পর্বে বিস্তারিত লিখবো এবং ছবি দিবো। 💗💗💗

আমার পরিচয়

অনেক অনেক শুভকামনা ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️

ইতি

শফিকুল ইসলাম শুভ।

|| JOIN OUR DISCORD SERVER ||