একাকী সময়

in hive-129948 •  4 months ago 

আগে তাও পাশেই বৃষ্টি বৌদি থাকতো, বাসায় একঘেয়েমি লাগলেই হীরা বাবুকে নিয়ে সেখানে চলে যেত। তবে সেই সুযোগ এখন আর নেই, কেননা বৌদি অন্যত্র চলে গিয়েছে। বলতে গেলে, বাসায় এখন আমাদের একাই থাকতে হয়।

1000030408.jpg

1000030410.jpg

1000030409.jpg

1000030411.jpg

1000030412.jpg

যদিও একাকী থাকা অনেকটা আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, তবে হীরা ও বাবুর জন্য ভাবলে কিছুটা কষ্ট হয়। এই শহুরে জীবন অনেকটাই যান্ত্রিক। এখানে কে কোন অবস্থায় আছে, কার সময় কিভাবে যাচ্ছে, এসব দেখার কারোই সময় নেই। সবাই ব্যস্ত যে যার আপন কর্মে, আপন ভুবনে। এখানে নিজ বলতে শুধুই নিজ, দরজার ওপাশটায় কে থাকে সেটা নিয়ে কেউ কোন মাথা ঘামায় না।

আমি এক অসহায় বাবা, যে কিনা নিজের বাচ্চার শৈশবটাকে আরো গৃহবন্দী করে ফেলেছি। এতদিন তাও গ্রামে ছিলাম দেখে খুব একটা বিষয়টা বুঝে উঠতে পারিনি, তবে শহরে আসার পর থেকেই সবকিছুই যেন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। জীবন কাটছে আমাদের তিনটে রুমের ভিতরেই।

চতুর্দিকে শুধু উঁচু কংক্রিটের দালান, তার মাঝেই কোন একটা জায়গায় ঘাপটি মেরে সম্ভবত আছি আমরা। এখানে সৌজন্যতা মানে শুধুমাত্র হঠাৎই কারো সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে একটু ভাবের আদান-প্রদান, তার বাইরে আর কিচ্ছু না।

আচ্ছা আমরা যেমনটা ভাবে আছি, অন্যরাও কি ঠিক একই ভাবে এই শহরে আছে ! তাদের জীবনেও কি এরকম একাকীত্ব ভাব চলে এসেছে, এই প্রশ্ন শুধুই আমার মাথায় ঘুরপাক খায়।

এই যে সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে, বাবু যে কখন পাশ থেকে উঠে গিয়ে জানালা খুলে বাহিরের অবস্থা দেখার চেষ্টা করছিল তা যেন আমরা কেউ বুঝে উঠতেই পারিনি। একা একাই ও হাসছিল আর দেখার চেষ্টা করছিল বাহিরের অবস্থা।

আমার তো মনে হয়, ও সম্ভবত ছুটতে চায়। নিজের মত করে বিচরণ করতে চায়। এই বন্দীদশা ভাঙতে চায়, তেমনটাই তো বুঝতে পারি আমি।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ভাইয়া আপনি যে শহরে জীবনের কথা আপনার এই পোস্টে তুলে ধরেছেন তা শুধু আপনার একার জন্য নয়। এ শহরে যেই বাস করুক না কেন সবার একই অবস্থা, চার দেয়ালের ভিতরে আমরা সবাই আবদ্ধ। এখানে চাইলেও আমরা ইচ্ছামত ঘুরতে পারি না, খেলতে পারি না, কারো সাথে হাসতে পারি না, কথা বলতে পারি না ইত্যাদি। তবে আমাদের বিষয়টা মেনে নেয়া গেলেও ছোট বাচ্চাদের বিষয়গুলো একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। ছোট বাচ্চাদের একাকিত্বের অনুভূতিটা আসলে অনেক কষ্টের যেটা আমরা বাবা-মা হয়ে বুঝতে পারি কিন্তু কিছু করার থাকে না। তারপরেও এভাবেই হয়তো বা আমাদের জীবন কাটিয়ে দিতে হয় ।আপনার বাবু শোয়া থেকে উঠে কখন গিয়ে জানালায় দাঁড়িয়ে টাপুর টুপুর বৃষ্টির শব্দ এবং বৃষ্টি দেখছে । ও আসলে বাহিরের প্রকৃতিটাকে অবলোকন করতে চায় । ধন্যবাদ ভাইয়া।

ধন্যবাদ ভাই, আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

কেন দাদা, আপনাদের ওখানে খেলার মাঠ নেই? বাবুর বয়স কত?

শহরের জীবন যান্ত্রিক ঠিকই, তবুও আপনাদের নতুন বন্ধু হোক, যার সাথে বাবু খানিকটা খেলতে পারবে৷ বাচ্চাদেত জন্য একটু মুক্ত পরিবেশ খুবই দরকার।

খেলার মাঠ আছে তো, তবে তা ভালোই দূরে। শহুরে পরিবেশটা আমার একদম ভালো লাগে না, গ্রামে দ্রুত ফিরতে পারলেই বাঁচি।

ওহ। তাহলে তো বেশ মুশকিল। কলকাতাতেও এরকম শুনেছি৷ বাচ্চাদের খেলার জায়গা নেই৷ বাবুকে কোন অ্যাক্টিভিটি ক্লাসে দিয়ে দিতে পারেন দাদা। সেক্ষেত্রে ওর বিকাশটাও ভালো হবে আর সামাজিকতাটাও বজায় থাকবে৷

বাবুর বয়স সবেমাত্র তিন বছর হবে আগামী মাসে, আপনার কথায় যুক্তি আছে। দেখি সুযোগ হলে, সামনে ভেবে দেখব বিষয়টা। ধন্যবাদ।

বেশ। ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে।

ভাই এখনকার বেশিরভাগ মানুষ প্রচুর পরিমাণে ব্যস্ত। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে একা একাই অবসর সময় কাটিয়ে থাকে। যাইহোক শায়ানকে দেখে তো মনে হচ্ছে, বাহিরে গিয়ে খেলাধুলা করার জন্য একেবারে রেডি। ছোটবেলায় আমরা কতো ধরনের খেলা খেলতাম। কিন্তু এখনকার বাচ্চাদের দেখে আসলেই আফসোস হয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

যাইহোক শায়ানকে দেখে তো মনে হচ্ছে, বাহিরে গিয়ে খেলাধুলা করার জন্য একেবারে রেডি।

একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই।

সবার অবস্থা আপনার মতোই ভাই। সবাই এই একাকিত্ব ট অনুভব করে কিন্তু কেউ এটা চায় না। একপ্রকার অসহায় আত্মসমর্পণ করে ফেলে এই অবস্থার সামনে।। বিশেষ করে বাচ্চাদের উপর এই প্রভাব টা পড়ে কিন্তু বেশি। বেশ ভালো লিখেছেন ভাই বাস্তবতা টা তুলে ধরেছেন।

ধন্যবাদ ভাই, আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।

আপনার পোস্টগুলোর মধ্যে এক অসহায়তা ভর করে। আপনার লড়াই বেশ সহজেই এই পোস্টগুলোর মাধ্যমে উঠে আসে। লড়াই তো বিভিন্ন রকমের হয়। মানসিক লড়াই তার মধ্যে এক অন্যতম দিক। একাকীত্ব জীবনে এক যন্ত্রনা। তবু সন্তান এবং পরিবারকে নিয়ে আপনি ভালো থাকতে চেষ্টা করেন তাও বুঝি। বহুদিন লেখালেখি করার সূত্র ধরে আপনার লেখাগুলো থেকে আপনার মননের একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা যেন ভেতরে বোনা হয়ে গেছে। তবে জীবন ধারণ সংক্রান্ত এই পোস্টগুলো ভীষণ ভালো লাগে কারণ এগুলো অনেকের জীবনের সাথেই মিলে যায়।